ডিসেম্বরেই নির্বাচনের দাবিতে অনড় বামেরা
Published: 21st, June 2025 GMT
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে অনড় দেশের বামপন্থি দলগুলো। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা চায় তারা। সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে চলমান সংলাপেও তারা এ দাবি জানিয়ে আসছে।
বামপন্থি নেতারা বলছেন, দেশজুড়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা চলছে। এই অবস্থার উত্তরণে দ্রুত নির্বাচন এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরই একমাত্র পথ। সরকারের বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে নির্বাচন নিয়ে জনমনে অনাস্থা দেখা দিয়েছে। সরকার তাড়াতাড়ি রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচন প্রক্রিয়ার দিকে এগোলে আস্থাহীনতার সংকট কাটবে।
অন্তর্বর্তী সরকার ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছিল। তবে গত ৬ জুন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড.
এ প্রসঙ্গে বাম দলগুলোর নেতারা বলছেন, সবার আগে নির্বাচনব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। এই সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা না হলে সংকট আরও বাড়বে।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের কয়েকজন নেতা সমকালকে বলেছেন, তারা বারবারই বলে আসছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন ডিসেম্বরের আগেও করা সম্ভব ছিল। যত দেরি হবে, ততই সংকট বাড়বে। দেশের বামপন্থি দলগুলোর বৃহত্তম এই জোটে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলসহ (বাসদ) ছয়টি দল সক্রিয় রয়েছে। তারা দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে এরই মধ্যে বেশ কয়েক দফা কর্মসূচি পালন করেছে।
জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স সমকালকে বলেন, ‘অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের দাবি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গণঅভ্যুত্থানে হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের বিচার কাজ দৃশ্যমান করা এবং সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব। তা না করে সরকার বিতর্কিত বিষয় নিয়ে কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখলে রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটবে না।’
বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুক। সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুক।’
বাম গণতান্ত্রিক জোটের মতো বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলও (বাংলাদেশ জাসদ) চাইছে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন। দলটির সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেছেন, একটি ভালো নির্বাচনের জন্য যেটুকু সংস্কার দরকার, সেটুকু করতে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে নির্বাচনব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে চলতি বছরের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। সেটি নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে কিংবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে।
পাঁচটি দল নিয়ে গঠিত গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যও চাইছে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন। জোটের সমন্বয়ক ও সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব দ্রুত মৌলিক সংস্কার শেষ করে নির্বাচন আয়োজন এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। কিন্তু সরকার তার মূল দায়িত্ব থেকে সরে গিয়েছে। তারা এমন এমন কাজ করছে বা করার চেষ্টা করছে যা দেশকে গভীর সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ম দল শ ষ কর বছর র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে আজ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এ বছর প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীদের মধ্যে ছয় রাজনৈতিক নেতা রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা ঢাকা থেকে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যোগ দেন।
এছাড়া জামায়াত নেতা নকিবুর রহমান তারেক যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতিনিধি দলে যুক্ত হন।
এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর রাত ১টা ৪০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা দেয়।
সূচি অনুযায়ী অধ্যাপক ইউনূস আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন।