অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে অ্যাপ পুরোপুরি মুছবেন যেভাবে
Published: 23rd, September 2025 GMT
যোগাযোগ, কাজ বা বিনোদন সবকিছুর জন্যই প্রতিনিয়ত স্মার্টফোনের নানান ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করা হয়। তবে এসব অ্যাপ ইনস্টল করার সময় অনেক ক্ষেত্রেই গ্যালারি, কনট্যাক্ট, লোকেশনসহ ব্যক্তিগত তথ্যের অনুমতি চায়। ব্যবহারকারীরা বেশির ভাগ সময় না ভেবেই সেই অনুমতি দিয়ে দেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়া অ্যাপ আমরা সাধারণত আনইনস্টল করি। কিন্তু শুধু আনইনস্টল করলেই কাজ শেষ হয় না। অনেক অ্যাপের তথ্য ও ফাইল ফোনে থেকে যায়। যা একদিকে ডিভাইসের স্টোরেজ দখল করে রাখে, অন্যদিকে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। তাই এসব অবশিষ্ট অ্যাপ পুরোপুরি মুছে ফেলা জরুরি।
আনইনস্টল করা অ্যাপ খুঁজে বের করার উপায়
অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে লেফট ওভার অ্যাপ মুছতে হলে প্রথমে গুগল প্লে স্টোর খুলতে হবে। এরপর ডান পাশে থাকা প্রোফাইল আইকনে চাপতে হবে। সেখান থেকে ‘ম্যানেজ অ্যাপস অ্যান্ড ডিভাইস’ অপশন বেছে নিতে হবে। এখানে দুটি ট্যাব দেখা যাবে। ‘ওভারভিউ’ ও ‘ম্যানেজ’। সেখান থেকে ‘ম্যানেজ’ এ প্রবেশ করতে হবে।
এরপর ‘দিস ডিভাইস’ বিভাগে গিয়ে ‘নট ইনস্টলড’ অপশনে চাপতে হবে। এখানে আগে ফোনে ইনস্টল করা হলেও বর্তমানে ব্যবহার করা হচ্ছে না, এমন সব অ্যাপের তালিকা দেখা যাবে।
লেফট ওভার অ্যাপ মুছে ফেলার ধাপ
গুগল প্লে স্টোরে দেখা তালিকা থেকে যেসব অ্যাপ মুছে ফেলতে হবে, সেগুলোর পাশে টিক চিহ্ন দিতে হবে। চাইলে আলাদাভাবে বা একসঙ্গে সব অ্যাপ নির্বাচন করা যেতে পারে। এরপর ওপরে থাকা ‘ডিলিট’ অপশনে চাপলেই অ্যাপগুলো পুরোপুরি মুছে যাবে। এতে শুধু স্টোরেজ খালি হবে না, সুরক্ষিত থাকবে ব্যক্তিগত তথ্যও।
কেন নিয়মিত মুছে ফেলা দরকার
আনইনস্টল করার পরও ফোনে থেকে যাওয়া অ্যাপের ফাইল অনেক সময় ডিভাইসকে ধীরগতির করে দেয়। আরও বড় ঝুঁকি হলো, এসব ফাইল ব্যবহারকারীর সংবেদনশীল তথ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই নিয়মিতভাবে লেফট ওভার অ্যাপ ও ফাইল মুছে ফেললে ডিভাইস দ্রুতগতির থাকবে এবং ব্যবহারকারীর গোপনীয়তাও সুরক্ষিত থাকবে।
সূত্র: টেক্লুসিভ
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
নাসা গ্রুপের নজরুলকে যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ
জুলাই গণ-অভুত্থানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবু বকর রিফাত হত্যার ঘটনায় করা মামলায় নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান আজ বুধবার শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মোরশেদ হোসেন বলেন, যাত্রাবাড়ী থানার মামলাটিতে নজরুলকে গ্রেপ্তার দেখাতে গত ২৬ অক্টোবর আবেদন করা হয়। যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুয়েল রানা আবেদনটি করেন। নজরুলের উপস্থিতিতে শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। শুনানির জন্য আজ নজরুলকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি নিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন আদালত।
দেখা যায়, নজরুলকে আজ সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে থেকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় এনে রাখা হয়। পরে তাঁকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরানো হয়। দুই হাত সামনে নিয়ে পরানো হয় হাতকড়া। এরপর তাঁকে আদালতের কক্ষে নেওয়া হয়। কাঠগড়ায় তোলার সময় তাঁর মাথা থেকে হেলমেট ও শরীর থেকে জ্যাকেট খোলা হয়। কাঠগড়ার মাঝামাঝি অংশে দাঁড়িয়ে তিনি তাঁর কোমরে বাঁ হাত দেন।
তখন নজরুলের আইনজীবী জানতে চান, তাঁর টুল লাগবে কি না। তিনি সম্মতি দিলে তাঁর আইনজীবী পুলিশের কাছে টুল চান।
দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য বলেন, আদালতের কাছে চাইতে হবে। কিছুক্ষণ পর এজলাসে আসেন বিচারক। আসামিপক্ষের আইনজীবী টুল চেয়ে বিচারকের কাছে আবেদন জানান। বিচারক শুনানি শুরু করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন তুলে ধরেন।
শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, নজরুলকে গ্রেপ্তার দেখানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতা নেই। তাঁর সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে কোনো তথ্যপ্রমাণ জমা দিতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তা। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হলে তিনি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবেন।
শুনানি নিয়ে নজরুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। এ সময় নজরুলকে বিষণ্ন দেখা যায়। পরে তাঁকে আবার বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটিয়ে আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেন আবু বকর রিফাত। সেদিন দুপুরের দিকে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এই ঘটনায় চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা হয়। মামলাটি করেন নিহত ব্যক্তির বাবা আওলাদ হোসেন।
গত বছরের ২ অক্টোবর নজরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বিভিন্ন মামলায় তাঁর রিমান্ড হয়েছে। তিনি কাশিমপুর কারাগারে আছেন।