মহামারির কেন্দ্রস্থল থেকে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের প্রাথমিক পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের পর চার বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক চীনা সাংবাদিককে আরো চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার তাকে এ দণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে রবিবার জানিয়েছে রয়টার্স।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স জানিয়েছে, ৪২ বছর বয়সী ঝাং ঝানকে চীনে ‘বিবাদ তৈরি করা এবং ঝামেলা উস্কে দেওয়ার’ অভিযোগে সাজা দেওয়া হয়েছে। একই অভিযোগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

রবিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এ ব্যাপারে মন্তব্য করেনি।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার আলেকজান্দ্রা বিয়েলাকোস্কা এক বিবৃতিতে বলেছেন, “তাকে বিশ্বব্যাপী একজন তথ্য নায়ক হিসেবে পুরস্কৃত করা উচিত, কারাগারের বন্দি হিসেবে নয়। তার অগ্নিপরীক্ষা এবং নিপীড়নের অবসান হওয়া উচিত। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্প্রদায়কে তার অবিলম্বে মুক্তির জন্য বেইজিংয়ের উপর চাপ দেওয়া আগের চেয়েও বেশি জরুরি।”

চীনে করোনার সংক্রমণের প্রমাণ হিসেবে জনবহুল হাসপাতাল এবং খালি রাস্তার ভিডিও পোস্ট করেছিলেন ঝাং। এছাড়া তিনি চীনে করোনার সংক্রমণের ব্যাপারে কয়েক মাস ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। তার এসব বর্ণনা চীনে করোনার প্রভাব সম্পর্কে সরকার যেসব বর্ণনা দিয়েছিলে তারচেয়ে ভয়াবহ চিত্র ফাঁস করেছিল। এসব পোস্টের জন্য ঝাংকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

ঝাং-এর আইনজীবী রেন কোয়ানিয়ু জানিয়েছিলেন, ঝাং বিশ্বাস করতেন যে ‘তার বাক স্বাধীনতা প্রয়োগের জন্য তাকে নির্যাতন করা হচ্ছে।’
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ন র

এছাড়াও পড়ুন:

রোনালদো বললেন, ‘স্পেনের চেয়ে সৌদি আরবে গোল করা কঠিন’

ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্বে কথার আগল খুলে দিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। অন্তরঙ্গ এই সাক্ষাৎকারে রোনালদো তাঁর ক্যারিয়ার, অর্জন, অবসর এবং ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে কথা বলেছেন।

একই সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় অংশেও সামনে এসেছে ‘সিআর সেভেনের’ চমকপ্রদ সব মন্তব্য। যেখানে তিনি দিয়েগো জোতার শেষকৃত্যে না যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যার পাশাপাশি কথা বলেছেন নিজের গোল করার ক্ষমতা, সৌদি ফুটবল ও বিশ্বকাপ নিয়েও।

লিভারপুল ও পর্তুগালের ফরোয়ার্ড দিয়োগো জোতা এবং তাঁর ভাই আন্দ্রে সিলভা গত জুলাই মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মারা যান। ক্লাব ও জাতীয় দলের বেশ কিছু সতীর্থ পর্তুগালে অনুষ্ঠিত জোতা ও তাঁর ভাইয়ের শেষকৃত্যে যোগ দিলেও রোনালদো ছিলেন অনুপস্থিত। রোনালদো বলেছেন, তিনি জোতার শেষকৃত্যে যাননি। কারণ, তিনি চাননি বিষয়টা ‘একটা সার্কাস’–এ পরিণত হোক।

আরও পড়ুনবিশ্বকাপ জিতলেই কি ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় হয় কেউ—প্রশ্ন রোনালদোর০৫ নভেম্বর ২০২৫

পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেন, ‘মানুষ আমার অনেক সমালোচনা করে। আমি তাতে কিছু মনে করি না। যখন তোমার বিবেক পরিষ্কার থাকে, তখন কে কী বলল, তা নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। আমি একটা কাজ আর করি না, আমার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আমি আর কখনো কবরস্থানে যাইনি। আমাকে যারা চেনে, তারা বিষয়টা জানে। আমি যেখানে যাই, সেখানে ভিড় জমে, হইচই হয়, মানে একরকম সার্কাস শুরু হয়ে যায়।’

রোনালদো যোগ করেন, ‘আমি বাইরে যাই না। কারণ, গেলে সবার দৃষ্টি আমার দিকেই চলে যায়। আমি এমন মনোযোগ চাই না। আমি দেখছিলাম যে কিছু লোক সেই সংবেদনশীল মুহূর্তে সাক্ষাৎকার নিচ্ছিল বা ফুটবল নিয়ে কথা বলছিল, আমি এটা পছন্দ করি না।’

পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় অংশে রোনালদো কথা বলেছেন নিজের গোল করার ক্ষমতা নিয়েও, ‘বাজে একটি মৌসুমেও যখন আল নাসর কোনো ট্রফি জেতেনি, তখনো আমি ২৫টি গোল করেছি। যদি আমি প্রিমিয়ার লিগে খেলতাম, তাহলে এখনো একই রকম গোল করতাম। ভালো দলে থাকলে ৪০ বছর বয়সেও একই রকম পারফর্ম করতাম।’

সাংবাদিক পিয়ার্স মরগানকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো

সম্পর্কিত নিবন্ধ