চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু
Published: 23rd, September 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে ঢাকা ও চট্রগ্রাম রুটে বাস চলাচল শুরু হয় বলে জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাইদুর রহমান।
শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বলেন, ‘‘পরিবহন শ্রমিকেরা যে দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছিলেন, সেসব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। যার ফলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়েছে।’’
আরো পড়ুন:
কুমিল্লা-নোয়াখালী সড়কে বন্ধ হলো মরণফাঁদ খিলা ইউটার্ন
খুলনায় যানজট নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন
বাস চালক ও শ্রমিকরা জানান, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। যার ফলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম রুটের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ কর্মবিরতি পালন করছিলেন দূরপাল্লার বাসের চালক, চালকের সহকারী ও সুপারভাইজাররা।
বাসচালক, চালকের সহকারী ও সুপারভাইজাররা বলেন, ‘‘গত ১৫ বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম রুটে আমাদের বেতন বাড়ানো হয়নি। সেজন্য একজন বাস চালককে ১ হাজার ৩৫০, সুপারভাইজারকে ৫৭০ এবং হেলপারকে ৫৩০ টাকা দেন বাস মালিকেরা। এ টাকায় আমাদের জীবনযাপন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। দফায় দফায় বাস মালিকদের সঙ্গে বসেও সমস্যার সমাধান হয়নি।’’
২১ সেপ্টেম্বর শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের বসার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে সেই তারিখ পরিবর্তন করে মালিক পক্ষ। এতে হতাশ হয়ে শ্রমিকেরা কর্মবিরতির ডাক দেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, ‘‘বাস চালক ও সংশ্লিষ্টদের দাবির প্রেক্ষিতে বাসের মালিকপক্ষ ঢাকায় বৈঠক ডাকেন। আমার যারা শ্রমিক নেতা আছি, তাদের ডাকে ঢাকায় গিয়েছিলাম। মালিক পক্ষ ও শ্রমিক নেতাদের আলোচনায় বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য শ্রমিকরা তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।’’
ঢাকা/শিয়াম/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন প ইনব বগঞ জ থ ক
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রণ ও দাগ: কেন হয়, চিকিৎসা ও করণীয় নিয়ে পরামর্শ
ব্রণের জন্য আধুনিক চিকিৎসা যেমন লেজার বা কেমিক্যাল পিলিং খুবই কার্যকর। এগুলোর মাধ্যমে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ব্রণের দাগ কমানো সম্ভব। তবে চিকিৎসা অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শে এবং সঠিক জায়গা থেকে নিতে হবে। কারণ, যত্রতত্র লেজার সেন্টার বা পারলারে ভুল চিকিৎসা ডেকে আনতে পারে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি।
‘সুস্থ ত্বকের গল্প’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনায় কথাগুলো বলেন পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড অ্যাসথেটিক ডার্মাটোলজিস্ট এবং ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. শারমিন কবির। প্রথম আলো ডটকম ও এসকেএফ ডার্মাটোলজির যৌথ উদ্যোগে এই অনলাইন আলোচনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার সুরাইয়া আহমেদ।
ব্রণের সমস্যা নিয়ে অনেকেই ঝামেলায় থাকেন এবং এর চিকিৎসা নিয়ে রয়েছে নানা ভ্রান্ত ধারণা ও সতর্কতার অভাব। তাই আলোচনার এ পর্বে ব্রণের বিভিন্ন সমস্যা এবং আধুনিক চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক পরামর্শ দেন ডা. শারমিন কবির। পর্বটি গত রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সরাসরি প্রচারিত হয় প্রথম আলো ডটকম এবং প্রথম আলো, এসকেএফ অনকোলোজি ও এসকেএফের ফেসবুক পেজে।
ব্যাকটেরিয়াল নাকি ফাঙ্গাল ইনফেকশন?
আলোচনার শুরুতেই উপস্থাপক জানতে চান, ব্রণ আসলে কী ধরনের ইনফেকশন? এটি কি ব্যাকটেরিয়াল নাকি ফাঙ্গাল ইনফেকশন?
উত্তরে ডা. শারমিন কবির বলেন, ব্রণ মূলত একটি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন, যা প্রোপ্রিয়নিব্যাকটেরিয়াম অ্যাকনেস নামক একধরনের ব্যাকটেরিয়া থেকে হয়। তবে আজকাল ‘ফাঙ্গাল একনি’ বলেও একধরনের ব্রণ হয়ে থাকে। অর্থাৎ এটি ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস উভয় থেকেই হতে পারে। এ ছাড়া বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের প্রভাবে ত্বকের নিচে থাকা সেবাসিয়াস গ্রন্থি বড় হয়ে যায়, যার ফলে ত্বকে অতিরিক্ত তেল উৎপন্ন হয়ে ব্রণের সৃষ্টি হয়।
ব্রণ কার হয়, কেন হয়
ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে কাদের ব্রণ বেশি হয় এবং কেন হয়? জানতে চাইলে, অধ্যাপক ডা. শারমিন কবির বলেন, ‘ব্রণ ছেলে ও মেয়ে সবারই হয়, তবে গবেষণায় দেখা গেছে, এটি মেয়েদের মধ্যে কিছুটা বেশি দেখা যায়। বয়ঃসন্ধিকালে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন অতিমাত্রায় নিঃসৃত হওয়ার কারণে এই সময়ে ব্রণ বেশি হয়। তবে এটি বয়ঃসন্ধিকাল থেকে মধ্য বয়স পর্যন্ত যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া খুব গরম ও আর্দ্র। এই আবহাওয়ার সঙ্গে কি ব্রণের কোনো সম্পর্ক রয়েছে? এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. শারমিন কবির বলেন, আবহাওয়ার সঙ্গে ব্রণের সম্পর্ক আছে। আমাদের দেশে গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই নিজের ত্বকের ধরন অনুযায়ী প্রতিদিন একটি ভালো ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে এবং ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
প্রসঙ্গক্রমে উপস্থাপক জানতে চান, তৈলাক্ত ত্বকে কি ব্রণ বেশি হয়?
উত্তরে অধ্যাপক ডা. শারমিন কবির বলেন, তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। কারণ, প্রোপ্রিয়নিব্যাকটেরিয়াম অ্যাকনেস তৈলাক্ত ত্বকে বেশি বৃদ্ধি পায়। তবে ব্রণ বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ দুটো কারণেই হতে পারে। বাহ্যিক কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ত্বকে বিভিন্ন রং ফরসাকারী ক্রিম এবং স্টেরয়েডজাতীয় ক্রিমের ব্যবহার। এ ছাড়া অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন যেমন রাত জেগে ফোন চালানো বা জাঙ্ক ফুড খাওয়াও ব্রণের প্রবণতা বাড়ায়। আর অভ্যন্তরীণ কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হরমোনজনিত সমস্যা, বিশেষ করে মেয়েদের পিসিওএস (পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম)। এ ছাড়া হাইপারথাইরয়েডিজম, কুশিং সিনড্রোম, অ্যাডেনোমার মতো কিছু রোগের কারণেও ব্রণ হতে পারে। সেই সঙ্গে মানসিক চাপ বা স্ট্রেস ব্রণের মাত্রা অনেক বাড়িয়ে তোলে।
অধ্যাপক ডা. শারমিন কবির আরও বলেন, সবার ত্বকের ধরন আলাদা। অনেক সময় দেখা যায় আমরা না বুঝেই বিভিন্ন ঘরোয়া টোটকা অনুসরণ করে থাকি কিংবা ব্রণ হলে হাত দিয়ে খোঁচাই, যা মোটেও ঠিক নয়। এতে ব্রণ সেরে যাওয়ার পর যে দাগ বা স্কার হয়, যেগুলো সহজে যায় না।
ত্বক সুস্থ রাখতে ব্রণের বিভিন্ন সমস্যা এবং আধুনিক চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক পরামর্শ দেন অধ্যাপক ডা. শারমিন কবির