পঞ্চগড়ের সাবেক ৩ এমপি ও ডিসি-এসপির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
Published: 6th, May 2025 GMT
পঞ্চগড়ে বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ আরেফিনকে হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক তিনজন সংসদ সদস্যসহ তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকেও।
মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশকে মামলাটি তদন্ত সাপেক্ষে এজাহার হিসেবে গণ্য করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গত সোমবার (৫ মে) পঞ্চগড় চিফ জুুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (আমলি আদালত-১) নিহত আরেফিনের স্ত্রী শিরিন আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওহাব আনসারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড
হিরো আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা
মামলার নথি ও আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, এই মামলায় ১৫৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। প্রধান আসামি হলেন পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন পঞ্চগড়-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম সুজন, পঞ্চগড়-১ আসনের সাবেক সংসদ সদসৌ নাঈমুজ্জামান মুক্তা, একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, তৎকালীন জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম, তৎকালীন পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিকুল ইসলাম, তৎকালীন পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, সাবেক মেয়র জাকিয়া খাতুন, পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক ৫ জন কাউন্সিলর- হাসনাত হামিদুর রহমান, লুৎফর রহমান, মোস্তফা কামাল, আরিফুর রহমান, আশরাফুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের ১৫৪ জন নেতাকর্মী। মামলায় ৪০০ থেকে ৭০০ জনকে নাম না জানা আসামি করা হয়েছে।
২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত গণমিছিল কর্মসূচির অংশ হিসেবে পঞ্চগড়ে মিছিল বের করে বিএনপি। এতে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। এসময় সংঘর্ষ শুরু হয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লাঠি নিয়ে বিএনপির মিছিলে হামলা করে। সংঘর্ষে প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হন। এসময় বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিনের মৃত্যু হয়।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্ববায়ক মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল বলেন, “কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সেদিন বিএনপির সহস্রাধিক নেতাকর্মী শান্তিপূর্ণভাবে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিল করছিল। হঠাৎ করেই পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিএনপির মিছিলে হামলা করে। পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। পার্টি অফিসের কাছেই আরেফিনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরেফিনের স্ত্রী বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছেন। আদালত তদন্ত সাপেক্ষে মামলা এজাহারবুক্ত করার জন্য সদর থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।”
ঢাকা/নাঈম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আওয় ম ল গ আর ফ ন র ন ত কর ম তৎক ল ন ব এনপ র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
পদ্মার প্রবল স্রোতে পাটুরিয়া লঞ্চঘাটে ভাঙন, জেটি বিলীন
পদ্মা নদীর প্রবল স্রোতে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে লঞ্চঘাটের জেটি (যেখান দিয়ে যাত্রী লঞ্চে ওঠানামা করেন) নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী এবং লঞ্চের শ্রমিক ও মালিকেরা। দ্রুত সময়ে ভাঙন প্রতিরোধে পদক্ষেপ না দিলে পুরো লঞ্চঘাট নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বর্তমানে লঞ্চঘাটের পশ্চিমে ২ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনে লঞ্চগুলোকে রাখা হয়েছে। সেখানে কোনোরকমে যাত্রীদের লঞ্চে ওঠানামা করানো হচ্ছে।
লঞ্চের মাস্টার ও সুকানিদের অভিযোগ, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ভাঙন দেখা দিলেও কর্তৃপক্ষ আগাম কোনো প্রস্তুতি নেয় না। এবারও যথাসময়ে ব্যবস্থা না নেওয়ায় বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
আজ বুধবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে প্রচণ্ড স্রোত বইছে। পশ্চিম পাশের জেটির অধিকাংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। অপর জেটিটিও নড়বড়ে অবস্থায় আছে। এর সম্মুখভাগ পানিতে তলিয়ে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে সেটিও নদীতে ধসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। লঞ্চঘাট ভেঙে যাওয়ায় এর পশ্চিমে ২ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনে লঞ্চগুলোকে রাখা হয়েছে। সেখানেই লঞ্চে যাত্রীরা ওঠানামা করছেন।
অপর জেটিটিও নড়বড়ে অবস্থায় আছে। এর সম্মুখভাগ পানিতে তলিয়ে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে সেটিও নদীতে ধসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আজ বুধবার সকালে পাটুরিয়া লঞ্চঘাটে