‘জাতীয় সংগীত শুনতেই হামজার গায়ে কাটা দেবে’, অভিজ্ঞতা শুনালেন জামাল
Published: 19th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয় দলে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরী। ২৭ মার্চ শিলংয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল। ম্যাচ শুরুর আগে জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ শুনলে হামজার লোম দাঁড়িয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া।
২০১৩ সালে জাতীয় দলের জার্সিতে নেপালের বিপক্ষে অভিষেক হয় হামজার। তার অভিজ্ঞতা ওমনই ছিল বলে উল্লেখ করেন ডিফেন্সিভ এই মিডফিল্ডার, ‘হামজা যখন জাতীয় সংগীত শুনবে, তার গায়ে কাঁটা দেওয়া শুরু করবে। আমারও একই রকম হয়েছিল। হয়তো শুরুতে ওর একটু নার্ভাস লাগবে, তবে ম্যাচ শুরু হয়ে গেলে ঠিক হয়ে যাবে।’
শিলংয়ের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সৌদি আরবে ক্যাম্প করেছে বাংলাদেশ দল। জামাল জানিয়েছেন, সৌদিতে শীত ছিল। শিলংয়েও শীত। যে কারণে তাদের খুব একটা অসুবিধা হবে না। হামজার কিছুটা অসুবিধা হতে পারে, ‘শিলংয়ের ঠান্ডা চ্যালেঞ্জিং হবে না। কারণ সৌদি ক্যাম্পে ঠান্ডা ছিল। হয়তো হামজার একটু সমস্যা হবে। তবে সে বিশ্বমানের ফুটবলার মানিয়ে নিতে পারবে।’
হামজা চৌধুরী বাংলাদেশ দলে যোগ দেওয়ায় নড়ে-চড়ে বসেছে ভারত। অবসর নেওয়া অভিজ্ঞ ফুটবলার সুনীল ছেত্রীকে ফিরিয়েছে তারা। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে যেন হারতে না হয় সেভাবেই যেন আঁটঘাট বেধেছে দলটি। দু’জনের তুলনায় জামাল বলেন, সুনীল ছেত্রী ভালো ফুটবলার। তবে হামজা প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়।’
হামজার মতো জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন নিয়ে ইতালি থেকে এসেছিলেন ১৮ বছর বয়সী ফাহমিদুল হক। তবে সৌদি ক্যাম্প থেকে ফিরে যেতে হয়েছে তাকে। ফাহমিদুলকে বাদ দেওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন ভক্তরা। অনুশীলনে ওই ফুটবলার ভালো করেছেন স্বীকার করলেও কোচের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছেন জামাল, ‘একটা খেলোয়াড় ভালো করতে পারে। খারাপও করতে পারে। সে আসলে ভালো অনুশীলন করেছে। কোচ যেটা বলছেন- সে এখনো প্রস্তুত না। কোচের প্রতি আমাদের সম্মান রাখতে হবে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কল্পনা চাকমার অপহরণের বিচার চেয়ে ফেরার পথে হামলার অভিযোগ, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির নিন্দা
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী কল্পনা চাকমার অপহরণকারীদের বিচার চেয়ে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে ফেরার পথে কয়েকজনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, চিকিৎসক হারুন-অর-রশীদ, সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা ও নারীনেত্রী সীমা দত্ত।
বিবৃতিতে বলা হয়, কল্পনা চাকমার অপহরণের ২৯ বছর উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা শহরের আশিকা কনভেনশন হলে বৃহস্পতিবার সকালে আলোচনা সভার আয়োজন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন। সেখানে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশা, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য মার্জিয়া প্রভা এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউল্যাবের শিক্ষক অলিউর রহমান সান।
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির অভিযোগ, আলোচনা শেষে চট্টগ্রামে ফেরার পথে তাঁদের ওপর হামলা করে কতিপয় দুর্বৃত্ত। এ হামলার আগে আলোচনা সভাস্থলে আসা বিভিন্ন এলাকার বাসগুলোর বাঙালি চালকদের তুলে নিয়ে নির্যাতন করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ হামলা ও নির্যাতনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই অভ্যুত্থানের মূল স্লোগান ছিল একটি বৈষম্যহীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জবাবদিহিমূলক বাংলাদেশ। কিন্তু রাঙামাটির এ ঘটনা প্রমাণ করে, সেই স্বপ্ন আজও অধরা।
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি মনে করে, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংবিধানিক অধিকার ও মানবাধিকারের প্রশ্নে রাষ্ট্রের উদাসীনতা ও আক্রমণাত্মক মনোভাব বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য শহীদদের আত্মদানের সঙ্গে বেইমানি ছাড়া আর কিছুই নয়।
কিছুদিন আগে ঢাকায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যদের মিছিলে হামলার ঘটনার কোনো কার্যকর বিচার এখনো হয়নি উল্লেখ করে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি বলেছে, প্রতিনিয়ত নানা স্থানে নারীসহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ওপর পরিকল্পিত সংঘবদ্ধ আক্রমণ চলছে। এসব থামাতে রাষ্ট্রের উদাসীনতা অগণতান্ত্রিক শক্তির অপতৎপরতা বৃদ্ধিতে শক্তি জোগাচ্ছে।
কল্পনা চাকমার অপহরণসহ সব খুন-গুমের বিচার দাবি করেছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। একই সঙ্গে দেশের সব জনগোষ্ঠীর নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে সবাইকে সচেতনভাবে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ১১ জুন মধ্যরাতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার লাইল্যাঘোনায় নিজ বাড়ি থেকে অপহৃত হন কল্পনা চাকমা। পরদিন কল্পনার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা বাদী হয়ে বাঘাইছড়ি থানায় অপহরণের মামলা করেন।