দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন মোহনলাল
Published: 21st, September 2025 GMT
ভারতীয় সিনেমার সর্বোচ্চ সম্মান ‘দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার ২০২৩’ পাচ্ছেন মালয়ালম অভিনেতা মোহনলাল। ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করা মোহনলালকে ভক্তরা আদর করে ডাকেন ‘লালেট্টান’।
মোহনলালের প্রথম চলচ্চিত্র ‘তিরানোত্তম’(১৯৭৮) মুক্তির মুখ দেখেনি। কিন্তু ভাগ্য অপেক্ষা করছিল এক অনন্য অভিষেকের। ফাজিলের ‘মঞ্জিল বিরিঞ্জা পুক্কল’ (১৯৮০) সিনেমায় খলনায়কের চরিত্রে পর্দায় পা রেখেই দর্শকদের মনে দাগ কেটে দেন। এরপর আর তাঁকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
অভিনয়ের জাদুকর
চার শতাধিক ছবিতে নানা চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। কখনো প্রতিবেশী ছেলেটি, কখনো ভাঙা মনের প্রেমিক, কখনো রাজদরবারের গম্ভীর চরিত্র—প্রতিটি ভূমিকায় তিনি দেখিয়েছেন বহুমাত্রিকতা। ‘কিরিদম’, ‘ভারতাম’, ‘মানিচিত্রতাঝু’, ‘ভানাপ্রস্থম’ কিংবা ‘নমুক্কু পার্ক্কান মুথিরিত্তোপ্পুক্কাল’—এই সব ছবিই তাঁকে আঞ্চলিকতার সীমানা ছাড়িয়ে ভারতের জাতীয় আইকন বানিয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম হনল ল
এছাড়াও পড়ুন:
গাইবান্ধায় গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
গাইবান্ধায় এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের বাগদা বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূর শিউলি বেগম (৩৫)। তিনি একই ইউনিয়নের বোগদহ এলাকার শরীফ মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী ফরিদ উদ্দিন (৪৫) পলাতক।
পুলিশ জানায়, কয়েক বছর আগে বাগদা বাজার এলাকার ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে বোগদহ এলাকার শিউলি বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে শিউলিকে নির্যাতন করতেন ফরিদ। গতকাল সন্ধ্যায় ওই দম্পতির মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ফরিদ শিউলিকে মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। রাত ৯টার দিকে বাগদা বাজার এলাকার বাড়ির পাশে কলাবাগানে শিউলির লাশ পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আজ রোববার সকালে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত শিউলির বাবা শরীফ মিয়ার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁর মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন ফরিদ। পরিকল্পিতভাবেই শিউলিকে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়েছেন ফরিদ।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বুলবুল ইসলাম বলেন, নিহত নারীর গলা ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব আঘাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্ত ফরিদ উদ্দিন ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাঁকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।