চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) পরিচালিত পাঁচটি বিদ্যালয়ে ‘স্টুডেন্ট হেলথ কার্ড’ চালু করা হয়েছে। স্কুল পর্যায়ে এ কার্যক্রম দেশে প্রথম বলে দাবি করেছে চসিক কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার নগরের কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। হেলথ কার্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকাদান এবং স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হবে।

হেলথ কার্ড চালু করা অন্য চার প্রতিষ্ঠান হলো– পাথরঘাটা সিটি করপোরেশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়, গুলএজার বেগম সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়, ইমারাতুন্নেসা সিটি করপোরেশন কিন্ডারগার্টেন ও পাঁচলাইশ কিন্ডারগার্টেন।

চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, পরীক্ষামূলক পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সফল হলে ধীরে ধীরে অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও এর আওতায় আনা হবে।

অনুষ্ঠানে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষা শুধু অভিভাবকদের নয়, বরং প্রতিষ্ঠান ও সিটি করপোরেশনেরও দায়িত্ব। হেলথ কার্ডের মাধ্যমে শিশুদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকাদান এবং চিকিৎসা-সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে একটি সুস্থ প্রজন্ম গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, স্টুডেন্টস হেলথ কার্ডে শিক্ষার্থীর পরিচিতিমূলক তথ্য– জন্মতারিখ, বিদ্যালয়ের নাম, শ্রেণি, অভিভাবকের নাম ও যোগাযোগ ঠিকানা সংরক্ষণ করা হবে। পাশাপাশি ৫ থেকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত মোট ১৪ বার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রেকর্ড সংরক্ষণ করা যাবে। পরীক্ষায় ওজন, উচ্চতা, দাঁতের অবস্থা, চোখ-কান, ত্বক-চুলের স্বাস্থ্য, রক্তচাপ এবং হিমোগ্লোবিনের তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে। কার্ডের একটি পৃথক অংশে টিকাদান-সংক্রান্ত তথ্য থাকবে, যাতে বিসিজি, পোলিও, হেপাটাইটিস-বি, এমআর, পেন্টাভ্যালেন্ট, টাইফয়েড, ইনফ্লুয়েঞ্জা, র‌্যাবিসসহ গুরুত্বপূর্ণ টিকার রেকর্ড সংরক্ষিত থাকবে।

সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.

ইমাম হোসেন রানা বলেন, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একটি টিমকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যগত এসব তথ্য সংরক্ষণে সহায়তা করবেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা ধরা পড়লে তারা সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠাবেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। মুখ্য আলোচক ছিলেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী। বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইলিয়াছ উদ্দিন আহম্মদ ও চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: থ য স রক ষ কর মকর ত পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

মুকুলের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপি মানববন্ধন 

বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুলের উপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে বন্দরজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (৬ জুলাই) সকাল ১০টায়  বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে  নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায়  প্রধান অতিথি বক্তব্যে  নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক  আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, আতাউর রহমান মুকুল একজন জনপ্রিয় ও মানবিক নেতা। তিনি শুধু দুইবার চেয়ারম্যানই ছিলেন না, ছিলেন এই এলাকার মানুষের আস্থার প্রতীক। তাঁর সৎ নেতৃত্বে বন্দরবাসী যেমন উন্নয়ন পেয়েছে, তেমনি বিপদে-আপদে তার সহানুভূতি ও সহায়তা পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি যখন চরম দমন-পীড়নের শিকার, তখন মুকুল ভাই নেতাকর্মীদের সাহস ও ভরসার জায়গা হয়ে দাঁড়ান। ফ্যাসিস্ট আমলের মতই তাদের প্রেতাত্মাই তাঁর ওপর হামলা করে। এটা কোনো একক ব্যক্তির ওপর নয়—এটি গণতন্ত্র,ও মানবাধিকারের ওপর বর্বর আঘাত।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি রাসেল মাহমুদের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায়  বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপি সাবেক যুগ্ম সম্পাদক  ফখরুল ইসলাম মজনু, মহানগর বিএনপি নেতা এড. আনিস,  আব্দুর রাশেদ টিটু,মেজবাহ উদ্দিন স্বপন,  ফারুক চৌধুরী,  মোস্তাকুর রহমান, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদ মেম্বার প্রমুখ।

বক্তারা দ্রুত  ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও  হামলার মূলহোতা  ডন বজলুসহ হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি করেন এবং প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবুল কাশেম, ২০ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি জাব্বার পাঠান, ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা জুবায়ের চৌধুরী,  স্বপন,  জাকির,  ২৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা খোকন, ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা হানিফ, রনি, মোস্তাক, মালেক মেম্বার,  আসলাম,  আলী আকবর,  ২৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা খসরু, রাজিব,  মাসুদ, মোক্তার হোসেন,২১নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মাসুদ রানা, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শাফিউদ্দিন শাফি, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপি নেতা বাহাউদ্দীন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর, মিজানুর রহমান  প্রমূখ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ