ঢাবি প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন স্টাডিজ বিভাগের দশক পূর্তি
Published: 12th, May 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন স্টাডিজ বিভাগের এক দশক পূর্তি উৎসব উদযাপন করা হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
বিভাগীয় চেয়ারপার্সন ড. শিল্পী বেগমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে ঢাবিতে শান্তি শোভাযাত্রা
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
এ উপলক্ষে আয়োজিত লেকচার সিরিজের উদ্বোধনী পর্বে ‘প্রকাশনার হালচাল’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুধাংশু শেখর রায়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান প্রিন্টিং এবং পাবলিকেশনের বিষয়গুলোকে শিক্ষা ও গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “প্রকাশনা কার্যক্রমের উন্নয়নে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসকে আরো কার্যকর করতে চাই। বিশ্বের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রেস বিভিন্ন গবেষণামূলক প্রকাশনার মাধ্যমে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।” বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য তিনি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক ড. বিমল গুহকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইসলামী শক্তিগুলোর ঐক্য এখন সময়ের দাবি: খেলাফত মজলিস
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, “ইসলামী শক্তিগুলোর ঐক্য এখন সময়ের দাবি। নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ঐক্য না হলে দেশ, ইসলাম ও স্বাধীনতা তিনটিই বিপণ্ন হবে।”
মুসলিম ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে শুক্রবার (২৭ জুন) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার যৌথ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
বর্তমান সময়ে ফিলিস্তিনে যা হচ্ছে তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ অভিহিত করে জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, “জাতিসংঘ, ওআইসি সবই নিষ্ক্রিয়। মুসলিম দেশগুলোর সম্মিলিত কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক জোট ছাড়া আমাদের রক্ষার পথ নেই।”
“ইসরায়েল এখন শুধু ফিলিস্তিন নয়, ইরানেও সরাসরি আগ্রাসন চালিয়ে মুসলিম উম্মাহর অস্তিত্ব ও সম্মানকে চ্যালেঞ্জ করছে। ইরান সাহসিকতা ও ন্যায়ভিত্তিক প্রতিরোধের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে- অন্যায়ের জবাব একমাত্র সম্মিলিত প্রতিরোধেই সম্ভব,” বলে মনে করেন তিনি।
জালালুদ্দীন বলেন, “সরকার জনগণের ক্ষোভকে অবজ্ঞা করছে। যারা ফ্যাসিবাদী দমননীতির সহযোগী ছিল, তাদের বিচারের আওতায় আনুন।”
তিনি বলেন, “আমরা জুলাই ঘোষণাপত্রে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের শহীদদের স্বীকৃতি, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।”
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসাইন রাজী এবং সঞ্চালনা করেন দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রাকিবুল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন আমির মাওলানা মহিউদ্দীন রাব্বানী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ হাদী, মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ছানাউল্লাহ আমিনী, মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু হানিফ নোমান, যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আল আবীদ শাকির, ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন হাসিব প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে মিছিল পল্টন হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় দেশ ও জাতির সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া মোনাজাত করেন দলের নায়েবে আমীর মাওলানা মহিউদ্দীন রাব্বানী।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি