সংসদ নির্বাচনে ৩৩% নারী প্রার্থীর বাধ্যবাধকতার দাবি নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরামের
Published: 23rd, September 2025 GMT
আগামী সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো থেকে ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থীর মনোনয়নে বাধ্যবাধকতা আরোপসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে ‘নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম’। পাশাপাশি নির্বাচনি আইন সংস্কারের দাবি জানান ফোরামের প্রতিনিধিরা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠকে এসব দাবি তুলে ধরে বিভিন্ন নারী সংগঠনের এই প্ল্যাটফর্ম।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো.
আর ফোরামের পক্ষে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য মাহীন সুলতানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন নারী পক্ষের নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাদাফ সায, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত ও নারী সংহতির সভাপ্রধান শ্যামলী শীল।
বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মাহীন সুলতান সাংবাদিকেদের জানান, আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। অনেক বিষয়ে তারা ভালো ‘আউটকাম’ পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নারী ভোটার, নারী প্রার্থী ও নারী নাগরিকদের সমান মর্যাদা নিশ্চিতকরণে আমাদের দাবি ও প্রত্যাশা তুলে ধরেছি। নির্বাচন কমিশনও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।’
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়নে বাধ্যবাধকতা আরোপের বিষয়ে মাহীন সুলতান বলেন, ‘আমরা সব দল থেকে ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন চাই, যাতে নির্বাচনে যথাযথ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা যায়।’
নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরামের পক্ষ থেকে নারী প্রার্থীর বাধ্যতামূলক মনোনয়ন, দলীয় কাঠামোতে নারীর নেতৃত্ব,অনলাইন ও অফলাইনে হয়রানি প্রতিরোধে নীতি ও নির্দেশনা, সংসদে সংরক্ষিত আসনে সরাসরি নির্বাচন এবং সব আসনে ‘না’ ভোট রাখাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দাবি জানানো হয়।
ফোরামের তরফে এ–সংক্রান্ত লিখিত আবেদনও দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব রাখার বিধানটি যুক্ত রাখার বিষয়ে ফোরামের প্রতিনিধিদের জানায়।
মাহীন সুলতান বলেন, ‘সরাসরি নির্বাচনে, যে সাধারণ আসনে, আমরা ৩৩ শতাংশ মনোনয়ন চাইছি সব পার্টি থেকে। এখন এটা আইনের মধ্যে আসবে নাকি আলোচনার মধ্যে আসবে, আমরা কিন্তু নারী আন্দোলন থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে এই দাবিটা তুলে ধরছি। আমরা মনে করছি যে যথেষ্ট যোগ্য নারী প্রার্থী আছে এখানে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য।’
নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরামভুক্ত সংগঠনগুলো হচ্ছে ক্ষুব্ধ নারী সমাজ, গণসাক্ষরতা অভিযান, দুর্বার নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন, নাগরিক কোয়ালিশন, নারী উদ্যোগ কেন্দ্র (নউক), নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা, নারী সংহতি, নারী পক্ষ, নারীর ডাকে রাজনীতি, ফেমিনিস্ট অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ (ফ্যাব), বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র ও ভয়েস ফর রিফর্ম।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিস্তিনকে আরও ছয় দেশের স্বীকৃতি, সংঘাত বন্ধ চান ট্রাম্প
ফ্রান্সের স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের চারটির কাছ থেকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পেল। স্বীকৃতি না দেওয়া একমাত্র দেশ এখন যুক্তরাষ্ট্র।
অবশ্য এই স্বীকৃতির মাধ্যমে হামাসকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি গাজায় সংঘাত দ্রুত বন্ধ হোক, সেটাও চান।
গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি ও গাজা সংঘাত নিয়ে ওই মন্তব্য করেন।
এর আগের দিন সোমবার সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে এক বিশেষ সম্মেলনে ফ্রান্সসহ নতুন ছয় দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়। ওই সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছিল সৌদি আরব ও ফ্রান্স।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় টানা নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। একে জাতিগত নিধন বলে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসরায়েলের এই হত্যাযজ্ঞের মধ্যে সাম্প্রতিক মাসগুলোয় ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগাল।
এরপর সোমবার ফ্রান্স ছাড়াও অ্যান্ডোরা, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা ও মোনাকো ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৮৮ সালে ফিলিস্তিনি মুক্তিসংগ্রামের নেতা ইয়াসির আরাফাত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকে এ নিয়ে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যদেশের মধ্যে ১৫৭টি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল। সেই হিসাবে বিশ্বের ৮০ শতাংশের বেশি দেশ এই স্বীকৃতি দিল।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি বিশ্বের এমন সমর্থনের পরও গতকাল গাজাজুড়ে অন্তত ৩৮ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। উপত্যকাটির উত্তরে গাজা নগরীর আরও ভেতরে প্রবেশ করে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তারা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর প্রায় দুই বছরে সেখানে ৬৫ হাজার ৩৮২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৬৬ হাজার ফিলিস্তিনি।
রাষ্ট্র ফিলিস্তিনিদের অধিকার, পুরস্কার নয়জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যদেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন। এগুলোর কোনো একটি দেশ কোনো প্রস্তাবের বিষয়ে ভেটো (নারাজি) দিলে সেটি নাকচ হয়ে যায়। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের আগে নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী আরও দুই সদস্য রাশিয়া ও চীন ১৯৮৮ সালে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংকট সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৩ সালে অসলো চুক্তি হয়। এর মাধ্যমে যে শান্তিপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তার ভিত্তি ছিল এই দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান। যদিও ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্রদের অনাগ্রহের কারণে এ উদ্যোগ আলোর মুখ দেখেনি।
সোমবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বলেন, ‘আমরা এখানে একত্র হয়েছি, কারণ সময় এসে গেছে। দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে ক্ষমতার মধ্যে থাকা সবকিছু করা আমাদের দায়িত্ব।’
সম্মেলনের আরেক আয়োজক দেশ সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ বিন সালমান উপস্থিত ছিলেন না। তাঁর পক্ষে সম্মেলনে যোগ দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান। ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে স্বাগত জানান তিনি। ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, একমাত্র দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়ন করা হলে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার কারণে সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারেননি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তবে ভার্চুয়্যালি যুক্ত হয়ে তিনি বিশ্বের বাকি দেশগুলোকেও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান। আর সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘একটি রাষ্ট্র ফিলিস্তিনিদের অধিকার, কোনো পুরস্কার নয়।’
নিউইয়র্কের এই সম্মেলনে রোববার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশ যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন গত বছর ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া তিন দেশ স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ডের নেতারা।
তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, জার্মানি ও ইতালির কোনো প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগ দেননি। ইউরোপের প্রভাবশালী দেশ জার্মানি ও ইতালি জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা নেই তাদের।
দ্রুত সংঘাত বন্ধ চান ট্রাম্পগতকাল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ, অবৈধ অভিবাসন, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের পাশাপাশি গাজা ইস্যু নিয়ে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘গাজায় একটি যুদ্ধবিরতির জন্য গভীরভাবে যুক্ত আছে যুক্তরাষ্ট্র। আমাদের দ্রুত গাজায় সংঘাত থামাতে হবে।’
আলোচনার মাধ্যমে গাজায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে উল্লেখ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, গাজায় বন্দী থাকা বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে হবে। জীবিত ২০ জনের সবাইকে ফিরিয়ে আনতে হবে। মৃত ৩৮ জনের মরদেহও ফেরাতে হবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের হামলা চালিয়েছিল হামাস। এই হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। প্রায় আড়াই শ জনকে জিম্মি করে নিয়ে আসা হয় গাজায়। সেদিন থেকেই উপত্যকাটিতে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েল সরকারের হিসাবে, গাজায় এখন ৪৭ জন জিম্মি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২০ জন জীবিত আছে বলেন ধারণা তাদের।
ফিলিস্তিনকে বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, এটি হামাসকে পুরস্কৃত করবে। শান্তি প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন যুক্তিসংগত প্রস্তাব বারবার প্রত্যাখ্যান করছে ফিলিস্তিনি এই সংগঠন।
মুসলিম নেতাদের সঙ্গে বৈঠকজাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে গতকাল মুসলিম আটটি দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল ট্রাম্পের। দেশগুলো হলো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিসর, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তান। সেখানে গাজা সংঘাত বন্ধে ট্রাম্প একটি প্রস্তাব তুলে ধরবেন আশা করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনা করার কথা ছিল।
আরব ও ইসরায়েলি সূত্রের বরাতে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২–এর খবরে বলা হয়েছে, ওই বৈঠকে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, সেখানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আঞ্চলিক দেশের সেনা মোতায়েন, উপত্যকাটিতে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং পুনর্গঠনের বিষয়ে নিজের পরিকল্পনা কথা মুসলিম নেতাদের জানাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এই বৈঠকে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সোমবার দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের লক্ষ্যে আয়োজিত সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে প্রস্তুত আছে তাঁর দেশ। এদিন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সময় একই পরিকল্পনার কথা বলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাখোঁও। তাঁর প্রস্তাবিত একটি কাঠামোয় সংঘাত শেষে গাজার শাসনভার ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার কাজে সহায়তার জন্য একটি ‘আন্তর্জাতিক বাহিনী’ গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।
‘তিনভাবে’ জবাব দিতে পারে ইসরায়েলফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির বিষয়টি ‘সার্কাস’ বলে আখ্যা দিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূত ড্যানি ড্যানন। এর আগে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও পর্তুগাল ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ইসরায়েলের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, এই স্বীকৃতির জবাবে পশ্চিম তীরের কিছু অংশ ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। বহু আগে থেকেই এই অঞ্চলে অবৈধ বসতি স্থাপন করে আসছে ইসরায়েল।
এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল তিন উপায়ে ফিলিস্তিনকে পশ্চিমাদের স্বীকৃতির জবাব দিতে পারে বলে মনে করেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিডল ইস্ট কাউন্সিল অব গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক পরিচালক আদেল আবদেল গাফার।
আল–জাজিরাকে আদেল আবদেল গাফার বলেন, ইসরায়েল প্রথম যে পদক্ষেপটি নিতে পারে তা হলো, ফিলিস্তিনের আরও ভূখণ্ড ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করা। এর লক্ষ্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্র যেন বাস্তবতার মুখ না দেখে। দ্বিতীয় পদক্ষেপটি হলো, যেসব দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কমিয়ে আনা। আর শেষ পদক্ষেপটি হলো, স্বীকৃতি দেওয়া কিছু দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা। যেমন অস্ট্রেলিয়া। দেশটিতে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। এমন দেশগুলোয় বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষগুলো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে ইসরায়েল, যেন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি বাতিল করা যায়।