লালমনিরহাটে তিস্তার পানি কমলেও ভোগান্তি কমেনি
Published: 4th, August 2025 GMT
লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি কমেছে। সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে পানি কমে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি কমলেও তিস্তা নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দেওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জায়গায় নদী পাড়ের বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে বালুভর্তি বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছেন।
গতকাল রবিবার মধ্যরাতে তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি জেলার পাঁচটি উপজেলার নিচু এলাকায় প্রবেশ করায় প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। ফলে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
মেরামতের দুই মাসেই ফের বেহাল মানিকপুর সড়ক
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে রাজপুর প্রধান ডাকঘরের কার্যক্রম
কালীগঞ্জের ভোটমারী এলাকার কৃষক রহমত বলেন, “তিস্তার পানি বাড়ায় আমাদের এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। শত শত বসতভিটা, রাস্তাঘাট এবং ফসলি জমি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গতকাল রাত থেকে আমরা নিজেরাই বস্তায় বালু ভরে নদীর ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছি।”
আদিতমারীর গোবর্ধান গ্রামের কৃষক সহিদার রহমান বলেন, “নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়লেও সোমবার সকাল থেকে তা কমতে শুরু করেছে। নদীপাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন আমাদের বসতভিটা ও ফসলি জমির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, পলি জমে তিস্তার বুক ভরাট হয়ে যাওয়ায় সামান্য পানি বাড়লেই তা উপচে পড়ে। এখনো বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। ভাঙন নিয়ে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, সেদিকে তারা নজর রাখছেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, “বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।”
ঢাকা/নিয়াজ/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ন বন দ নদ
এছাড়াও পড়ুন:
লালমনিরহাটে তিস্তার পানি কমলেও ভোগান্তি কমেনি
লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি কমেছে। সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে পানি কমে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি কমলেও তিস্তা নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দেওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জায়গায় নদী পাড়ের বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে বালুভর্তি বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছেন।
গতকাল রবিবার মধ্যরাতে তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি জেলার পাঁচটি উপজেলার নিচু এলাকায় প্রবেশ করায় প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। ফলে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
মেরামতের দুই মাসেই ফের বেহাল মানিকপুর সড়ক
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে রাজপুর প্রধান ডাকঘরের কার্যক্রম
কালীগঞ্জের ভোটমারী এলাকার কৃষক রহমত বলেন, “তিস্তার পানি বাড়ায় আমাদের এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। শত শত বসতভিটা, রাস্তাঘাট এবং ফসলি জমি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গতকাল রাত থেকে আমরা নিজেরাই বস্তায় বালু ভরে নদীর ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছি।”
আদিতমারীর গোবর্ধান গ্রামের কৃষক সহিদার রহমান বলেন, “নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়লেও সোমবার সকাল থেকে তা কমতে শুরু করেছে। নদীপাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন আমাদের বসতভিটা ও ফসলি জমির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, পলি জমে তিস্তার বুক ভরাট হয়ে যাওয়ায় সামান্য পানি বাড়লেই তা উপচে পড়ে। এখনো বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। ভাঙন নিয়ে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, সেদিকে তারা নজর রাখছেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, “বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।”
ঢাকা/নিয়াজ/মাসুদ