পিআর পদ্ধতি নিয়ে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব জাকসু ভিপি জিতুর
Published: 24th, September 2025 GMT
পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের জনগণ শতভাগ বোঝে না, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগে এ পদ্ধতিতে মানুষ ভোট দিতে চায় কিনা তা জানতে গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে শরীয়তপুরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, “উন্নত দেশগুলোতে পিআর পদ্ধতি চালু রয়েছে। আমরা উন্নত দেশগুলোর বিভিন্ন কাঠামো অনুসরণ করার চেষ্টা করেছি, বিশেষ করে শিক্ষা খাতে নানা পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল, কিন্তু সেগুলো সফল হয়নি। তাই বাংলাদেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোটের আয়োজন করা উচিত। জনগণ যদি গণভোটে পিআর পদ্ধতির পক্ষে রায় দেয়, তবে সেটি বাস্তবায়ন করা উচিত।”
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা আগামীতে এমন রাজনীতি বিনির্মাণ করতে চাই, যেখানে যোগ্যতার ভিত্তিতে কামার ও কুমারের ছেলে-মেয়েরা সুষ্ঠু রাজনীতি করার সুযোগ পাবেন। আমরা বিশ্বাস করি, সুষ্ঠু গণতন্ত্রের চর্চ্চা আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত হবে।”
ঢাকা/সাইফুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পিআর পদ্ধতি আনতে চাইলে জনগণের কাছে যান: ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, “পিআর পদ্ধতি আনতে চাইলে জনগণের কাছে যান, নির্বাচিত হয়ে সংসদে যান, সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করুন, তারপর সংবিধান পরিবর্তন করে পিআর পদ্ধতি চালু করুন।”
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আরো পড়ুন:
এনসিপি পাবে ১৫০ আসন, তবে বিএনপি ৫০-১০০ এর বেশি পাবে না
যশোরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে পেট্রোল পাম্প দখলচেষ্টার অভিযোগ
তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের মানুষ বুঝে ফেলেছে-নির্বাচন মানেই আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। কিন্তু সেই ভোটকে মৃত ব্যক্তির ভোট দিয়ে জালিয়াতি করেছে শেখ হাসিনা। এখন তিনি দিল্লিতে বসে দোসরদের দিয়ে বাংলাদেশে চক্রান্ত চালাচ্ছেন।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় আওয়ামী দোসর কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত করা যাবে না। হাসিনার প্রেত্মাতারা এখনো সচিবালয়ে বসে আছে। তাই আমাদের দাবি-আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে যারা ২০১৪ সালে ‘কুকুরের উপস্থিতিতে’, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে এবং ২০২৪ সালে দিনের ভোট রাতেই করেছেন, সেই প্রেত্মাতারা যেন কোনোভাবেই সম্পৃক্ত না হতে পারে।”
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, “আপনাকে আমরা একজন সৎ ও দক্ষ ব্যক্তি হিসেবে জানি। অনুরোধ থাকবে-আগামী ২০২৬ সালের নির্বাচন পরিচালনায় যেন কোনোভাবেই আওয়ামী প্রেত্মাতারা, যারা অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তারা দায়িত্ব পালন করতে না পারে। এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।”
গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওবাদুর রহমান টিপুর সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা/রায়হান/এসবি