চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পৌর এলাকায় ছিন্নমূল, ভবঘুরে ও অসহায় মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করেছেন সুহৃদরা। ৩ মে সুহৃদ সমাবেশ গোমস্তাপুর উপজেলা ইউনিটের আয়োজনে পঞ্চাশের অধিক মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয় দুপুরের খাবার।
রহনপুর স্টেশন চত্বরের প্ল্যাটফর্মে কয়েক দিন ধরে শুয়ে থাকা অসহায় ছিন্নমূল মহিলা রহিমা বেগম জানান, ‘হামি (আমি) খুব খুশি হইয়াছি। কবে যে বিরিয়ানি খাইয়াছি (খেয়েছি) মনে নাই। আল্লাহ তোরঘে (তোমাদের) ভালো করুক বাপু।’
রাস্তার পাশে না খেয়ে ঘুরতে থাকা অনেকেই খাবার পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন। তারা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
শাহীন আলম বলেন, ‘দরিদ্র মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার এ আয়োজন খুবই ভালো উদ্যোগ। সবাই এগিয়ে এলে শুধু আজ নয়, এমন উদ্যোগ প্রতিদিনই হতে পারে।’
কর্মসূচি নিয়ে মুরশেদুল হাসান সাগর বলেন, ‘শহরের বিভিন্ন স্থানে এসব মানুষ মুড়ি বা নষ্ট খাবার খেয়ে ক্ষুধা নিবারণের চেষ্টা করেন। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা শহর ঘুরে ঘুরে পঞ্চাশের অধিক ছিন্নমূল মানুষের হাতে বিরিয়ানির প্যাকেট তুলে দিয়েছি। এ উদ্যোগ অব্যাহত রাখার বিষয়েও আমরা চিন্তা করছি।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুহৃদ সভাপতি মুরশেদুল হাসান সাগর, সাধারণ সম্পাদক সিফাত শাহারিয়ার কিয়াম, প্রচার-প্রচারণা সম্পাদক আমির হামজা, সমাজকল্যাণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সাংবাদিক শাহীন আলম, আজিজুল, সম্রাট রেজা, ইমতিয়াজ প্রমুখ।
এর আগে প্রস্তুতি সভায় স্থান, সময় ও খাবারের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। সবার সার্বিক সহযোগিতা ও প্রচেষ্টায় কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়।
সমন্বয়ক সুহৃদ সমাবেশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: খ ব র ব তরণ

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা অব্যাহত, শুক্রবারের হামলায় আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বরতা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। স্থানীয় সময় শুক্রবার উপত্যকাটিতে আরও ৮২ জন নিহত হয়েছেন।

এরমধ্যে মধ্য গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭ জন। তাদের ২৩ জন ত্রাণ আনতে গিয়ে দখলদারদের হাতে নিহত হয়েছেন। গাজা সিটিতে নিহত হয়েছেন আরও ২৩ জন। আর দক্ষিণ গাজায় প্রাণ গেছে ২২ জনের। এদের মধ্যে ১১ জন ত্রাণ আনতে গিয়েছিলেন।

এদিকে গাজা যুদ্ধ চলমান থাকায় টানা দ্বিতীয় বছরের মতো শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর সহিংসতার কারণে ইসরায়েলকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করেছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৪ সালে যুদ্ধপীড়িত অঞ্চলে শিশুদের ওপর সহিংসতা ‘চরম মাত্রায়’ পৌঁছেছে। এর মধ্যে গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

‘সশস্ত্র সংঘাতে শিশু’বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর বিশ্বব্যাপী শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর সহিংসতার ঘটনা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৪ সালে মোট ৪১ হাজার ৩৭০টি গুরুতর সহিংসতা যাচাই করে দেখা গেছে, এর মধ্যে শিশুদের হত্যা, শারীরিকভাবে আহত করা, যৌন সহিংসতা এবং স্কুল-হাসপাতালে হামলার মতো ঘটনা রয়েছে।

এর মধ্যে শুধু ফিলিস্তিন ভূখণ্ড ও ইসরায়েলে ২ হাজার ৯৫৯ শিশুর বিরুদ্ধে ৮ হাজার ৫৫৪টি গুরুতর সহিংসতার ঘটনা নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। এই সংখ্যা অনুযায়ী, গাজায় গত এক বছরে  ১ হাজার ২৫৯  ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে এবং ৯৪১ জন আহত হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহত শিশুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২৪ সালে গাজায় আরও ৪ হাজার ৪৭০ শিশু নিহতের তথ্য যাচাই চলছে। অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ৯৭ ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যুর তথ্যও নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। সেখানে ৩ হাজার ৬৮৮টি শিশু অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।

সূত্র: আলজাজিরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ