নির্বাচনে ইসলামি শক্তিগুলোর ঐক্য সময়ের দাবি: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
Published: 27th, June 2025 GMT
ইসলামি শক্তিগুলোর ঐক্য এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ঐক্য না হলে দেশ, ইসলাম ও স্বাধীনতা—তিনটিই বিপন্ন হবে।
আজ শুক্রবার ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর প্রাঙ্গণে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সংহতি সমাবেশে জালালুদ্দীন আহমদ এ কথা বলেন।
ইরানে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও ফিলিস্তিনে দেশটির অব্যাহত গণহত্যার প্রতিবাদে এবং সাম্প্রতিক যুদ্ধে ইসরায়েলকে ইরানের প্রতিরোধের প্রতি সংহতি জানিয়ে আজ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
ঢাকার সমাবেশে জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল এখন শুধু ফিলিস্তিনেই নয়, ইরানেও সরাসরি আগ্রাসন চালিয়ে মুসলিম উম্মাহর অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ করছে। বর্তমান সময়ে ফিলিস্তিনে যা হচ্ছে, তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, জাতিসংঘ, ওআইসি (ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা) সবাই নিষ্ক্রিয়। এ অবস্থায় মুসলিম দেশগুলোর সম্মিলিত কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক জোট ছাড়া মুসলমানদের রক্ষার আর কোনো পথ নেই।
জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরান সাহসিকতা ও ন্যায্য প্রতিরোধের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে, অন্যায়ের জবাব একমাত্র প্রতিরোধের মাধ্যমেই সম্ভব।
জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার ঘোষিত মাসব্যাপী কর্মসূচির বিষয়ে জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, ফ্যাসিবাদের পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার ঘোষিত মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় শাহবাগপন্থী নাস্তিক্যবাদী দর্শনের প্রতিফলন চলবে না। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জুলাই ঘোষণাপত্রে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের শহীদদের স্বীকৃতি, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ হাদী, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ছানাউল্লাহ আমিনী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু হানিফ নোমান, যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আল আবীদ শাকির, ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন হাসিব বক্তব্য দেন।
পরে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর প্রাঙ্গণ থেকে একটি মিছিল পল্টন হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া ও মোনাজাত করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ল ল দ দ ন আহমদ ইসর য় ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য সংগ্রহ করা হচ্ছে ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশের জন্য কমপক্ষে ৪০ হাজার বডিওয়্যার ক্যামেরা (বডিক্যাম) সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
গতকাল শনিবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক উচ্চপর্যায়ের সভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়। আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকস চৌধুরী ও ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা (যা সাধারণত বডিক্যাম নামে পরিচিত) সংগ্রহের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই ডিভাইসগুলো হাজার হাজার ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা অক্টোবরের মধ্যে বডিক্যামগুলো সংগ্রহ করতে চাই, যেন পুলিশ বাহিনী এসব বডিক্যামের এআই সক্ষমতাসহ মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর ওপর পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পেতে পারেন।’
বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডের তিনটি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ক্যামেরা সরবরাহের জন্য। পুলিশ অফিসার ও কনস্টেবলরা নির্বাচনের সময় ডিভাইসগুলো তাঁদের বুকে পরবেন।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এ সময় বডিক্যামগুলো দ্রুত ক্রয় ও হাজার হাজার পুলিশ সদস্যের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই সব ভোটকেন্দ্রে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, খরচ যা-ই হোক না কেন। আমাদের লক্ষ্য হলো, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করা।’
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আসন্ন ভোটের জন্য একটি নির্বাচনী অ্যাপ চালু করার পরিকল্পনার কথা জানান।
অ্যাপটি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের ওপর বিশদ তথ্য প্রদান করবে। এর মধ্যে প্রার্থীর বিবরণ, ভোটকেন্দ্রের আপডেট ও অভিযোগ জমা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টা কর্মকর্তাদের অ্যাপটি দ্রুত চালু করার এবং দেশের ১০ কোটির বেশি ভোটারের জন্য এটি ব্যবহারবান্ধব কি না, তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন।