বেরোবি শিক্ষকের মুক্তি চায় রাবির সাংবাদিকতা বিভাগ
Published: 21st, June 2025 GMT
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সহকারী অধ্যাপক মো. মাহামুদুল হকের মুক্তি চেয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ। শনিবার সকালে রাবির বিভাগীয় সভাপতি ড. মো. মোজাম্মেল হোসেন বকুলের সই করা বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে বেরোবি শিক্ষক মো.
বিভাগীয় শিক্ষকরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের আহ্বান জানান। মাহামুদুলকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান।
এ বিষয়ে বেরোবির সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান তাবিউর রহমান বলেন, আমরা একটি পরিবার। এ বিভাগের কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হলে, বরদাশত করব না। যদি তাঁর মুক্তির ব্যবস্থা না করা হয়, আমরা বড় কর্মসূচির চিন্তা করব।
উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট পুলিশের ভয়ে পালানোর সময় পড়ে হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মারা যান ছমেস উদ্দিন। এ ঘটনার ১০ মাস পর গত ৩ জুন হত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়। এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় শিক্ষক মাহামুদুলকে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব দ কত
এছাড়াও পড়ুন:
আমি শালিনিকে অনেক কষ্ট দিয়েছি: অজিত
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা অজিত কুমার। অভিনয় গুণে যশ-খ্যাতি সবই কুড়িয়েছেন। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ চলতি বছরে ‘পদ্মভূষণ’ পুরস্কার পেয়েছেন। গত ২৮ এপ্রিল ভারতের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে এ সম্মাননা গ্রহণ করেন ৫৩ বছরের অজিত।
এদিকে, সিনেমার পাশাপাশি মোটরসাইকেলের ব্যাপারে শখ রয়েছে অজিতের। তিনি একজন পেশাদার রেসারও। মোটরসাইকেল নিয়ে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। দ্য হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যারিয়ার, সংগ্রাম ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন অজিত।
আরো পড়ুন:
‘কেজিএফ’ অভিনেতা মারা গেছেন
উদয়পুরে বসবে বিজয়-রাশমিকার বিয়ের আসর?
সিনেমা ও মোটরস্পোর্ট—দুই ক্ষেত্রেই অজিতের পথচলা চ্যালেঞ্জে ভরা ছিল। তা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, “আমি যা করি, তাতে মনপ্রাণ ঢেলে দিয়েই করি। অনেক বাধা এসেছে। কিন্তু আমি সবকিছু অতিক্রম করেছি। রেসিংয়ের ক্ষেত্রেও আমি হয়তো এমনই কঠোর পরিশ্রম করি, যেমন ১৯ বছরের একজন তরুণ করে থাকে; যে রেসিংকে পেশা হিসেবে নিতে চায়।”
অজিতের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি ভালো টিম ও তাদের সহযোগিতা। এ তথ্য স্মরণ করে অজিত বলেন, “আপনার ভালো একটি টিম থাকা দরকার। আমি খুব ভাগ্যবান। কারণ যেসব পরিচালক, প্রযোজক, টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে কাজ করেছি, তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।”
অভিনেত্রী শালিনির সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন অজিত। তার জীবনের কেন্দ্রবিন্দু তার স্ত্রী শালিনি। জীবনের উত্থান-পতনের প্রতিটি মুহূর্তে পাশে থেকেছেন। অভিনেতার সরল স্বীকারোক্তি, “আমি মনে করি না, আমার সঙ্গে বসবাস করা খুব সহজ বিষয়। আমি ওকে অনেক কষ্ট দিয়েছি, তবু ও সবসময় আমাকে সমর্থন করেছে। সন্তানদের জন্ম হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ও আমার সঙ্গে রেসে যেত। ওর সহায়তা না থাকলে কিছুই সম্ভব হতো না।”
খ্যাতির বিড়ম্বনায় পড়েছেন অজিত। তা ব্যাখ্যা করে এই অভিনেতা বলেন, “আমি প্রায় সব সময়ই বাড়ির ভেতরে থাকি। ভক্তদের ভালোবাসার জন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু সেই ভালোবাসার কারণেই পরিবারের সঙ্গে স্বাভাবিক সময় কাটানো প্রায় অসম্ভব। আমি ছেলেকে স্কুলে নামিয়ে দিতে পারি না।”
খ্যাতি জীবন থেকে অনেক কিছু কেড়ে নেয়। এ বিষয়ে অজিত বলেন, “খ্যাতি আপনাকে আরামদায়ক জীবন দেয়। কিন্তু জীবনের আসল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোই কেড়ে নেয়।”
১৯৯৯ সালে মুক্তি পায় অজিত অভিনীত ‘অমরকালাম’ সিনেমা। এর শুটিং করতে গিয়ে অভিনেত্রী শালিনির রূপে চোখ আটকে যায় তার। পরে এ অভিনেত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন অজিত। ২০০০ সালের ২৪ এপ্রিল সাতপাকে বাঁধা পড়েন এই তারকা যুগল। কয়েক মাস আগে বিবাহিত জীবনের ২৫ বছর পূর্ণ করেছেন এই জুটি।
ঢাকা/শান্ত