মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা: সেনাপ্রধান
Published: 22nd, May 2025 GMT
মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
বুধবার সকালে সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় (অফিসার্স অ্যাড্রেস) মব ভায়োলেন্স, সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড বিষয়ে জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদন, অন্তর্বর্তী সরকারের চলমান সংস্কারসহ নানা প্রশ্নের উত্তর দেন সেনাপ্রধান। এ সময় তিনি এ কথা জানান। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ বিষয়ে কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়নি। পরে যোগাযোগ করা হলে আইএসপিআর কোনো মন্তব্য করবে না বলে জানায়।
ঢাকা সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত এ সভায় ঢাকার বাইরের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত সূত্রগুলো জানায়, অফিসার্স অ্যাড্রেসে প্রথমে সেনাপ্রধান বক্তব্য রাখেন। এরপর বিভিন্ন ইউনিট থেকে যেসব কর্মকর্তা যুক্ত ছিলেন তাদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সেনাপ্রধান।
সভায় শিগগিরই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিরলস ভূমিকা ও প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন সেনাপ্রধান। সেনা কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা ও আনুগত্য বজায় রাখারও আহ্বান জানান তিনি।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে মানবিক করিডোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত একটি নির্বাচিত সরকার থেকেই আসতে হবে। এটি হতে হবে বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। করিডোরের ব্যাপারে জাতীয় স্বার্থ দেখতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার বিষয়ও এখানে যুক্ত।
সেনাপ্রধান বলেন, আগস্ট থেকে সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কিছু মহল তাঁকে ও বাহিনীকে অন্যায্যভাবে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে।
ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর– এমন কোনো কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনও যুক্ত হবে না। কাউকে তা করতেও দেওয়া হবে না। এই বাস্তবতায় সব পর্যায়ের সেনাসদস্যকে নিরপেক্ষ থাকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। আগামীতে নির্বাচনী দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের নির্দেশ দেন সেনাপ্রধান।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সহযোগিতা করছি। সহযোগিতা করে যাব। সামনে ঈদ। মানুষ যেন নিরাপদে ঈদ উদযাপন করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করতে হবে।
বাংলাদেশ নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলা হয়নি। আমাদের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি।
নির্যাতিতদের অধিকারের পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন সেনাপ্রধান। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্যের পর এক ঘণ্টাব্যাপী প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। একজন কর্মকর্তা বিভিন্ন অভিযোগে বরখাস্ত সেনাসদস্যদের অপরাধের বিষয়গুলো আইএসপিআরের মাধ্যমে প্রকাশ করার কথা জানান।
বন্দর নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে জেনারেল ওয়াকার বলেন, এখানে স্থানীয় মানুষ ও রাজনৈতিক নেতাদের মতামত প্রয়োজন হবে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত রাজনৈতিক সরকারের মাধ্যমে। সংস্কার নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কী সংস্কার হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে– এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর মকর ত ন বল ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
আইএসপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল, মহাসচিব নাজমুল
সারাদেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সংগঠন আইএসপিএবির ২০২৫-২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহীর কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আম্বার আইটি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম। মহাসচিব হয়েছেন কেএস নেটওয়ার্ক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল করিম ভূঁঞা।
প্রসঙ্গত, আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৭ মে। নির্বাচনে আইএসপি ইউনাইটেড প্যানেল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। বিজয়ীরা সবাই পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হন।
নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী (অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট) ও সদস্যদ্বয় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. এরশাদ হোসেন রাশেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট রাকিব হোসেনের তত্ত্বাবধানে সোমবার (১৯ মে) নির্বাচিত সাধারণ সদস্য শ্রেণি থেকে ৯ জন পরিচালক ও সহযোগী সদস্য শ্রেণি থেকে চার জন পরিচালকসহ সব মিলিয়ে ১৩ জন পরিচালকের মধ্যে পদবণ্টনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় আইএসপিএবি সচিবালয়ে।
কার্যনির্বাহী পরিষদের পরিচালকদের মধ্যে পদবণ্টনে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী ফল ঘোষণা করেন। এ সময় আইএসপিএবির কার্যনির্বাহী পরিষদের নব-নির্বাচিত কর্মকর্তা ও পরিচালকরা ও অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটির অন্যরা হলেন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আইসিসি কমিউনিকেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক, সহসভাপতি মাজেদা নেটওয়ার্কস লিমিটেডের চেয়ারম্যান নেয়ামুল হক খান, যুগ্ম মহাসচিব-১ সার্কেল নেটওয়ার্কের সিইও মাহবুব আলম রাজু, যুগ্ম মহাসচিব-২ ফুয়াদ মুহাম্মদ শরফুদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ রেড ডাটা (প্রা.) লিমিটেডের সিইও মঈন উদ্দিন আহমেদ।
অন্যদিকে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন ওয়ান স্কাই কমিউনিকেশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুর রহমান রাজন, ইনভেনশন টেকনোলজিস লিমিটেডের সিটিও মো. মিঠু হাওলাদার, এক্সোর্ড অনলাইনের সাব্বির আহমেদ ও তুহিন এন্টারপ্রাইজের রাইসুল ইসলাম তুহিন, এম/এস জুবায়ের আইটি এক্সপার্টের মো. জুবায়ের ইসলাম ও সবুজ বাংলা অনলাইনের এসএম সাইফুল ইসলাম সেলিম।