জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মৌলভীবাজার জেলা সমন্বয় কমিটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। নবগঠিত কমিটির কয়েকজনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে কার্যক্রম স্থগিতের কথা জেলা সমন্বয় কমিটিকে জানানো হয়েছে।

গত বুধবার এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের যৌথ স্বাক্ষরে ওই সমন্বয় কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী করা হয় খালেদ হাসানকে। কমিটিতে ৯ জন যুগ্ম সমন্বয়কারী ও ২১ জনকে সদস্য করা হয়। আগামী তিন মাসের জন্য বা আহ্বায়ক কমিটি গঠনের আগপর্যন্ত এ কমিটির জেলা পর্যায়ে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা ছিল।

এদিকে এনসিপির জেলা সমন্বয় কমিটি গঠনের পর কমিটির কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠে। এনসিপির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন এ অভিযোগ তোলেন। এরপর এনসিপি সিলেট অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রীতম দাশ মৌখিকভাবে কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত রাখতে জেলা সমন্বয় কমিটিকে নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নবগঠিত কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী খালেদ হাসান আজ শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, এনসিপির সিলেট অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রীতম দাশ মৌখিকভাবে কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখতে বলেছেন। স্থায়ীভাবে নয়, আপাতত কার্যক্রম বন্ধ আছে।

প্রীতম দাশ প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল রাতে কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। সমন্বয় কমিটির কিছু সদস্যের বিষয়ে কয়েকজন আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করেছেন। যদিও প্রাথমিকভাবে অভিযোগের কোনো সত্যতা মেলেনি। তাঁরা (কমিটির সদস্য) অনেকে আগে নাগরিক কমিটিতে ছিলেন, জুলাই আন্দোলনসহ সরকারবিরোধী আন্দোলন করেছেন। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য় কম ট র কম ট র ক এনস প র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি অনুমোদন, সদস্য হলেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির ৩ নেতা

সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। নবগঠিত কমিটিতে আছেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির তিন নেতা।

আজ বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির অনুমোদনের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন সদ্য অনুমোদিত কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শাহজাহান আলী ও নুরুল হুদা জুনেদ। তাঁরা জানান, পদাধিকারবলে নবগঠিত এ কমিটির আহ্বায়ক মনোনীত হয়েছেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী।

আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে ১১ সদস্যের। এতে পদাধিকারবলে সদস্যসচিব রাখা হয়েছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সিলেটের উপপরিচালককে। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন নয়জন। এর মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সদস্য হিসেবে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, সিলেট মহানগর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান আলী ও এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল হুদা জুনেদ।

কমিটিতে এনামুল ও শাহজাহান ‘ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, ক্রীড়া অনুরাগী ও সংগঠক’ হিসেবে স্থান পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে নুরুল ‘ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সাবেক ফুটবলার ও সংগঠক’ হিসেবে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন বলে জানানো হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সাবেক ক্রিকেটার এনামুল হক জুনিয়র, সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ রাহাত শামস, ক্রীড়া অনুরাগী ও সংগঠক মো. মোকাম্মেল হক এবং সাবেক ফুটবলার আবিবুল বারি আয়হান। এ ছাড়া ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে নাইম শেহজাদ ও ক্রীড়া সাংবাদিক প্রতিনিধি হিসেবে স্থানীয় দৈনিক সিলেটের ডাকের প্রধান বার্তা সম্পাদক এনামুল হক জুবের অন্তর্ভুক্ত হন।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) সচিব মো. আমিনুল ইসলামের সই করা অনুমোদনপত্রে বলা হয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮-এর ধারা ২(১৫)-এ উল্লেখিত স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার সংশ্লিষ্ট গঠনতন্ত্র মোতাবেক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ওপর অর্পিত ক্ষমতা অনুসরণে কমিটি হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮-এর ২ (৪) ও ৮-এ বর্ণিত পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক এ কমিটি অনুমোদিত হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি অনুমোদন, সদস্য হলেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির ৩ নেতা