রূপগঞ্জে ৭১ টেলিভিশনের রূপগঞ্জ প্রতিনিধি সাংবাদিক রিয়াজ হোসেনের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা।

এসময় তাদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন, আড়াইহাজার থানা প্রেসক্লাব, আড়াইহাজার রিপোর্টাস ক্লাবের সাংবাদিক বৃন্দ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা।

সোমবার ১১টায় রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। 

মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে হামলাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী ফারুক মোল্লা, বাধন মোল্লা, ইমন মোল্লা, ফাহিম মোল্লা  সুমন মোল্লা, কাজলসহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

তারা বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে স্বাধীন সাংবাদিকতা হুমকির মুখে পড়বে।  সাংবাদিক রিয়াজ হোসেনের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা প্রমাণ করে, কুচক্রী মহল সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে বাধা সৃষ্টি করতে চায়।

২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সাংবাদিকরা বলেন যদি দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় না আনা হয়, তবে সাংবাদিক সমাজ আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

এর আগে, গত ৭ মে( বুধবার) রাতে সাড়ে ৯ টার দিকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে রূপগঞ্জের সমু মার্কেট এলাকায়  রূপগঞ্জ সাংবাদিক কার্যালয়ের সামনে স্থানীয় সন্ত্রাসী  ফারুক মোল্লা তার ছেলে বাধন মোল্লা, ইমন মোল্লা ও ফাহিম মোল্লা, সুমন মোল্লা, কাজল মোল্লাসহ অজ্ঞাত আরও ৬/৭ জন মিলে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়।

এসময় তারা তার মাথায়, ঘাড়ে ও পিঠে ইট দিয়ে আঘাত করে গুরুদর জখম করে। এসময় আমার চিৎকার শুনে তার বন্ধু মাসুদ চৌধুরী এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত জখম করে।

পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকা জনক বলে জানা গেছে।

এঘটনায় আহত সাংবাদিক রিয়াজ হোসেনের ছোট ভাই বাদী হয়ে ৭ জন নামীয়সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৫  জনকে অভিযুক্ত করে রূপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়র করেছেন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ মন ম ল ল র পগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে বিএনপির নারী কর্মীকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাজশাহীর পবায় ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে ভোট চাইতে গিয়ে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগ ওঠা জামায়াতের কর্মীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরের সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে ‘সচেতন নারী সমাজের’ ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করে রাজশাহী নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম।

১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের আশরাফের মোড় এলাকায় বিএনপির দুই নারী কর্মীকে মারধর ও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগকারী দুজন হলেন উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের নিলুফার ইয়াসমিন ও তাঁর বোন নূরভানু। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম নুরুল ইসলাম। তিনিও একই এলাকার বাসিন্দা ও জামায়াতের কর্মী। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ও গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে দলীয় প্রার্থী শফিকুল হক (মিলন), বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবিবা, মহিলা দলের রাজশাহী মহানগরের সভাপতি শামসাদ মিতালী, রাজশাহী বিভাগীয় মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা বেগম (টুকটুকি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল আলিম, ইউট্যাবের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি অধ্যাপক অধ্যাপক মামুনুর রশীদ প্রমুখ।

বিএনপি নেতা শফিকুল হক বলেন, নির্বাচনের ট্রেন চালু হয়েছে। কিন্তু এ সময়ে রাজশাহীর এ ঘটনা কিছুটা হলেও সেই ট্রেনকে বাধাগ্রস্ত করেছে। নারীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। রাজশাহীতে যাঁরা নারীদের হেনস্তা করছেন, তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের কাজ না করতে পারেন।

শামসাদ মিতালী বলেন, ‘আমাদের দেশে ৫২ শতাংশ ভোটার নারী। নারীদের অধিকার নিয়ে অনেক কথা বলা হয়, কিন্তু আমাদের নেত্রী নিলুফার ও তাঁর বোনের ওপর যেভাবে নির্মমভাবে অত্যাচার করা হলো, তাতে প্রমাণ হয়, তাদের কথার সঙ্গে কাজের কোনো মিল নেই।’ এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হলে নারীরা দেশজুড়ে কঠোর আন্দোলনে নামবেন।

ইউট্যাব নেতা মামুনুর রশীদ ঘটনাটিকে অকল্পনীয় উল্লেখ করে বলেন, আজ যখন নারীরা শিক্ষা, গবেষণা, অর্থনীতিসহ সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন তাঁদের ওপর নির্যাতন করে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। যাঁরা এই জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছেন, প্রশাসনকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য মাহমুদা হাবিবা বলেন, ‘আমরা শুধু একজন কর্মীর ওপর হামলার বিরুদ্ধে দাঁড়াইনি, আমরা দাঁড়িয়েছি সেই সংস্কৃতির বিরুদ্ধে, যা একজন পুরুষকে রাজনৈতিক পরিচয়ে নারীর গায়ে হাত তোলার সাহস জোগায়।’ তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আইনগত ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। যেই পা আমার বোনের দিকে উঠেছে, সেই পা আইনের মাধ্যমে ভেঙে দেওয়া হবে।’

অভিযোগের বিষয়ে জামায়াতের কর্মী নুরুল ইসলাম দাবি করেন, তাঁকে উদ্দেশ্য করে ‘আমার বউ নৌকাত ভোট দিছি’ বলে কটূক্তি করায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওই নারীকে শুধু ধাক্কা দিয়েছিলেন। এর বেশি কিছু ঘটেনি।

কাটাখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মতিন বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। জিডিটি আদালতে পাঠানো হয়েছে, বিষয়টি তদন্তাধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পদোন্নতি-নিয়োগ নিয়ে অসন্তোষ, আজ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের মানববন্ধন
  • ফতুল্লায় সন্ত্রাস ও নাশকতা ঠেকাতে রিয়াদ চৌধুরীর নির্দেশে বিক্ষোভ
  • সিরাজগঞ্জে ‘যমুনা’ নামে নতুন উপজেলার দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
  • পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে কুবিতে মানববন্ধন
  • সিদ্ধিরগঞ্জে দুই গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা
  • যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেপ্তার ঢাবি অধ্যাপকের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
  • সোনারগাঁ উপজেলা তাঁতীদলের কমিটি ঘোষণা
  • তিন জেলায় বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন চেয়ে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধে মানুষের দুর্ভোগ
  • ফতুল্লায় আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে রিয়াদ চৌধুরীর নির্দেশে বিক্ষোভ
  • রাজশাহীতে বিএনপির নারী কর্মীকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন