গুগলের উদ্যোগে ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইনফরমেশন ক্রেডিবিলিটি অ্যান্ড এআই লিটারেসি ট্রেনিং’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে আয়োজিত দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের ৭৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।

প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষার্থীরা তথ্য সংগ্রহ, যাচাই, বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদন তৈরির জন্য নোটবুক এলএম, জেমিনি, পিন পয়েন্ট, গুগল ট্রেন্ডসসহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) বিভিন্ন আধুনিক টুলের ব্যবহার নিয়ে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।

আয়োজকেরা জানান, এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা আধুনিক সাংবাদিকতার কৌশল ও প্রযুক্তি আয়ত্ত করার পাশাপাশি সংবাদ যাচাইয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে গভীর ধারণা লাভ করবেন। এতে শিক্ষার্থীরা ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য শনাক্ত ও প্রতিরোধে আরও সক্ষম হয়ে উঠবেন, যা ভবিষ্যতে দায়িত্বশীল ও নৈতিক সাংবাদিকতা চর্চায় সহায়ক হবে।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো.

শরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী পর্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক সারা মনামী হোসেন। তিনি বলেন, এআই খুবই সংবেদনশীল বিষয়। প্রথম আলোকে ধন্যবাদ, তারা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। আশা করছেন, শিক্ষার্থীরা মনোযোগ সহকারে শিখবেন এবং ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে এর যথাযথ ব্যবহার করবেন।

প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষার্থীরা তথ্য সংগ্রহ, যাচাই, বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদন তৈরির জন্য নোটবুক এলএম, জেমিনি, পিন পয়েন্ট, গুগল ট্রেন্ডসসহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) বিভিন্ন আধুনিক টুলের ব্যবহার নিয়ে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র ব দ কত

এছাড়াও পড়ুন:

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাবে ব্রিটেনে কারিগরি শিক্ষার উত্থান

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দ্রুতগতিতে কর্মক্ষেত্রের দখল নেওয়ায় চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করা তরুণদের মধ্যে। অনেকেই ‘হোয়াইট কলার’ চাকরিকে নিরাপদ মনে করছেন না আর। বরং দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা এবং হাতে–কলমে দক্ষতার নিশ্চয়তা পাওয়া যায়, এমন কারিগরি পেশার দিকে ঝুঁকছেন।

এমনই একজন ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থী মারিনা ইয়ারোশেঙ্কো। এআই যে অনেক অফিসভিত্তিক কাজ দখল করে নিতে পারে—এমন আশঙ্কা করছেন তিনি। বর্তমানে মারিনা লন্ডনের সিটি অব ওয়েস্টমিনস্টার কলেজে প্লাম্বিং কোর্সে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

ইউক্রেন থেকে আসা মারিনা বলছিলেন, ‘এটা এমন একটা কাজ, যেটা এআই নিতে পারবে না।’ তাঁর মতে, প্লাম্বিং বা প্রকৃত প্রকৌশল কাজের সূক্ষ্মতা এবং শারীরিক বাস্তবতা কোনো যন্ত্র পুরোপুরি অনুকরণ করতে পারে না। মারিনা বলেন, ‘আমরা নিশ্চয়ই এআইকে কাজে লাগাব, কিন্তু অনেক কাজ আছে, যা শুধুই মানুষ করতে পারে—যেমন আসল প্লাম্বিং, তড়িৎকৌশল বা ইঞ্জিনিয়ারিং।

আরও পড়ুনযুক্তরাজ্যে নতুন যুগের পড়াশোনা: কোন বিষয়গুলো ট্রেন্ডে?২০ নভেম্বর ২০২৫এআইয়ের প্রভাব: বিশ্ববিদ্যালয়ে অনাগ্রহ, কারিগরি শিক্ষায় ভর্তি বাড়ছে

ব্রিটেনে এআইয়ের প্রভাবে বড় ধরনের চাকরির কাঠামোয় পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে। চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব পারসোনেল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিআইপিডি) সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, দেশটির ছয়জনের একজন নিয়োগদাতা মনে করছেন, আগামী ১২ মাসে এআইভিত্তিক টুলস ব্যবহারের কারণে তাঁরা কর্মীর সংখ্যা কমাতে পারেন। এই প্রেক্ষাপটে সিডব্লিউসি (সিটি অব এয়েস্ট মিনস্টার কলেজ) গত তিন বছরে ইঞ্জিনিয়ারিং, কনস্ট্রাকশন এবং বিল্ট এনভায়রনমেন্ট কোর্সে ভর্তি বেড়েছে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। কলেজের প্রধান নির্বাহী স্টিফেন ডেভিস মনে করেন, এআইয়ের অগ্রগতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয়সংকুল ডিগ্রির প্রতি তরুণদের অনাগ্রহ—এ দুটি কারণেই কারিগরি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।

লন্ডনের ইউনাইটেড কলেজেস গ্রুপের অংশ সিডব্লিউসি মূলত একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

অন্যদিকে ট্রেডস ইউনিয়ন কংগ্রেসের (টিইউসি) আগস্টের এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের প্রতি দুজনের একজন এআইয়ের কারণে চাকরি হারানোর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সবচেয়ে উদ্বিগ্ন ২৫–৩৫ বছর বয়সীরা।

লন্ডনের কিংস কলেজের প্রভাষক এবং এআই গবেষক বোক ক্লেইন টিসেলিংক বলেন, এখন তরুণদের মধ্যে অনেক উদ্বেগ রয়েছে যে তাদের চাকরি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যাচ্ছে। কিংস কলেজ টিসেলিংকের গত অক্টোবরে এক গবেষণা প্রকাশ করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এআই-চালিত কর্মী ছাঁটাই জুনিয়র পদগুলোকে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত করে। এর ফলে তরুণদের ক্যারিয়ারের সিঁড়িতে পা রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

শিক্ষার্থী ওয়ার্কশপে কাজ শিখছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এআই যেভাবে ২০২৬ সালে ৮৯% চাকরিতে প্রভাব ফেলবে
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাবে ব্রিটেনে কারিগরি শিক্ষার উত্থান