সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রাজশাহীর সাংবাদিক মাসুমা আক্তার মারা গেছেন
Published: 18th, February 2025 GMT
বেসরকারি টেলিভিশন ‘এখন’ টিভির রাজশাহী ব্যুরোতে কর্মরত প্রতিবেদক মাসুমা আক্তার মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার ভোর সোয়া চারটার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গত শুক্রবার কুমিল্লায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চার দিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
মাসুমা আক্তারের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুরের নারায়ণপুর গ্রামে। তাঁর শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লায়। মাসুমা রাজশাহী নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে লেখাপড়া করেছেন। সাংবাদিকতা শুরু করেন ২০১৪ সালে। রাজশাহীর স্থানীয় গণমাধ্যমে কাজের পর ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর এখন টিভির রাজশাহী ব্যুরো অফিসে কাজ শুরু করেন।
এখন টিভির রাজশাহী অফিসের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রাকিবুল হাসান বলেন, শুক্রবার বিকেলে মাসুমা ছুটি নিয়ে স্বামীর সঙ্গে কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন। কুমিল্লায় বাস থেকে নেমে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া নিতে চালকের সঙ্গে কথা বলছিলেন তাঁরা। এ সময় একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে তাঁরা দুজন রাস্তার ওপর ছিটকে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। রাস্তার ওপর পড়ে গিয়ে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান মাসুমা। উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা থেকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
মাসুমা আক্তারের মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজ, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নাটোরে গ্রামের বাড়িতে আজ মঙ্গলবার জানাজা শেষে তাঁর দাফন করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে নৌপরিবহন উপদেষ্টাকে অবাঞ্ছিতের ঘোষণায় শোকজ, পরে ক্ষমা প্রার্থনা
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে চট্টগ্রাম বন্দরে অবাঞ্ছিত করার ঘোষণা দেওয়ার পর ক্ষমা চেয়েছেন সাবেক সিবিএ নেতা হুমায়ুন কবীর।
নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ২৮ জুন চট্টগ্রাম বন্দর অকশন শেড সংলগ্ন শ্রমিক দলের কার্যালয়ে এক কর্মীসভায় ওই সাবেক সিবিএ নেতা উপদেষ্টাকে নিয়ে এমন অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন। তবে পরে এমন বক্তব্য ভুলবশত, অনিচ্ছাকৃত এবং অজ্ঞতাবশত বলে উল্লেখ করেন তিনি। এমন অসৌজন্যমূলক বক্তব্য প্রত্যাহার করে উপদেষ্টার কাছে এক কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন হুমায়ুন কবীর।
ওই সাবেক সিবিএ নেতার এমন বক্তব্যের কারণ জানতে চেয়ে গত ১ জুলাই কারণ দর্শানো নোটিশ ইস্যু করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে তাকে এর উত্তর জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে নোটিশের জবাবে হুমায়ুন কবীর ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
মো. হুমায়ুন কবীর চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও পরিদর্শন বিভাগের সুপারিন্টেনডেন্ট অডিট হিসেবে কর্মরত। তিনি চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের (সাবেক সিবিএ) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। এনসিটি বিদেশিদের কাছে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। সর্বশেষ এক কর্মসূচিতে উপদেষ্টাকে নিয়ে বক্তব্যের মাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় আসেন তিনি।