পরিবেশ দিবস উপলক্ষে মিনিটে ১০০ বৃক্ষরোপণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি
Published: 29th, June 2025 GMT
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে বিভাগ ও ছাত্র সংগঠনগুলোর উদ্যোগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ জুন) পৃথকভাবে তারা পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগ হিসেবে এ কর্মসূচি পালন করে। রাইজিংবিডি ডটকমের সংবাদদাতাদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)
আরো পড়ুন:
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফল উৎসব ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
যবিপ্রবিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হল প্রাঙ্গণে ১ মিনিটে ১০০ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে চবির পরিবেশবাদী সংগঠন আওয়ার গ্রিণ ক্যাম্পাস। এসব বৃক্ষের মাঝে ছিল বিভিন্ন ফলদ ও ওষধি গাছ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নিয়ে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, “আল্লাহ তায়ালা আমাদের নান্দনিক সবুজ দিয়ে রেখেছে। আমাদের এসবের পরিচর্যা করতে হবে এবং এর সঙ্গে আমাদের অ্যাকাডেমিক দক্ষতা যুক্ত করতে হবে। শুধু গাছ-গাছালিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচিতি পাবে না। তবে আমরা সবুজের এই সমারোহকে রক্ষা করতে যা করার করবো। এ বর্ষাকালে আমরা বেশি বেশি বৃক্ষরোপণ করে পাহাড়ি এ ক্যাম্পাসকে সজীব রাখবো।”
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি)
‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ পালন করেছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ পালন করেছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগ। এ উপলক্ষে র্যালি, বৃক্ষরোপণ ও বিভাগের সেমিনার হলে আলোচনা সভার আয়োজন করে বিভাগটি।
এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবু জুবাইর, বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এএসএম সাইফুল্লাহ, অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল হক, অধ্যাপক ড. মীর মো. মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
সরকারি তিতুমীর কলেজ
‘মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ২০২৫’ এর অংশ হিসেবে পরিবেশ রক্ষা ও সবুজ ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করেছে শাখা ছাত্রশিবির। কর্মসূচিতে সংগঠনটি কলেজ চত্বরে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ করে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ ও সমাজসেবা সম্পাদক হাফেজ ড. রেজওয়ানুল হক এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন তিতুমীর কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. আতিকুজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. রেজওয়ানুল হক বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কেবল শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার উন্নয়নে নয়, বরং পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত ক্যাম্পাস গড়ার প্রতিও সমানভাবে সচেতন। আমরা বিশ্বাস করি, একটি পরিচ্ছন্ন ও সবুজ ক্যাম্পাস শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে।”
তিনি আরো বলেন, “পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার ‘থ্রি-জিরো তত্ত্ব’ বাস্তবায়নের জন্য আমাদের আরও বেশি গাছ লাগাতে হবে, যাতে কার্বনের পরিমাণ কমিয়ে একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা যায়।”
ঢাকা/মিজান/আবিদ/হাফছা/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন শুরু, সদরঘাটে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা
শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীতে রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকার বীণা স্মৃতি স্নানঘাটে ধানমন্ডি থানার দুর্গামন্দিরের প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিসর্জন কার্যক্রম শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা মহানগর পূজা উদ্যাপন কমিটির উদ্যোগে সদরঘাট টার্মিনালের পাশে বীণা স্মৃতি স্নানঘাটে অস্থায়ী বিসর্জন মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। পাশে পুলিশের কন্ট্রোল রুম। ঘাট এলাকা ও বুড়িগঙ্গার তীরজুড়ে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ঘাট ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি নদীতে নৌ পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ট্রলার ও স্পিডবোটে টহল দিচ্ছেন। প্রতিমা বিসর্জন দেখতে বিকেল থেকেই ভক্ত ও দর্শনার্থীরা ঘাট এলাকায় ভিড় করছেন।
প্রতিমা বিসর্জন কেন্দ্রীয় ঘাট কমিটির কর্মকর্তা রজত কুমার সুর প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা বিকেল নাগাদ বীণা স্মৃতি ঘাটে এসে পৌঁছাবে। এ উপলক্ষে ঘাটকেন্দ্রিক সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
পুরান ঢাকার হাজারীবাগ থেকে প্রতিমা বিসর্জন দেখতে এসেছেন সবিতা রানী। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর পরিবারের সঙ্গে প্রতিমা বিসর্জন দেখতে বীণা স্মৃতি ঘাটে আসি। এবারও স্বামী ও ছেলেমেয়েকে নিয়ে এসেছি। এটি আমাদের কাছে এক বিশেষ মুহূর্তের দিন।’
নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোহাগ প্রথম আলোকে বলেন, বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঘাট ও আশপাশের প্রতিটি পয়েন্টে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও আনসার মোতায়েন আছে। একই সঙ্গে একাধিক ট্রলার ও স্পিডবোটে টহল জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, বেলা তিনটায় শুরু হওয়া বিসর্জন কার্যক্রম চলবে মধ্যরাত পর্যন্ত।
এদিকে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর ইউনিয়নের নাগরমহল ঘাট এলাকায় আরেকটি বিসর্জন মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি অনুপ কুমার বর্মণ প্রথম আলোকে বলেন, কেরানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রতিমা বুড়িগঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয়। মূলত সন্ধ্যা ছয়টার পর থেকে কেরানীগঞ্জের প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আনা হয়। প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে তাঁদের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।