মেসিকে নিয়ে যে ‘সমস্যা’ ছিল, আছে, থাকবেও
Published: 3rd, May 2025 GMT
লিওনেল মেসিকে নিয়ে সমস্যা?
মেসি-সমর্থকদের অনেকের ভ্রু কুঁচকে উঠতে পারে। যে খেলোয়াড় ম্যাচের পর ম্যাচ, বছরের পর বছর দলের জন্য ‘সমাধান’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, তিনিই কিনা ‘সমস্যা’। হ্যাঁ, সমস্যাই। এমন সমস্যা, মেসিকে নিয়ে সব দলের সব কোচই যার মুখোমুখি হয়েছিলেন। এখনো হচ্ছেন। এমনকি ভবিষ্যতেও হবেন।
আর সমস্যাটা তুলে ধরেছেন, এমন একজন—যিনি মেসির ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময়ই তাঁর পাশে ছিলেন। মেসির দীর্ঘদিনের এই সঙ্গীর নাম হাভিয়ের মাচেরানো।
২০০৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মেসি–মাচেরানো একসঙ্গে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। এর মধ্যে ২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত একসঙ্গে ছিলেন বার্সেলোনায়ও। এখন দুজনই ইন্টার মায়ামিতে, মেসি খেলোয়াড়, মাচেরানো কোচ।
মায়ামিতে মেসি-মাচেরানো জুটির সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছে না। লিগ (এমএলএস) ও মহাদেশীয় (কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস লিগ) প্রতিযোগিতার সর্বশেষ তিন ম্যাচেই হেরেছে ইন্টার মায়ামি। আর দলের সর্বশেষ চার ম্যাচেই গোল করতে পারেননি মেসি। এ ক্ষেত্রে মেসিকে নিয়ে ‘কমন সমস্যার’ কথা তুলে ধরেছেন মাচেরানো।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে মাচেরানোকে এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেন, ইন্টার মায়ামিতে মেসির ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল কি না? প্রশ্ন শুনে হেসে দেন মাচেরানো।
ইন্টার মায়ামিতে মেসির কোচ মাচেরানো।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইন ট র ম য় ম সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।
এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।
বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা