শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না দুই কোম্পানি
Published: 29th, June 2025 GMT
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুইটি কোম্পানির পরিচালনার পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ না দেওয়ার বা ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা দিয়েছে।
কোম্পানি দুইটি হলো- বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) লিমিটেড।
২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানি দুটির পরিচালনা পর্ষদ।
রবিবার (২৯ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে অনুষ্ঠিত কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট: সর্বশেষ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (৩১.
কোম্পানিটির ঘোষিত ‘নো’ ডিভিডেন্ডসহ অন্যান্য আলোচ্য বিষয়সমূহ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারন সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ আগস্ট। এ লক্ষ্যে শেয়ারহোল্ডার নির্বাচনে আগামী ২১ জুলাই রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স: সর্বশেষ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (৬.৬৬) টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ২.০৪ টাকা। আর ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির ঋণাত্মক শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে (১২৬.১১) টাকায়।
কোম্পানিটির ঘোষিত ‘নো’ ডিভিডেন্ডসহ অন্যান্য আলোচ্য বিষয়সমূহ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে শেয়ারহোল্ডার নির্বাচনে আগামী ১৫ জুলাই রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই করপোরেট ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন কোম্পানি দুটির শেয়ারের লেনদেনের কোনো মূল্যসীমা থাকবে না।
ঢাকা/এনটি/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ য় রহ ল ড র র জন য বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
কুবিতে র্যাগিং: ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কারসহ বিভাগীয় প্রধান ও ছাত্র উ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ১৭ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ছাত্র পরামর্শককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত ২ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বারা ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীরা নিয়মিত র্যাগিংয়ের শিকার হন। পরে ১৬ জুলাই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রক্টরিয়াল বডি র্যাগিং চলাকালে হাতেনাতে অভিযুক্তদের আটক করেন। এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
আরো পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচনে নারী ভোটকেন্দ্র পরিবর্তনের দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্র
জাবিতে পোষ্য কোটা বহাল, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা
তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার ও আজীবন হল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া একই শিক্ষাবর্ষের আরো ১৭ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর পাশাপাশি মুচলেকা দিতে বলা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের আবদুল্লাহ আরাফাত ও রিফা সানজিদা।
মুচলেকা এবং শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে- আবদুল্লাহ আরাফাত, রিফা সানজিদা, সাবিয়া সুলতানা, আনোয়ারুল ইসলাম, মো. শাহ মখদুম, মোহাম্মদ আয়াতুল্লাহ, মো. জাহিদুল ইসলাম, রাজিয়া সুলতানা লুৎফা, মো. হাসিবুর রহমান, মো. মাহমুদুর রহমান, আফতাব উল হক খান, মো. আশিকুর রহমান (সি. আর), শিপন চন্দ্র সরকার, মাহমুদুল হাসান তামিম, শেখ সৌরভ উদ্দিন জয়, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. সুমন রানা, জিনাত জাহান ও সাবিকুন নাহার মিমকে।
শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বিভাগীয় প্রধান ও ছাত্র উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনে অবহেলা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় তাদের পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোসা. শামসুন্নাহারের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিভাগের তৎকালীন ছাত্র উপদেষ্টা ও সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহিন উদ্দিন বলেন, “প্রথমেই বলে রাখি, আমি দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি। আমি দায়িত্বে থাকাকালে আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। আমি সিআরদের গ্রুপে মেসেজ দিয়েছি, কথা বলেছি সবার সঙ্গে। তারপরেও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে।”
শোকজের বিষয়ে তিনি বলেন, “শোকজের বিষয়টি আমি দেখেছি। দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরও এমন সিদ্ধান্ত আমার জন্য অপমানজনক। আমরা শোকজের জবাব দেব।”
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাকিম বলেন, “তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই সুপারিশ করা হয়েছে। র্যাগিং একটি বিকৃত মানসিকতার কাজ। র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি। ভবিষ্যতে র্যাগিং হবে একটি নোংরা শব্দ।”
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী