ছাত্র আন্দোলনের ১১ মাস পর দাউদকান্দিতে আরেকটি হত্যা মামলা
Published: 6th, July 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১১ মাস পর কুমিল্লার দাউদকান্দিতে আরেকটি হত্যা মামলা হয়েছে। এতে সাবেক সংসদ সদস্যসহ ৩৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারে গুলিতে নিহত হন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক সুলতান মিয়া (৪০)। তিনি তিতাস উপজেলার শোলাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী রেহানা বেগম বাদী হয়ে গত ৩০ জুন দাউদকান্দি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী প্রথম আলোকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত বছরের ৫ আগস্ট সুলতান মিয়া গৌরীপুর বাজারে এক মিছিলে অংশ নেন। এ সময় আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারীরা বাজারে অবস্থান নিয়ে দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া দেয়। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এতে সুলতান মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। ৭ আগস্ট শাহবাগ থানা-পুলিশ লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।
এ মামলায় কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সবুর, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.
নিহত সুলতানের স্ত্রী রেহানা বেগম বলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে সন্তানদের নিয়ে তিনি মানবেতর জীবন পার করছেন। মামলা করতে খরচ হবে, এই ভেবে এত দিন মামলা করেননি পরে বাধ্য হয়ে মামলা করেছেন।
ওসি জুনায়েত চৌধুরী বলেন, সুলতান মিয়া নিহতের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এর আগে মো. রিফাত ও মো. বাবু হত্যার ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। মো. রিফাত ও মো. বাবু হত্যা মামলার কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ উদক ন দ
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট