চীন–পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরে যুক্ত হচ্ছে আফগানিস্তান
Published: 22nd, May 2025 GMT
চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরে যুক্ত হচ্ছে আফগানিস্তান। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠকে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার একমত হয়েছেন, পাকিস্তানে চলমান চীনা অবকাঠামো প্রকল্প আফগানিস্তান পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে।
গতকাল বুধবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে এই ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জাপানের বার্তা সংস্থা এনএইচকে জানায়, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) প্রকল্পটি আফগানিস্তান পর্যন্ত বিস্তারের বিষয়ে তিন দেশ একমত হয়েছে। এটি চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) বা অঞ্চল ও পথ প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সন্ত্রাসবাদবিরোধী কার্যক্রমসহ নানা বিষয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েন থাকলেও উভয় দেশ দ্রুত পরস্পরের দেশে রাষ্ট্রদূত নিয়োগে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।
তালেবান সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী আফগানিস্তান। মুত্তাকিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করা হবে।
এদিকে ২০২১ সালে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনরায় গ্রহণের পর এখন পর্যন্ত চীন ও পাকিস্তান আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি। তবে চীন ধীরে ধীরে সম্পর্ক গভীর করছে। ২০২৩ সালে তারা কাবুলে একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে।
এ বৈঠক প্রসঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরে (সিপিইসি) আফগানিস্তানকে যুক্ত করার বিষয়ে চীন ও পাকিস্তান আবারও সম্মতি দিয়েছে। এ উদ্যোগ অঞ্চল ও পথ প্রকল্পের (বিআরআই) কাঠামোর আওতায় বাস্তবায়িত হবে।
ভৌগোলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় মর্যাদা রক্ষায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে চীন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংযুক্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সন্ত্রাসবাদ ও বহিরাগত হুমকি দূর করার গুরুত্ব স্বীকার করে নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও জোরদার করায় গুরুত্ব দিয়েছে তিন দেশ। সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান পুনরায় তুলে ধরেছে তারা।
বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানকে অঞ্চল ও পথ উদ্যোগে যুক্ত করে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় কৌশলগত প্রভাব আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে চীন। ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর এটাই ইশহাক দারের প্রথম বেইজিং সফর।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র পরর ষ ট র আফগ ন স ত ন র প রকল প
এছাড়াও পড়ুন:
‘রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে স্বৈরাচারের পুনঃপ্রবর্তন ঠেকানো যাবে’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, কতগুলো মৌলিক বিষয়ে একতা থাকা দরকার রাজনৈতিক দলগুলোর। মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে একমত হয়ে যদি জাতীয় সনদ প্রণয়ন করা যায় এবং নির্বাচিত সরকার সেগুলো বাস্তবায়ন করলে ভবিষ্যতে স্বৈরাচারের পুনঃপ্রবর্তন ঠেকাতে পারব।
শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় একটি কনভেনশন সেন্টারে নাগরিক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। ‘জাতীয় সনদ ও নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক এ সংলাপের আয়োজন করে সুজনের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা।
বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতাদর্শের ভিন্নতা থাকলেও তারা যদি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐকমত্যে আসতে পারত, তাহলে শেখ হাসিনাকে বিতাড়নের পর অনেকগুলো সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়েছে, সেটা বাস্তবে রূপায়নের সম্ভাবনা দেখা দিত।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন—সুজনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার, জমির উদ্দিন সরকার, রফিউর রাব্বি, সুজনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েলসহ অনেকে।
ঢাকা/অনিক/রফিক