পিসিওএস কী

পিসিওএস হলো নারীদের হরমোনজনিত একটি সমস্যা। এটি মূলত প্রজননক্ষম নারীদের হয়ে থাকে।

এ অবস্থায় নারীদের ডিম্বাশয়ে ছোট ছোট সিস্ট (পানি বা তরলপূর্ণ থলি) তৈরি হয় এবং শরীরে পুরুষ হরমোন অর্থাৎ টেস্টোস্টেরনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়।

এর ফলে ঋতুচক্রে অনিয়ম, গর্ভধারণে সমস্যা, ত্বকে ব্রণ, অতিরিক্ত লোম গজানো ও ওজন বৃদ্ধির মতো সমস্যা হয়ে থাকে।

উপসর্গ

পিসিওএসের উপসর্গ নারীভেদে ভিন্ন হতে পারে। সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্য রয়েছে—

অনিয়মিত বা বন্ধ মাসিক চক্র

মুখ ও শরীরে অবাঞ্চিত লোম ও ব্রণ

চুল পাতলা হয়ে যাওয়া বা চুল পড়া

ওজন বৃদ্ধি

গর্ভধারণে সমস্যা বা বন্ধ্যত্ব

ক্লান্তি ও মেজাজের পরিবর্তন

ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি

আরও পড়ুনবেতন নয়, আপনাকে ধনী করবে বিশেষ এই পদ্ধতি১১ ঘণ্টা আগেচিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা

পিসিওএসের নির্দিষ্ট ও স্থায়ী চিকিৎসা নেই। সঠিক জীবনধারা, ওজন নিয়ন্ত্রণ, সুষম খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়ামে উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

পিসিওএস ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ সুষম খাদ্যগ্রহণ। প্রক্রিয়াজাত খাবার, মিষ্টি, অতিরিক্ত চর্বি ও কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে স্বাস্থ্যকর সবজি, ফল, আঁশ ও আমিষ খাওয়া উচিত।

প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় ও হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ৫ থেকে ১০ শতাংশ ওজন কমাতে পারলেও অনেক উপসর্গের উন্নতি হয়।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হরমোনাল ওষুধ, মেটফরমিন ইত্যাদি নেওয়া যেতে পারে।

গর্ভধারণে সমস্যা থাকলে ফার্টিলিটি চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

পিসিওএসের মানসিক প্রভাব যেমন উদ্বেগ, হতাশা বা আত্মবিশ্বাস হ্রাসও বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন। কাউন্সেলিং, সাপোর্ট গ্রুপে অংশগ্রহণ সহায়ক হতে পারে।

আরও পড়ুনপূজার সাজে অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী, দেখুন ৮টি ছবি৩ ঘণ্টা আগেকেন সচেতনতা জরুরি

বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ শতাংশ নারী এই রোগে আক্রান্ত। সময়মতো রোগ শনাক্ত না করা হলে পিসিওএস দীর্ঘ মেয়াদে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্‌রোগ, বন্ধ্যত্ব এমনকি জরায়ু ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে।

কিশোরী বয়স থেকে মাসিক চক্রের বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারার কাউন্সেলিং নিতে হবে।

এ বিষয়ে মা-বাবা ও পরিবারে সচেতনতা তৈরি করা দরকার। স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। স্কুল-কলেজে স্বাস্থ্যশিক্ষা কার্যক্রম রাখা উচিত।

আরও পড়ুনশক্তি, হজম ও ওজন নিয়ন্ত্রণে কলা খাওয়ার সঠিক সময়২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প স ওএস উপসর গ হরম ন সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমি এটা চাই’ বলে কীসের ইঙ্গিত দিলেন মেসি

এত দিন বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে ২০২৬ বিশ্বকাপে নিজের খেলার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন লিওনেল মেসি। শতভাগ ফিট থাকার ওপর তাঁর খেলা না খেলা নির্ভর করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গত মাসে এনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও মেসি বলেছেন, তিনি ২০২৬ বিশ্বকাপে থাকতে চান। একই কথাটাই এবার একটু ভিন্নভাবে বললেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি।

আর্জেন্টিনা দলের নতুন জার্সি উন্মোচনের বিজ্ঞাপনে (যেখানে অংশ নিয়েছেন বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়, সংগীতশিল্পী বিজারর‍্যাপ ও আনহেল দি মারিয়া) ফুটবলারদের সঙ্গে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্লদিও তাপিয়ার একটি তাস খেলার দৃশ্য দেখানো হয়েছে। তাসে ‘চার’ উঠতেই মেসি বলে ওঠেন,‘আমি এটা চাই।’

এই সংক্ষিপ্ত বার্তাটিকে মেসির ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে খেলতে চাওয়ার ইচ্ছার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। আর্জেন্টিনাকে চতুর্থ বিশ্বকাপ জেতানোর স্বপ্নের প্রতিফলন হতে পারে মেসির এই চাওয়া।

আরও পড়ুনবছরের শেষ সফরে আর্জেন্টিনা দলে চমক, মেসিদের সঙ্গে তিন নতুন মুখ০৭ নভেম্বর ২০২৫

৩৮ বছর বয়সী মেসি আর্জেন্টিনার বয়সভিত্তিক ও মূল দলের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন। ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে স্বর্ণপদকও জিতেছেন। জাতীয় দলে ২০ বছরের যাত্রায় মেসি এরই মধ্যে পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলেছেন— ২০০৬ জার্মানি, ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০১৪ ব্রাজিল, ২০১৮ রাশিয়া এবং ২০২২ কাতার।

এখন মেসির চোখ ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপে। যেটি আগামী বছরের জুনে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর আগে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা নিয়ে যতবারই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, কখনো স্পষ্ট করে সরাসরি কিছু বলেননি। এবার বিজ্ঞাপন চিত্রে মেসির সাম্প্রতিক এই ইঙ্গিত আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মাঝে নতুন করে উত্তেজনা জাগিয়েছে।

মন্তব্য কিংবা বিজ্ঞাপন চিত্রের ইঙ্গিত বাদ দিলেও মেসি বিশ্বকাপ খেলার পথেই এগিয়ে যাচ্ছেন। অ্যাঙ্গোলায় এ বছরের শেষ সফরটিতেও আর্জেন্টিনা দল খেলতে যাবে মেসির নেতৃত্বে। আগামী ১৪ নভেম্বর অ্যাঙ্গোলার স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে এই প্রীতি ম্যাচ।

আরও পড়ুন২০২৬ বিশ্বকাপে খেলতে চান মেসি২৮ অক্টোবর ২০২৫

এরই মধ্যে ম্যাচ সামনে রেখে দলও ঘোষণা করেছে আর্জেন্টিনা। যেখানে পরখ করে নেওয়া হবে তরুণদেরও। এই সফরের জন্য তিনজন নতুন ফুটবলারকে অন্তর্ভূক্ত করেছেন স্কালোনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ