দেশীয় ফুটওয়্যার ব্র্যান্ড স্টেপ ফুটওয়্যার ঢাকার অন্যতম আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় তাদের নতুন শোরুম উদ্বোধন করেছে। সম্প্রতি মধ্য বাসাবোতে শোরুমটি উদ্বোধন করেন  স্টেপ ফুটওয়্যারের মহাব্যবস্থাপক ওয়াহিদুর রহমান। শোরুম উদ্বোধন শেষে ওয়াহিদুর রহমান বলেন, “মান, আরাম ও ট্রেন্ডের সমন্বয়ে প্রত্যেক গ্রাহকের প্রয়োজন মেটানো আমাদের মূল লক্ষ্য। মধ্য বাসাবোতে নতুন শোরুম চালুর ফলে এখানকার ক্রেতারা এখন ঘর থেকেই স্টেপ ফুটওয়্যারের মানসম্পন্ন পণ্য সহজে কিনতে পারবেন। গ্রাহকের ভালোবাসা আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ভবিষ্যতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আরও শোরুম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে সারাদেশের মানুষ সহজে তাদের পছন্দের জুতা কিনতে পারেন।” সব বয়সের নারী, পুরুষ ও শিশুর জন্য ট্রেন্ডি, স্টাইলিশ ও আরামদায়ক কালেকশন নিয়ে সাজানো হয়েছে স্টেপ ফুটওয়্যারের নতুন এ শোরুমটি। শোরুম উদ্বোধন উপলক্ষে ক্রেতার জন্য থাকছে বিশেষ প্রোমোশনাল অফার। v
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টওয় য র

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে পটিয়ার পর নগরেও সড়ক অবরোধ বৈষম্যবিরোধী ও এনসিপির নেতা-কর্মীদের

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহারসহ দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সংগঠন দুটির নেতা–কর্মীরা এই কর্মসূচি পালন করছেন। আজ বুধবার বেলা তিনটার দিকে নগরের খুলশী এলাকায় অবস্থিত ডিআইজি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ডিআইজি কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত জাকির হোসেন সড়ক অবরোধ শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতা–কর্মীরা। বিকেল সোয়া চারটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত রয়েছে।

বেলা সোয়া তিনটার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, ডিআইজি কার্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতা–কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। কার্যালয়ের সামনে পুলিশ সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। বিক্ষুব্ধ নেতা–কর্মীরা সামনে থাকা পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে ডিআইজিকে তাঁদের সামনে এসে কথা বলার আহ্বান জানান। ডিআইজি কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে বিক্ষুব্ধ নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব সাজ্জাদ হোসাইন ঘটনাস্থলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পটিয়ার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়নি। গত জুলাইয়ে তাঁরা আমাদের ওপর যেভাবে জুলুম চালিয়েছেন, একইভাবে গতকাল মঙ্গলবার পটিয়ায় জুলুম চালানো হয়েছে। আমরা জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে আমরা সরাসরি ডিআইজির সঙ্গে কথা বলতে চাই।’

গতকাল রাত সাড়ে ৯টা ও সাড়ে ১১টায় পটিয়া থানার পুলিশের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীদের দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১৯ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করে উভয় পক্ষ। প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত ৯টার দিকে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীরা। পরে তাঁকে পটিয়া থানা চত্বরে নিয়ে আসা হয়। তবে ওই ছাত্রলীগ নেতার নামে কোনো মামলা না থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চায়নি। এ নিয়ে আন্দোলনকারী নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনা দেখা দেয়। আন্দোলনকারীরা পুলিশের উদ্দেশে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় পটিয়া থানা ঘেরাও করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেখান থেকে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কও অবরোধ করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ