গাজীপুরে ১০ মাস পর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
Published: 22nd, May 2025 GMT
গাজীপুরে ১০ মাস পর আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) নেতা–কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে নগরের টঙ্গীর বনমালা রোডে ঝটিকা মিছিলের পর দ্রুত তাঁরা সটকে পড়েন। পরে ঝটিকা মিছিলের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
গাজীপুর আওয়ামী পরিবারের ব্যানারে মিছিলটি বের করা হয়। ব্যানারে শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা ছাড়া আহসান উল্লাহ মাস্টার ও গাজীপুর–২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেলের ছবি ছিল। ব্যানারে লেখা ছিল, ‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে।’
ঝটিকা মিছিলের ২৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। মিছিলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলটির নেতা–কর্মীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়। মিছিলে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের টঙ্গী সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি কাজী মঞ্জুসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতাকে দেখা যায়।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মী ও সমর্থক ওই এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে পালিয়ে যান। তাঁদের মধ্য থেকে পুলিশ তিনজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে। তাঁদের গ্রেপ্তার করতে এরই মধ্যে অভিযান শুরু করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করলেন এনসিপির নাহিদ-পাটওয়ারী
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ হয়। নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ নিয়ে আজ বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে, যা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলতে আজ সন্ধ্যায় যমুনায় যান তারা।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। এ সময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে একটি গুঞ্জন জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এতে দাবি করা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করেছেন। এই দাবি ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভুয়া চিঠির এবং ২০১১ সালের একটি পুরনো সংবাদ আবার ছড়িয়ে পড়েছে। তবে অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, এই দুটিই সঠিক নয়; জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।
এর মধ্যে ২০১১ সালের ১৩ মে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যার শিরোনাম ছিল ‘Prof Yunus resigns’। এতে বলা হয়, ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সেই পুরনো প্রতিবেদনটি বর্তমান প্রেক্ষাপটে— তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন— এমন ইঙ্গিতসহ আবার শেয়ার করা হচ্ছে।
তবে ডেইলি স্টার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, এটি একটি বিভ্রান্তিকর প্রচার—একটি পুরনো প্রতিবেদনকে পুনরায় পোস্ট করে তা মিথ্যা প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা হয়েছে।