আমিনুল ইসলামের পরিচালনা পর্ষদের এটি ছিল শেষ সভা। এ রকম সভায় বিদায়ী সুরটাই মুখ্য হয়ে ওঠে অনেক সময়। গতকাল রাত ৯টায় শুরু হয়ে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা বর্তমান বোর্ডের শেষ সভায় সেটি যেমন ছিল, হয়েছে কিছু সিদ্ধান্তও। তবে সভাটি শেষ হয়েছে বিসিবির আসন্ন নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ ছাড়াই।

নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী গতকাল সন্ধ্যা ৬টার সময় শেষ হওয়ার কথা বিসিবির কাউন্সিলরদের নাম জমা দেওয়ার সময়। এরপর বোর্ড সভা হয়ে গতকালই সন্ধ্যা ৭টায় খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের কথা। কিন্তু পরিচালনা পর্ষদের সভা শুরুই হয় রাত ৯টায় এবং তখনো কাউন্সিলরদের নাম আসছিল। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর রেঞ্জার্স ক্রিকেট একাডেমি থেকে কাউন্সিলর হিসেবে নাম এসেছে বিসিবির সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদেরও।

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান ইফতেখার রহমান। তিনি জানান, রাত ৯টায় আসা ফারুকের কাউন্সিলর ফরমটি ‘নোট’ দিয়ে তারা গ্রহণ করেছেন। ফারুকসহ যাদের ফরমই দেরিতে এসেছে, সেগুলো ফরম গ্রহণের সময় উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হবে। এসব কাউন্সিলরদের ফরমের ব্যাপারে কমিশনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এবং এরপর তারাই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে।

আরও পড়ুনবিসিবির নির্বাচন: যে কারণে পিছিয়ে গেছে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ১১ ঘণ্টা আগে

খসড়া ভোটার তালিকা নির্ধারিত সময়ে প্রকাশ না হওয়ায় বিসিবির নির্বাচনের সূচিতে আর কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা, সে সিদ্ধান্তও কমিশন নেবে  বলে জানিয়েছেন ইফতেখার রহমান। তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার কথা ৬ অক্টোবর। তবে আজ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খসড়া ভোটার তালিকার ওপর আপত্তি গ্রহণ করার কথা রয়েছে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাউন্সিলর ফরম জমা নেওয়া শেষ করে বোর্ড সভা ও খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে না পারার কারণ ব্যাখ্যায় মিডিয়া কমিটির প্রধান বলেছেন, যেহেতু এ বিষয়ে কালই আদালতে দুটি রিট হয়েছে, আদালতের চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণ না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসতে চাননি। আদালতের নির্দেশনা ভালোভাবে বুঝে তাঁরা সভায় বসেছেন এবং সে জন্যই দেরি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিসিবির আইনজীবী মাহিন রহমান জানান, ২৮ সেপ্টেম্বর চেম্বার জজ আদালতে এ মামলার আরেকটি শুনানি হবে।

বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক উন স প রক শ গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

সময় বাড়ে, প্রকল্প শেষ হয় না

চট্টগ্রাম নগর পরিষ্কার রাখা পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য সাতটি বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছিল ২০১৮ সালের জুলাইয়ে। সাত বছর পার হয়ে গেছে। এর মধ্যে দুটি ভবনের নির্মাণকাজ শুরুই হয়নি। দফায় দফায় সময় বাড়িয়েও বাকি পাঁচটিরও কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। গত বছর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কাজ বন্ধ করে চুক্তি বাতিলের আবেদন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

শুধু পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আবাসন প্রকল্প নয়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের চলমান আরও তিনটি প্রকল্পের কাজও চলছে ঢিমেতালে। ৩ থেকে ১১ বছর ধরে প্রকল্পগুলোর কাজ চলছে। দফায় দফায় সময় বৃদ্ধি করেও প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। ঠিক সময়ে প্রকল্পগুলোর কাজ সম্পন্ন না হওয়ার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন সিটি করপোরেশনের কর্মীদের পাশাপাশি নগরবাসীও।

জলাবদ্ধতা নিরসনে বাড়ইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত নতুন খাল খননের সুপারিশ করা হয়েছিল ১৯৯৫ সালের ড্রেনেজ মহাপরিকল্পনায়। প্রায় ২০ বছর পর ২০১৪ সালে তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। নির্ধারিত সময় ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজই শুরু করতে পারেনি সিটি করপোরেশন। প্রকল্পটি তিন দফা সংশোধন করা হয়েছে। চার দফায় সময় বৃদ্ধি করা হয় আট বছর।

ভবন নির্মাণ ছাড়া অন্য তিনটি প্রকল্প হচ্ছে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য বহদ্দারহাটের বাড়ইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত নতুন খাল খনন প্রকল্প; নগরের কুলগাঁও এলাকায় বাস টার্মিনাল নির্মাণ এবং নগরের বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়কের উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প। চার প্রকল্পের মোট খরচ হবে ৫ হাজার ৩৩৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৭৫০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

সিটি করপোরেশনের প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা, অপ্রতুল বরাদ্দ, রাজনৈতিক পটপরিবর্তন এবং বাধা-প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রকল্পগুলোর কাজ আটকে ছিল। সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন বলছেন, এখন কাজে গতি এসেছে, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত না হওয়ায় সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনার ঘাটতিকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের কাজ বন্ধ। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম নগরের বান্ডেল রোড এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ