কুমিল্লায় ৪ মাজারে হামলার ঘটনায় আরও দুজন গ্রেপ্তার
Published: 22nd, September 2025 GMT
কুমিল্লার হোমনায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে চারটি মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বেলা ১১টায় আসাদপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন আসাদপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান আহমেদের ছেলে মো. ইকরাম উল্লাহ (৪৫) ও একই গ্রামের মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আবদুল লতিফ (৩৯)। এর আগে গতকাল রোববার দুপুরে ওই বাজার থেকে ইব্রাহিম খলিল ও শহীদ উল্লাহ নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুনকুমিল্লায় ৪ মাজারে হামলা: উসকানিদাতাদের কেউ গ্রেপ্তার হননি২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫হোমনার থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার দুই আসামিকে আজ আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.
যে চারটি মাজারে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলো হলো আসাদপুর গ্রামের আলেক শাহের বাড়িতে অবস্থিত তাঁর বাবা কফিল উদ্দিন শাহের মাজার, একই গ্রামের আবদু শাহের মাজার, কালাই (কানু) শাহের মাজার ও হাওয়ালি শাহের মাজার। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে হোমনা থানার এসআই তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন‘মাজারের অপরাধডা কী, তাঁরায় মাজারে হামলা করলো ক্যারে’২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য় আরও
এছাড়াও পড়ুন:
পোশাককর্মীর এক মোবাইল ফোন উদ্ধারে গিয়ে ১৪৮টি জব্দ
চট্টগ্রাম মহানগরীতে এক পোশাককর্মীর চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে গিয়ে ১৪৮টি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (পশ্চিম জোন)। এ সময় দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরাও জব্দ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে মোবাইল চুরি ও বিক্রয় সিন্ডিকেটের তিন সদস্যকে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের দামপাড়ায় মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন সিএমপি ডিবি বন্দর জোনের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক। চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন ও চৈতন্য গলি এলাকা থেকে এই বিপুল সংখ্যক মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২৪ আগস্ট ভোরে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানাধীন জাহাঙ্গীর কলোনির টিনশেড বাসা থেকে পোশাক শ্রমিক আকবর হোসেনের ভিভো ব্র্যান্ডের একটি মোবাইল ফোন কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। অসহায় এই শ্রমিক প্রায় ২০ দিন পর তার মোবাইল ফোন উদ্ধারে গোয়েন্দা পুলিশ পশ্চিম জোনের শরণাপন্ন হন।
অভিযোগ পেয়ে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করতে ডিবি পশ্চিম জোনের এসআই মো. ইমাম হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিকের দিকনির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক ধীমান মজুমদারের তত্ত্বাবধানে এসআই মো. ইমাম হোসেনের নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরের কোতোয়ালী থানার পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় পোশাককর্মী আকবরের চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনসহ ৪৮টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় সোহেল মিয়া (৩৩) নামের মোবাইল চোর চক্রের এক সদস্যকে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোতোয়ালী থানাধীন স্টেশন রোড ও চৈতন্য গলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের দুই সদস্য আবদুল হাকিম (২৭) ও মো. ইয়াছিনকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি আইফোন ও দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরা।
আটক ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোন চুরি, ছিনতাই ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জব্দ করা মোবাইল ফোনগুলো আইনি প্রক্রিয়ায় প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার আবু বক্কর সিদ্দিক।
ঢাকা/রেজাউল/রফিক