পশ্চিম তীর দখলের পরিকল্পনা থেকে ইসরায়েলকে বিরত থাকার আহ্বান রুবিও
Published: 23rd, October 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইসরায়েলকে অধিকৃত পশ্চিম তীর সংযুক্তকরণের পরিকল্পনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েলি পার্লামেন্ট (নেসেট) যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধ অবসানের পরিকল্পনাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। খবর বিবিসির।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন করার পরেই বুধবার ইসরায়েলি পার্লামেন্ট ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার দুটি বিল প্রাথমিকভাবে অনুমোদন করেছে।
আরো পড়ুন:
এবার প্রশান্ত মহাসাগরে ‘মাদকবাহী নৌযানে’ মার্কিন বিমান হামলা
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা
বিলটি পূর্ণাঙ্গভাবে আইনে পরিণত হলে পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সার্বভৌম ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বলেন, “আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট পরিষ্কার করে বলেছেন, এটা এমন কিছু নয় যা আমরা এখন সমর্থন করতে পারি। আমরা মনে করি এটি শান্তি চুক্তির জন্য সম্ভব্য হুমকি।”
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র যেসব আরব ও ইসলামি রাষ্ট্রের কাছে গাজায় স্থিতিশীলতা বাহিনী পাঠানো ও আর্থিক সহায়তার আহ্বান জানাচ্ছে, তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে অধিকৃত পশ্চিম তীর সংযুক্তকরণ একটি ‘রেডলাইন’।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধের অবসান, পুনর্গঠন, স্থিতিশীল শাসনব্যবস্থা এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাব্য পদক্ষেপের জন্য ট্রাম্পের ২০-দফা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য রুবিও আজ ইসরায়েল সফর করবেন।
তার আগে বুধবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে দেখা করেন। বৃহস্পতিবার ভ্যান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এবং কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডার্মারের সাথে দেখা করার কথা ছিল।
পশ্চিম তীর জুড়ে বসতিতে প্রায় সাত লাখ ইহুদি বসতি স্থাপনকারী বাস করে। জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মহল আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বসতিগুলোকে অবৈধ বলে মনে করে।
ইসরায়েলের সরকার পশ্চিম তীরের সাথে বাইবেলের এবং ঐতিহাসিক সংযোগের কথা উল্লেখ করে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে আসছে।
পশ্চিম তীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতিস্থাপনের ঘটনাকে কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্য শান্তির পথে একটি বড় বাধা হিসেবে দেখা হয়ে আসছে।
বিলটি পাস হওয়ার এক মাস আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, ইসরায়েলকে পশ্চিম তীর সংযুক্তির অনুমতি দেওয়া হবে না।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র ইসর য় ল ইসর য় ল মন ত র ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁয় কাটা হচ্ছে সড়কের পাশের সহস্রাধিক পুরোনো গাছ
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার নওগাঁ–মহাদেবপুর প্রধান সড়ক থেকে শুরু হয়ে মহাদেবপুর–মাতাজীহাট সড়কে মিলেছে একটি গ্রামীণ সড়ক। সেই সড়কের জন্তিগ্রাম থেকে কদমতলী মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক স্থানীয় লোকজনের কাছে ‘অর্জুনগাছের সড়ক’ নামে পরিচিত। সড়কটির দুই পাশে অর্জুনসহ বিভিন্ন জাতের গাছের সমারোহ। কিন্তু এসব গাছ আর থাকবে না। সড়ক সম্প্রসারণের নামে এখানকার এক হাজারের বেশি গাছ কাটা শুরু হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে জন্তিগ্রাম–কদমতলী সড়কটিতে গিয়ে দেখা যায়, কদমতলী মোড় থেকে প্রায় ২০০ মিটার এলাকাজুড়ে সড়কটির দুই পাশের গাছ কাটা শুরু হয়েছে। সড়কের দুই পাশে থাকা ২৫ থেকে ৩০ বছর আগে লাগানো অর্জুনগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটা হচ্ছে। ৮ থেকে ১০ শ্রমিকের কেউ গাছের ডাল, কেউ আবার গাছের গোড়া কাটতে ব্যস্ত। কেটে ফেলা কিছু গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখা হয়েছে সড়কের পাশে।
স্থানীয় লোকজন জানান, সড়ক প্রশস্তকরণের নামে ঔষধি গুণসম্পন্ন অর্জুনগাছসহ প্রায় দেড় হাজার গাছ কাটার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সড়কটিতে প্রচুর অর্জুনগাছ থাকায় এটি স্থানীয়ভাবে অর্জুনগাছের সড়ক নামেই পরিচিত। দূরদূরান্ত থেকে এই সড়কে মানুষ আসত অর্জুনগাছের ছাল সংগ্রহ করার জন্য। জন্তিগ্রাম–কদমতলী সড়কটি যে পরিমাণ প্রশস্ত আছে, এটি দিয়ে আরও অন্তত ২০ থেকে ৩০ বছর চলাচল করতে এলাকাবাসীর কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তাঁদের অভিযোগ, উন্নয়নের নামে সড়কের গাছ কেটে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করতেই এই কাজ করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সড়ক প্রশস্তকরণের নামে গাছগুলো কাটার উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল বিভাগ। মহাদেবপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী সৈকত দাস বলেন, সড়ক প্রশস্ত করার জন্য গাছগুলো কাটার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গাছগুলো রেখে সড়ক প্রশস্তকরণে ঝুঁকি ছিল। যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলো কাটা হচ্ছে। এখান থেকে টাকা আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। এ ছাড়া প্রশস্তকরণ কাজ শেষ হয়ে গেলে সেখানে আবারও গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
সড়কের পাশে রাখা হয়েছে কাটা গাছের গুঁড়ি