বন্দরে সোনাকান্দা ষ্টেডিয়ামের মাটি চুরি
Published: 17th, August 2025 GMT
সিলেট কোম্পানীগঞ্জে সাদা পাথর লুটের পর এবার নারায়ণগঞ্জ বন্দরের সোনাকান্দা ষ্টেডিয়াম মাঠে মাটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। অজ্ঞাত মাটি খেকু একটি চক্র গভীর রাতে ঐতিহ্যবাহী সোনাকান্দা ষ্টেডিয়াম মাঠের মাটি কেটে নিয়ে গেছে।
সেনাকান্দা মাঠ থেকে রহিম নামে এক খেলোয়ার জানান, বন্দর ২০ নং ওয়ার্ডে সোনাকান্দা ষ্টেডিয়াম মাঠটি ঐতিহ্যবাহী একটি মাঠ। এই মাঠে খেলেছেন দেশের বরেন্য খেলোয়াররা।
কাউছার হামিদ, মুনেম মুন্না, সাব্বির সবাই এই মাঠে খেলেছেন। আমাদের সোনাকান্দা এলাকায় কোন বিনোদনের জায়গা নাই। যুবক ও কিশোরদের এই মাঠটি একমাত্র খেলার মাঠ।
এই ষ্টেডিয়াম মাঠ ধ্বংস করার জন্য একটি চক্র গভীর রাতে মাঠের একদিক থেকে মাটি কেটে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। সিলেটে সাদা পাথর লুট হচ্ছে আর বন্দরে লুট হচ্ছে ষ্টেডিয়ামের মাটি। কোন চোরের দেশে বাস করছি আমরা।
নিজের দেশের পরিচয় দিতেও লজ্জা হয় আজ। দ্রুত মাঠটি রক্ষায় মাটিচোরদের গ্রেফতার করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
রবিবার সরেজমিন পরিদর্শনকালে কথা হয় সোনাকান্দা আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন জাহাঙ্গীরের সাথে। তিনি জানান, সে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্কুলে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। রাতে স্কুলে কেউ থাকেন না। তবে স্কুলের বাইরে আগে নাইট গার্ড ছিল এখন নাই। মাটি চুরির ঘটনা ঘটে তবে তিনি জানেন না।
সরেজমিনে দেখা যায়, বন্দর ২০ নং ওয়ার্ড সোনাকান্দা ষ্টেডিয়াম মাঠটি ঐতিহ্যবাহী একটি মাঠ। এই মাঠে দেশের বরেন্য খেলোয়ারদের বিচরন ছিল। এই মঠ থেকেই অনেক নামী দামী খেলোয়ার তৈরী হয়েছে। এই মাঠ ধ্বংসের জন্য একটি মাটিখেকু চক্র রাতের আধারে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। মাঠ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
ষ্টেডিয়ামের মাঠের মাটি চুরি প্রসঙ্গে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা বলেন, উপজেলা প্রশাসন সব সময় হার্ডলাইনে। মাঠ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নিবে উপজেলা প্রশাসন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এই ম ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
রাকসু`র ভোটার তালিকায় নাম না আসায় ফি ফেরত দাবি শিক্ষার্থীর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) ভোটার তালিকায় নাম সংযুক্ত করে নির্বাচন করার বৈধতা চেয়ে অথবা রাকসুতে জমা হওয়া ফি ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।
রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ মার্কেটে এ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. সারোয়ার জাহান বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের এবং শহীদ শামসুজ্জোহা হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থী।
আরো পড়ুন:
ঢাবিতে ঠিকাদারির টাকা নিতে এসে ছাত্রলীগ নেতা আটক
যৌন হয়রানি: রাবি অধ্যাপকের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, “আমার মাস্টার্সের ফলাফল প্রকাশিত হলেও দুইটি পরীক্ষায় ইম্প্রুভ দিয়েছি, যার ফলাফল এখনো প্রকাশ হয়নি। সুতরাং বর্তমানে আমি একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী।”
তিনি আসন্ন রাকসু নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, “আমি আসন্ন নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদে নির্বাচন করব। এখন পর্যন্ত আমি ছাত্র। কিন্তু আমার নাম যেহেতু আসেনি পরবর্তীতে যুক্ত না করলে আমার সব পরিশ্রম বৃথা যাবে।”
তিনি আরো বলেন, “ফলাফল প্রকাশিত না হওয়ার পরও আইনে ফাঁক-ফোকড় দেখিয়ে ভোটার তালিকায় সংযুক্ত না করলে রাকসুর ফান্ডে ১৯৯০ সালের পর থেকে জমা হওয়া সবার ফি ফেরত দিতে হবে।”
ওই শিক্ষার্থী ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হলেও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনার্স-মাস্টার্স পরীক্ষা দেন এবং অনার্স প্রথমবর্ষের দুইটি কোর্সের মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেন, যার ফলাফল এখনো প্রকাশ হয়নি।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী