রূপগঞ্জে জামায়াত নেতৃবৃন্দের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তি দাবি
Published: 28th, September 2025 GMT
রূপগঞ্জের উত্তর থানা আমীর মাহফুজুল ইসলাম আবদুল মজিদসহ নেতৃবৃন্দ ও কর্মীদের ওপর হামলা আহত করা এবং বেশ কয়েকজন কর্মীকে মারপিট করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং দোষীদের শাস্তি দাবী করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর মুহাম্মদ মমিনুল হক সরকার এবং জেলা সেক্রেটারী মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান ।
বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন। একটি দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে জন সব সম্প্রদায়ের মানুষের সূখে দুঃখে তাদের পাশে থাকা জামায়াতে ইসলামীর অন্যত কর্মসূচী।
এই কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে সাক্ষাৎ ও তাদের সাথে মত বিনিময় এবং তারৈল পূজা মণ্ডপের খোজ খবর নিয়ে ফেরার পথে স্থানীয় বি এন পি কর্মী বাদশা মিয়া ও আবদুস সালামের নেতৃত্বে বি এন পির কর্মী পরিচয়দানকারী কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল লোক তাদেরকে পথ রোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করে।
একই দিনে তারা জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের ভয় ভীীত প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় এবং আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী আনোয়ার হোসাইন মোল্লার অনেকগুলো ফেস্টুন ভাঙচুর করে ও ছিড়ে ফেলে দেয়।
বিবৃতিতে তারা বলেন, দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের পর দেশবাসী মত প্রকাশ ও গণতন্ত্র চর্চার অবাধ ও মুক্ত পরিবেশের প্রত্যাশা করেছিল। জুলাই আন্দোলনসহ দীর্ঘ সতেরো বছরের লড়াই সংগ্রামে অসংখ্য মানুষের জীবন অঙ্গহানি শাহাদাত আর ত্যাগের বিনিময়ে যে মুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি সেই বাংলাদেশে এভাবে একটি রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও কর্মী বাহিনীকে পথরোধ করে লাঞ্ছিত করা, কর্মীদেরকে মারধর করা অস্ত্রের মহড়া দেয়া আইন ও গণতন্ত্রের সাথে যায় না। তাদের এই কর্মকান্ড আইন মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির সম্পূর্ণ বিপরীত।
বিবৃতিতে নেতৃদয় আরো বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে যেখানে সকলের কাছে গণতান্ত্রিক এবং ন্যায়নুগ আচরণ কাম্য সেখানে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের কর্মী পরিচয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা কর্মীদের সাংগঠনিক কাজে বাঁধা প্রদান, তাদেরকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করা, ফেস্টুন ভেঙে ফেলা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
তাদের এই ন্যাক্কারজনক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, একই সাথে গণতান্ত্রিক রাজনীতির স্বার্থে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে তাদের কর্মীদেরকে এই ধরণের ঘৃণ্য কাজ হতে বিরত রাখার জন্য আহবান জানান।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ র জন ত ক কর ম দ র ইসল ম র র কর ম
এছাড়াও পড়ুন:
র্যাবের অভিযান টের পেয়ে সন্ত্রাসীর এলোপাতাড়ি গুলি, গৃহবধূ গুলিবিদ্ধ
নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর এলাকায় এক সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীকে ধরতে অভিযানে যায় র্যাবের গোয়েন্দা দল। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন জাহিদ ও তাঁর সহযোগীরা। এতে পাশের বাড়ির এক গৃহবধূ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার বিকেলে মাসদাইর গাইবান্ধা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ গৃহবধূর নাম জবা আক্তার (২২)। তিনি গাইবান্ধা বাজার এলাকার ভাড়াটিয়া মো. রহিম উদ্দিনের স্ত্রী। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মাসদাইর এলাকায় কৃষক দলের নেতা পারভেজের ওপর হামলা ও গুলি চালান সন্ত্রাসী জাহিদ ও তাঁর সহযোগীরা। এ ঘটনার পর জাহিদকে ধরতে তৎপরতা শুরু করে র্যাব-১১। আজ বিকেলে মাসদাইর গাইবান্ধা বাজার এলাকায় র্যাবের গোয়েন্দা দলের সোর্স যান। বিষয়টি বুঝতে পেরে জাহিদ ও তাঁর সহযোগীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান। এতে পাশের বাড়িতে রান্না করার সময় এক নারী গুলিবিদ্ধ হন।
গৃহবধূর স্বামী মো. রহিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর স্ত্রী বাড়িতে রান্না করছিলেন। হঠাৎ একটি গুলি এসে তাঁর বুকে লাগে। খবর পেয়ে তিনিসহ আশপাশের লোকজন তাঁকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মো. হাসিনুজ্জামান বলেন, সন্ত্রাসী জাহিদ ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
যোগাযোগ করা হলে র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সন্ত্রাসী জাহিদ ও তাঁর সহযোগীদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে র্যাবের সোর্স সেখানে যান। র্যাবের অভিযানকারী দল পৌঁছানোর আগেই সন্ত্রাসী জাহিদ ও তাঁর সহযোগী এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ত্রাসী জাহিদ মাদক ব্যবসায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজনের ওপর হামলার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা আছে।