রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে ঐকমত্য হয়নি, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে ঐকমত্যের সম্ভাবনা: জোনায়েদ সাকি
Published: 25th, June 2025 GMT
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় ষষ্ঠ দিনের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক চলছে। মধ্যাহ্নবিরতির আগপর্যন্ত বৈঠকে রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে ঐকমত্যের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে এই বৈঠকের বিরতিতে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বৈঠকে অংশগ্রহণকারী গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি। এ বিষয়ে নতুন একটি প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধানের মূলনীতিতে কী কী অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সুবিচার, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও পক্ষপাতহীনতা—এই পাঁচ বিষয়কে সমর্থন করেছেন তাঁরা।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ভবিষ্যতে অন্তত এই পাঁচ বিষয় সংবিধানে থাকতে হবে—এই রকম একটি ঐকমত্যে পৌঁছানোর বিষয়ে তিনি আশাবাদী।
বৈঠকে একজন ব্যক্তি কয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানান জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, একজন প্রধানমন্ত্রী কত বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, সে বিষয়ে একটা প্রস্তাব ছিল ১০ বছরের। এই বিষয়ে মোটামুটি একটা ঐকমত্য তৈরির জায়গা হয়েছে।
বিল্পবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা দলের পক্ষ থেকে বলেছি, রাষ্ট্রের যে মূলনীতি, সেটা দীর্ঘ গণতান্ত্রিক সংগ্রাম আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাওয়া। গণ–আকাঙ্ক্ষার সাংবিধানিক প্রতিফলন হিসেবে সেটা সংবিধানে যুক্ত করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, তাঁরা মনে করেন মূলনীতি অব্যাহত থাকা দরকার।
সংশোধিত এনসিসির প্রস্তাবের বিষয়ে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) সভাপতি মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, সাংবিধানিক পদের নিয়োগগুলো প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার উভয় পক্ষের সবাই মিলে আলোচনা করবেন; সেখানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির প্রতিনিধি থাকবেন, এর চেয়ে সুন্দর প্রস্তাব আর হতে পারে না।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গায়িকা থেকে বিধায়ক, মৈথিলীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুসারী চমকে ওঠার মতো
মাত্র ২৫ বছর বয়সেই গায়িকা হিসেবে তুমুল সাড়া জাগিয়েছিলেন মৈথিলী ঠাকুর। সেই গায়িকা পেশার সঙ্গে এবার যোগ হলো নতুন পরিচয়। এখন তিনি পুরো দস্তুর শুধু গায়িকাই নন, একজন রাজনীতিক। সম্প্রতি ভারতের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। এত অল্প বয়সে কীভাবে তিনি আলোচিত হলেন, সেই প্রশ্নই ঘুরেফিরে আসছে।
২০১৭ সালের কথা। সেবার রাইজিং স্টার প্রতিযোগিতায় শীর্ষ ৪–এ জায়গা পান। সেই থেকেই মৈথিলীকে আগামীর তারকা ধরা হয়। তারপর আর থেমে থাকেননি। একের পর এক গান দিয়ে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন। বিহারের আলোচিত এই গায়িকা ২০২১ সালের দিকে বিহারের ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করতে থাকেন। যে কারণে সেই বছর তিনি বিহারের ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান যুব পুরস্কারে ভূষিত হন।
মৈথিলী মূলত ভারতীয় ধ্রুপদি এবং লোকসংগীতের ওপর বেশি দক্ষতা। বিহারের ভাষা ছাড়াও তিনি হিন্দি, ভোজপুরিসহ বেশ কয়েকটি ভাষায় গান করতে পারেন। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিতি লোকসংগীতের গান দিয়ে। যে কারণে অল্প সময়েই তিনি ভারতের আলোচিত তরুণ সংগীতশিল্পীদের একজন হয়ে ওঠেন।
মৈথিলী ঠাকুর। শিল্পীর ইনস্টাগ্রাম থেকে