বিশ্বের ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল ফাউন্ডেড স্কলারশিপ পেলেন বেরোবি শিক
Published: 7th, August 2025 GMT
বিশ্বের স্বনামধন্য চার বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পেয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী মাহামুদুল হাসান মেহেদী।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মৃত মো. মোস্তাফিজার প্রধান ও কল্পনা দম্পতির একমাত্র সন্তান তিনি।
তিনি এসএসসিতে জিপিএ ৫.
আরো পড়ুন:
ফরিদপুরে টিটিসি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ
পঞ্চগড়ে যুবক খুন: জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
এছাড়া আন্তর্জাতিক ও ন্যাশনাল সম্মেলনে পোস্টার উপস্থাপনা করেছেন চারবার। বেরোবি শিক্ষক অধ্যপক ড. আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলামের গবেষণ সহকারী কর্মরত তিনি।
তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ সিডনি, মালেশিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ তেরেঙ্গানু,থাইল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ থাম্মাসাত এবং টেস্ট টোকিও স্কলাশিপের অধীনে থাইলান্ডের ছয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল ফাউন্ডেড স্কলারশিপ পেয়েছেন। তবে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি জন্য ভর্তি হয়েছেন থাইল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ থাম্মাসাতের বায়োকেমিকেল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগে।
এ বিষয়ে মাহামুদুল হাসান বলেন, “আমি মুলত তৃতীয় বর্ষ থেকে গবেষণার কাজ শুরু করি। এত কঠিন পরিশ্রমের পর যখন সফলতা এসেছে, তখন তো সবাই খুশি থাকে। শুক্রবার যখন নামাজ পড়ে ল্যাপটপটা চেক করে দেখি আমার স্কলারশিপের মেইল আসছে। তখনকার অনুভূতি বলে প্রকাশ করার মতো না।”
বেরোবি শিক্ষক ড. আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলাম বলেন, “আমি খুবই খুশি। সে কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমিও তাকে সাহায্য করেছি। এর ফলে সেই স্কলারশিপ পেয়েছে।”
উপাচার্য ড. মো. শওকত আলী বলেন, “প্রথমে তাকে অভিনন্দন জানাই। পাশাপাশি এ রকম উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়ুক। এটা আমি প্রত্যাশা করি।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ইউন ভ র স ট
এছাড়াও পড়ুন:
বাসে নারী আসন
রাজধানী ঢাকায় নারীদের নিরাপদ যাতায়াত এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হয়নি। প্রতিদিন অসংখ্য নারী শিক্ষা, কর্মসংস্থান কিংবা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বাসে যাতায়াত করেন। কিন্তু এ যাত্রা তাঁদের অনেকের জন্যই এক কঠিন এবং হয়রানিমূলক অভিজ্ঞতা হয়ে দাঁড়ায়। বাসে ওঠার মুহূর্ত থেকে নামা পর্যন্ত নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হন তাঁরা। এর মধ্যে অন্যতম হলো সংরক্ষিত আসন থাকা সত্ত্বেও তা ব্যবহার করতে না পারা।
নারীদের জন্য নির্ধারিত আসনের সংখ্যা যেমন অপ্রতুল, তেমনি ওই আসনগুলোতে পুরুষ যাত্রীদের দখলদারত্ব প্রায় স্বাভাবিক চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিনিয়ত দেখা যায়, নারী যাত্রীরা দাঁড়িয়ে থাকলেও সংরক্ষিত আসনে বসে থাকা পুরুষ যাত্রীরা উঠতে অনাগ্রহী। কেউ ভান করেন ঘুমিয়ে আছেন, কেউ নিরুত্তর থাকেন, আবার কেউ কেউ অসৌজন্যমূলক মন্তব্য করতেও পিছপা হন না। কেউ প্রতিবাদ করলে উল্টো তাচ্ছিল্য ও বিদ্রূপের শিকার হতে হয়। ফলে নারীরা শুধু শারীরিক কষ্টে নয়, প্রতিনিয়ত মানসিক হয়রানিরও শিকার হচ্ছেন। এ পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।
মো. রিয়াদ হোসেন
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ