বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের উদ্যোগে সম্প্রীতি উৎসব উদযাপিত হয়েছে। 

রবিবার (১১ মে) সকালে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে জাতীয় সম্মিলিত শান্তি শোভাযাত্রা বের করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসবের উদ্বোধন করেন।

আরো পড়ুন:

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

ঢাবিতে গবেষণা পদ্ধতিবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা.

উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মি. মাইকেল মিলার।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, জাতীয় সম্মিলিত শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শান্টু বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজল বড়ুয়া, মহাসচিব অ্যাডভোকেট রিপন কুমার বড়ুয়া প্রমুখ। উৎসবের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রিটন কুমার বড়ুয়া স্বাগত বক্তব্য দেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “গৌতম বুদ্ধ শান্তির কথা, লোভ-লালসা থেকে দূরে থাকার কথা এবং বর্তমানকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার কথা বলেছেন। এই মুহূর্তে তার এসব বাণী ও শিক্ষা খুবই প্রাসঙ্গিক। তার এসব শান্তির বাণী আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে হবে।”

উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে সকল জাতিগোষ্ঠী ও ধর্ম-বর্ণের মানুষের সমান অধিকার রয়েছে। আমরা প্রথমবারের মতো ঢাকাসহ পাঁচটি জেলায় বুদ্ধ পূর্ণিমার সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ভবিষ্যতে দেশব্যাপী এ উৎসব উদযাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

আলোচনা পর্ব শেষে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শান্তি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি টিএসসি হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপলক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

এনসিপির নেতা-কর্মীরা ‘মিডিয়া ট্রায়ালের’ শিকার হচ্ছেন: তরিকুল ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা–কর্মীরা ‘মিডিয়া ট্রায়ালের’ শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলটির যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে যারা সম্মুখসারিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং আমাদের এনসিপির যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা অবশ্যই মিডিয়া ট্রাইয়ালের শিকার হচ্ছেন।’

মিডিয়াকে ব্যবহার করে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করার জন্য অনেক অপশক্তি বর্তমানে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তরিকুল ইসলাম। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জাতীয় যুব সম্মেলন ২০২৫ উপলক্ষে আজ রোববার রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তরিকুল ইসলাম এ কথা বলেন।

অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে কোনো রকম সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে জানান এনসিপির যুব সংগঠনের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এনসিপির নেতা–কর্মীদের বিতর্কিত করার জন্য এমন কোনো শক্তি নেই যে আজকে চেষ্টা অব্যাহত রাখছে না। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে তরুণেরা যখনই কিছু একটা করছে বা এনসিপি রিলেটেড (সম্পর্কিত) যখনই কিছু একটা আসছে, সেটা কিন্তু খবরের পাতার মধ্যে সাত দিন ধরে থাকে। কিন্তু সেই জিনিসটা অন্যদের ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি না। অনেক গুরুতর অনেক কিছু হয়ে যাচ্ছে কিন্তু সেগুলো কখনো মিডিয়ার মধ্যে আসছে না।’

এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, তাসনিম জারাসহ অন্যদের গত ৫ আগস্ট কক্সবাজারে যাওয়া নিয়ে তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘কক্সবাজারের একটা ইস্যু সামনে এনে সেখানে মিথ্যাচার করা হলো। বাংলাদেশের মেইনস্ট্রিম মিডিয়াতে (মূলধারার সংবাদমাধ্যম) প্রচার করা হলো, সেখানে একজন সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির নেতৃবৃন্দ যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের বৈঠক হয়েছে এবং সব জায়গায় প্রচার করা হলো। বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু এটা বিশ্বাস করে নিয়েছে যে আসলে আমাদের এনসিপির যাঁরা নেতৃবৃন্দ রয়েছেন, তাঁরা সেখানে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এটা কিন্তু একটি ভিন্ন বার্তা দেয়, এটি অবিশ্বাসের জন্ম দেয়।’

এনসিপির এই যুব নেতা বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি, বাংলাদেশের সব মিডিয়া থেকে শুরু করে যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে, তারা যেন আমাদের প্রতি সেই সহনশীল আচরণ প্রদর্শন করে। তারা যদি তরুণদেরকে রাজনীতির ময়দান থেকে মাইনাস (বাদ) করার জন্য এ রকম উঠেপড়ে লাগে, সেটি বাংলাদেশের জন্য অশনিসংকেত। কারণ, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না এই জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে তরুণেরাই কিন্তু সম্মুখসারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিল। এ কারণেই কিন্তু আমরা গত ১৬ বছরের যে ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ ছিল, সেটাকে ফেলে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।’

লিখিত বক্তব্যে তরিকুল ইসলাম জানান, আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে প্রথমবারের মতো তাঁরা ‘জাতীয় যুব সম্মেলন ২০২৫’ আয়োজন করছেন। ১২ আগস্ট মঙ্গলবার ফার্মগেটে অবস্থিত কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) এ এই সম্মেলন হবে।

সম্মেলনে যুব ইশতেহার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তরিকুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় যুবশক্তির মুখ্য সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ সোহেল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন মাহমুদ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী, যুব উন্নয়নবিষয়ক সমন্বয়ক খালেদ মোস্তফা, সিনিয়র সংগঠক ইয়াসিন আরাফাতসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান ঘিরে থাকছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা: ডিএমপি কমিশনার
  • অনেকেই অন্যকে নিয়ে ট্রল করতে বেশি আগ্রহী
  • শিক্ষকদের কষ্টের কথা বলার জায়গা কম, শোনার লোকও নেই
  • যুব দিবসে সম্মাননা পাচ্ছেন ২০ তরুণ
  • চারুকলায় বর্ষা উৎসব ঘিরে প্রাণের মেলা
  • শিক্ষকেরা সম্মানিত হলেই সমাজ ও রাষ্ট্র এগিয়ে যাবে
  • মাহবুব আলী খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল
  • এনসিপির নেতা-কর্মীরা ‘মিডিয়া ট্রায়ালের’ শিকার হচ্ছেন: তরিকুল ইসলাম
  • ৫২ বছর আগের ‘রংবাজ’-এর মতো চমকে দিল ‘উৎসব’
  • যুদ্ধবিধ্বস্ত সীমান্ত শহরে ভূগর্ভস্থ কবিতা উৎসব