কুমিল্লার হোমনায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে চারটি মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বেলা ১১টায় আসাদপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন আসাদপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান আহমেদের ছেলে মো. ইকরাম উল্লাহ (৪৫) ও একই গ্রামের মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আবদুল লতিফ (৩৯)। এর আগে গতকাল রোববার দুপুরে ওই বাজার থেকে ইব্রাহিম খলিল ও শহীদ উল্লাহ নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুনকুমিল্লায় ৪ মাজারে হামলা: উসকানিদাতাদের কেউ গ্রেপ্তার হননি২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হোমনার থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার দুই আসামিকে আজ আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.

)-কে নিয়ে কটূক্তিমূলক একটি পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের আসাদপুর গ্রামে পৃথক চারটি মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই দিন রাতে হোমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হলেও তাঁদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।

আরও পড়ুনমাইকে ঘোষণা দিয়ে কুমিল্লার ৪ মাজারে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যে চারটি মাজারে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলো হলো আসাদপুর গ্রামের আলেক শাহের বাড়িতে অবস্থিত তাঁর বাবা কফিল উদ্দিন শাহের মাজার, একই গ্রামের আবদু শাহের মাজার, কালাই (কানু) শাহের মাজার ও হাওয়ালি শাহের মাজার। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে হোমনা থানার এসআই তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

আরও পড়ুন‘মাজারের অপরাধডা কী, তাঁরায় মাজারে হামলা করলো ক্যারে’২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য় আরও

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুরে স্কুলের ভবন নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান

মাদারীপুরে দুটি স্কুলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বহুতল ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে জেলার রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের লুন্দি গ্রামের মালেক মিয়া মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয় ও সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের এমএল উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের নবনির্মিত বহুতল ভবনে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আরো পড়ুন:

প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার সহকারী শিক্ষকের পদ বাতিল

নেত্রকোণায় ৩ ছাত্রীকে বেত্রাঘাত, শিক্ষককে অব্যাহতি

এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান (বুলবুল)। এ সময় দুদকের জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান অপুসহ চার সদস্যের টিম উপস্থিত ছিলেন।

উপপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রকৌশলী এবং স্থানীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার তদারকিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ভবন নির্মাণ করেছে মারুফ ইন্টারন্যাশনাল নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ভবনগুলো নির্মাণে গুরুতর দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।’’ 

তিনি বলেন, ‘‘এরমধ্যে রাজৈরের মালেক মিয়া মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ভবনে গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে, পাইলিং ৭০ ফুট দেওয়ার কথা কিন্তু সেখানে ৩০ ফুট দেওয়া হয়েছে এবং টেন্ডারে ৫৪টি পাইলিং থাকলেও ৪৯টি পাইলিং করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘একই ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে মস্তফাপুর ইউনিয়নের এমএল উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের নবনির্মিত বহুতল ভবনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। টেকনিক্যাল ও ল্যাব টেস্টের পর সবগুলো রিপোর্ট দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে।’’ 

তিনি আরো জানান, মালেক মিয়া মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩ তলা ভবনের জন্য প্রায় ৩ কোটি টাকা ও এমএল উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪ তলা ভবনের জন্য প্রায় ৪ কোটি বরাদ্দ করেছে সরকার। এ দুটি টেন্ডারের সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। হাতে পেলে যাচাই-বাছাই করে প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ঢাকা/বেলাল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এস কে সুরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় অভিযোগ গঠন, সাক্ষ্য শুরু ২০ জানুয়ারি
  • কিশোরগঞ্জে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাতের মামলায় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
  • সেই মুনতাসিরকে এবার এনসিপি থেকেই বাদ
  • ঝুলে থাকা সেই তরুণকে গুলি করেছিলেন পুলিশের ২ সদস্য
  • মাদারীপুরে স্কুলের ভবন নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান