রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় দেশ কোল্ড স্টোরে (হিমাগার) ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোহনপুর থানায় মামলাটি করেন হিমাগারের ব্যবস্থাপক আকবর আলী। এতে অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, মামলায় সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি এবং যন্ত্রপাতি লুটপাটে ৬০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি দেখানো হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে।

এর আগে গত বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে দেশ কোল্ড স্টোরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, ডাকাত দল মুখ ঢেকে ও পায়ে জুতা ছাড়া হিমাগারে প্রবেশ করে। প্রথমে নিরাপত্তারক্ষীদের ও পরে হিমাগারে থাকা শ্রমিকসহ ২৫ জনকে হাত-পা বেঁধে ফেলে। ভোর চারটা পর্যন্ত তারা হিমাগারে অবস্থান করে। এ সময় হিমাগারের পাওয়ার হাউস, প্রকৌশল বিভাগসহ বিভিন্ন জায়গায় রক্ষিত যন্ত্রাংশ ও ধাতবসামগ্রী লুট করে ডাকাতেরা। অফিসকক্ষ থেকে লুট করা হয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ ছাড়া শ্রমিকদের কাছে থাকা দেড় লাখ টাকাও তারা নিয়ে নেয়। ভাঙচুর করা হয় অফিসকক্ষ ও আলমারি। পরে ভোর সাড়ে চারটার দিকে এক শ্রমিক হিমাগারের ব্যবস্থাপককে ফোন করে বিষয়টি জানান। পরে ভোরে মোহনপুর থানা-পুলিশসহ হিমাগার কর্তৃপক্ষ আসে। ওই হিমাগারে ১ লাখ ৮০ হাজার বস্তা আলু মজুত আছে।

আরও পড়ুনরাজশাহীতে নিরাপত্তারক্ষী ও শ্রমিকদের জিম্মি করে হিমাগারে ডাকাতি০৭ আগস্ট ২০২৫

দেশ কোল্ড স্টোরের ব্যবস্থাপক আকবর আলী বলেন, এ ঘটনায় ৩০ থেকে ৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৬৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি দেখানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। কোল্ড স্টোর চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে অনেক কৃষক ও ব্যবসায়ীর আলু রাখা আছে। গতকাল সকাল থেকে হিমাগার চালুর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। অনেক যন্ত্রাংশ দেশের বাইরের। স্থানীয়ভাবে কিছু যন্ত্রাংশ কিনে সেগুলো দিয়ে হিমাগার চালু করছেন। ইতিমধ্যে কাজ অনেক দূর এগিয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হনপ র ঘটন য় ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

পোশাককর্মীর এক মোবাইল ফোন উদ্ধারে গিয়ে ১৪৮টি জব্দ

চট্টগ্রাম মহানগরীতে এক পোশাককর্মীর চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে গিয়ে ১৪৮টি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (পশ্চিম জোন)। এ সময় দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরাও জব্দ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে মোবাইল চুরি ও বিক্রয় সিন্ডিকেটের তিন সদস্যকে। 

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের দামপাড়ায় মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন সিএমপি ডিবি বন্দর জোনের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক। চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন ও চৈতন্য গলি এলাকা থেকে এই বিপুল সংখ্যক মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২৪ আগস্ট ভোরে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানাধীন জাহাঙ্গীর কলোনির টিনশেড বাসা থেকে পোশাক শ্রমিক আকবর হোসেনের ভিভো ব্র্যান্ডের একটি মোবাইল ফোন কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। অসহায় এই শ্রমিক প্রায় ২০ দিন পর তার মোবাইল ফোন উদ্ধারে গোয়েন্দা পুলিশ পশ্চিম জোনের শরণাপন্ন হন। 

অভিযোগ পেয়ে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করতে ডিবি পশ্চিম জোনের এসআই মো. ইমাম হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিকের দিকনির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক ধীমান মজুমদারের তত্ত্বাবধানে এসআই মো. ইমাম হোসেনের নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরের কোতোয়ালী থানার পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় পোশাককর্মী আকবরের চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনসহ ৪৮টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় সোহেল মিয়া (৩৩) নামের মোবাইল চোর চক্রের এক সদস্যকে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোতোয়ালী থানাধীন স্টেশন রোড ও চৈতন্য গলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের দুই সদস্য আবদুল হাকিম (২৭) ও মো. ইয়াছিনকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি আইফোন ও দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরা। 

আটক ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোন চুরি, ছিনতাই ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

জব্দ করা মোবাইল ফোনগুলো আইনি প্রক্রিয়ায় প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার আবু বক্কর সিদ্দিক।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পদ স্থগিত নেতার পক্ষে বিবৃতির বিষয় অস্বীকার করে শোকজের জবাব বিএনপির দুই নেতার
  • পোশাককর্মীর এক মোবাইল ফোন উদ্ধারে গিয়ে ১৪৮টি জব্দ