কিশোরীকে অপহরণের পর বিয়ে, সালিসে বাবাকে পিটিয়ে হত্যা
Published: 2nd, August 2025 GMT
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সালিস বৈঠকে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার দুপুরে নিহত ব্যক্তির (৫৮) লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা বলেন, গত বুধবার একই এলাকার মুহাম্মদ রিফাত নামের এক তরুণ কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে নিহত ওই ব্যক্তির অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়েকে অপহরণ করেন। এরপর নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক বিয়ে করেন। ওই রাতেই হাটহাজারী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। এরপর পুলিশ নোয়াখালীর সুবর্ণচর থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এসব নিয়ে শনিবার রাতে উভয় পক্ষ সালিস বৈঠকে বসে। সেখানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা স্কুলছাত্রীর কাছে ঘটনা জানতে চান। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। একপর্যায়ে স্কুলছাত্রীর বাবাকে মারধর করা হয়। পরে স্বজনেরা উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানতে চাইলে হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু কাউসার মুহাম্মদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। শুক্রবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রূপ নয়, সাহস দিয়ে জয় করা এক নায়িকা
বলিউডে একসময় রাজত্ব ছিল মুমতাজের। তবে সেই রাজত্ব এক দিনে গড়ে ওঠেনি। তাঁকে পাড়ি দিতে হয়েছে অভাব, অবহেলা, প্রতিকূলতা আর নীরব যুদ্ধের পথ।
আজ ৩১ জুলাই, মুমতাজের জন্মদিন। এই দিনে তাঁকে মনে করার মানে শুধুই তাঁর রূপ ও অভিনয় নয়—তাঁর আত্মত্যাগ, মানসিক দৃঢ়তাকেও সম্মান জানানো।
শুরুর শুরু
১৯৪৭ সালের এই দিনে বোম্বেতে (বর্তমান মুম্বাই) জন্ম নেন মুমতাজ। বাবা আবদুল সামিদ আসকারী ও মা সরদার বেগম হাবিব আগা (চলচ্চিত্রে ‘নাজ’ নামে পরিচিত)। মা ছিলেন চলচ্চিত্রে যুক্ত, বোন মালিকাও কিছুদিন সিনেমায় ছিলেন, তবে বিয়ের পর বিদায় নেন।
মাত্র পাঁচ বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে ‘সংসার’ (১৯৫২) ছবিতে প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান মুমতাজ। এরপর ‘ইয়াসমিন’ (১৯৫৫), ‘লজ্জাবন্তী’, ‘সোনে কি চিড়িয়া’(১৯৫৮), ‘স্ত্রী’ (১৯৬১)—এমন অনেক ছবিতে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন। কিন্তু আর্থিক দুরবস্থার কারণে তাঁকে নিয়মিত কাজ করতে হতো। তাঁর শৈশব কেটেছে স্টুডিওর আনাচকানাচে, আলোর বাইরে, ‘স্টান্ট গার্ল’ হিসেবে কাজ করে।
নায়িকা নয় যুদ্ধের পথ
মুমতাজ পূর্ণবয়স্ক চরিত্রে প্রথম অভিনয় করেন ১৯৬৩ সালে ও পি রলহানের ‘গোহরা দাগ’ ছবিতে। এরপর আতাউল্লাহ খানের ‘পাঠান’ ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় সাইন করলেও ছবিটি শেষ হয়নি। তখনো বলিউডে নায়িকা হওয়ার মতো ‘গ্রেস’ ছিল না বলেই অনেকে মনে করতেন। তাই বি গ্রেড অ্যাকশন ছবিতে কাজ শুরু করেন, তা–ও আবার শারীরিক কসরতের ঘরানায়।