পিআরের নামে জামায়াত ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে: কায়সার কামাল
Published: 30th, September 2025 GMT
পিআর পদ্ধতির নামে জামায়াতে ইসলামে দেশে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার চানপুর এলাকায় রামকৃষ্ণ আশ্রমে দুর্গাপূজার অষ্টমীতে কুমারী পূজার একটি অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কায়সার কামাল বলেন, ‘এখানে যাঁরা পিআরের কথা বলছেন, পিআরের জন্য কিন্তু দেশের মানুষ রক্ত দেয় নাই। পিআর নিয়ে যাঁরা দাবি করছেন, তাঁরা অনেকেই জানেন না পিআর কী জিনিস? সংসদীয় গণতন্ত্রের সূতিকাগার হচ্ছে ইংল্যান্ড। যারা পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসির উদ্ভাবক। তাদের দেশেও এখন পর্যন্ত পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হয় নাই। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত—যারা ডেমোক্রেসি প্র্যাকটিস করে, তাদের দেশেও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হয় না। পিআরের নাম নিয়ে জামায়াতে ইসলামী ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করার জন্য বাংলাদেশে অপপ্রয়াস চালাচ্ছে, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে, তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিতে হবে।’
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতির নামে নির্বাচনকে প্রলম্বিত বা বানচাল করার চেষ্টা করছে। তারা দেশে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে। ষড়যন্ত্রটা কী, সেটা হচ্ছে—যেন গণতান্ত্রিক পরিবেশ বাংলাদেশে আর না হয়। বাংলাদেশে যেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হয়।’
কায়সার কামাল বলেন, ‘পিআরের দাবি থাকতেই পারে; কিন্তু যাদের দাবি আছে, তাদের দাবি নির্বাচনী মেনিফেস্টো (ইশতেহার) দিয়ে দিতে পারে। যারা বিভিন্ন ঠুনকো বাহানায় নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন রকমের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছে, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছিলাম আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে। এই গণতান্ত্রিক ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি। আপনারা-আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে সেই সংগ্রামে আমরা যুক্ত ছিলাম ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। এই ফ্যাসিবাদবিরোধী যে গণতান্ত্রিক ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, আসুন আমরা সেই গণতান্ত্রিক ঐক্যকে সমুন্নত রাখি, আরও শক্তিশালী করি।’
কুমারী পূজা নিয়ে কায়সার কামাল তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘কুমারী পূজা হলো নারীকে মাতৃশক্তির প্রতীক হিসেবে শ্রদ্ধা করা। হিন্দুধর্মের শাস্ত্রে আছে, প্রত্যেক নারীর মধ্যেই দেবীশক্তি বিদ্যমান। এই পূজার মাধ্যমে সেই শক্তিকে সম্মান জানানোর জন্য কুমারী পূজা করা হয়। স্বামী বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মিশনে প্রথম কুমারী পূজা প্রচলন করেন। এই দুর্গাপূজার মধ্য দিয়ে সবার মধ্যে সম্প্রীতি বিরাজমান হোক।.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক প আর র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানে হত্যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করার প্রতিবাদে বিক
রাজধানীর মিরপুর থানায় দায়ের করা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যা মামলায় শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে উপজেলা বিএনপি এবং সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় উপজেলার কোদালপুর বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বাজার প্রদক্ষিণ করে কোদালপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিক্ষোভ
খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা বহাল, ২ মহাসড়কে অবরোধ শিথিল
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার মিরপুর থানায় ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রধান আসামি করে গণঅভ্যুত্থানে নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অবিলম্বে মামলা থেকে নিরপরাধ বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির সদস্য তারেক আজিজ মোবারক ঢালী বলেন, ‘‘যেসব বিএনপি নেতাকর্মীর নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তারা সকলে বিগত দিনে স্বৈরাচারি হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে আমার সঙ্গে কাজ করেছেন। তাদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমরা চাই অবিলম্বে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হোক।’’
কোদালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম সালু মৃধা বলেন, ‘‘বিগত দিনে বিএনপি করার কারণে আমরা মামলা খেয়েছি, জেল খেটেছি, হামলার শিকার হয়েছি। এখন আবার আমাদের নাম একই মামলায় জড়ানো হয়েছে। এটি ঘৃণিত ষড়যন্ত্র, এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।’’
ভুক্তভোগী উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন মৃধা বলেন, ‘‘আমি বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলাম। এমনকি, জুলাই আন্দোলনেও অংশ নিয়েছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর আমার নাম মিরপুর থানার মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।’’
তিনি এর তীব্র নিন্দা এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান।
ঢাকা/আকাশ/বকুল