২০ শতাংশও ভোট না থাকায় পিআরের বিরোধিতা করছে বিএনপি: চরমোনাই পীর
Published: 23rd, September 2025 GMT
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পিআর পদ্ধতির দাবি তুলেছিল উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, দেশের মানুষের সঠিক গণতন্ত্র আদায়ে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। এই পদ্ধতি যে দল বোঝে না, সেই দল দেশ চালানোর যোগ্যতাও রাখে না।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে মাদারীপুর শহরের স্বাধীনতা অঙ্গনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা শাখার আয়োজনে এক গণসমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দেশে বিএনপির ২০ শতাংশও ভোট না থাকায় তারা পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করছে বলেও মন্তব্য করেন সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, রাষ্ট্রীয় সংস্কার আর দৃশ্যমান বিচার পাশের দেশ ভারত চায় না। এটি হলে বাংলাদেশকে আর গোলামির জিঞ্জিরে আবদ্ধ করতে পারবে না ভারত। তিনি বলেন, সংস্কার ও দৃশ্যমান বিচার হওয়ার আগেই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা হতাহত হয়েছেন, যাঁরা পঙ্গু হয়েছেন, চোখ হারিয়েছেন, সেই ভাষা বর্তমান সরকার বোঝে না। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়ার আগেই নির্বাচনকে মুখ্য বানানো হয়েছে। এ নিয়ে কথা বললেই ক্ষমতালোভীরা বলেন, নির্বাচনকে পেছনে ঠেলে দিতে চায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও মিথ্যা কথা।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আরিফুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর জেলা শাখার আমির মাওলানা মোকলেছুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে গণসমাবেশ শেষে বিভিন্ন দাবিতে একটি গণমিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের ইটেরপুলে গিয়ে শেষ হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
‘পদ্মা বাঁচাও’ গণসামবেশে ১৫ নভেম্বর, যোগ দেবেন ফখরুল
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘পদ্মা বাঁচাও’ আন্দোলন শুরু করেছে বিএনপি। দলটি এরইমধ্যে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সমাবেশ করেছে। এরই ধারবাহিকতায় আগামী ১৫ নভেম্বর পদ্মা বাঁচাও অন্দোলনের গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ দিন নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে সমাবেশের আয়োজন করা হবে। এতে যোগ দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে জেলা শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত পদ্মা বাঁচাও সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হারুনুর রশীদ এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
এটাই হয়তো আমার শেষ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, ৩টি আসনে লড়বেন খালেদা জিয়া
হারুনুর রশীদ বলেন, ‘‘ফারাক্কা ব্যারেজের বিরূপ প্রভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ এই অঞ্চলের নদী তীরবর্তী এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন এবং বন্যা মৌসুমে ফসলহানি এখন নিত্যদিনের ঘটনা। এই পদ্মার ভাঙনরোধে ৩০-৪০ বছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে কিন্তু স্থায়ী সমাধান মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে নদী এবং অঞ্চলকে বাঁচাতে আমরা ‘পদ্মা বাঁচাও কর্মসূচি’ আন্দোলন হাতে নিয়েছি। বর্তমানে এই কর্মসূচির সমর্থনে জনমত তৈরির কাজ করছি এবং আগামীতে গঙ্গা ব্যারেজ বাস্তবায়ন দেখতে চাই।’’
হারুনুর রশীদ জানান, আগামী ১৫ নভেম্বর গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশ রয়েছে। নদী রক্ষার দাবিতে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের সব জায়গায় লংমার্চ করা হবে।
পদ্মা বাঁচাও গণসমাবেশের প্রস্তুতি সভায় জামায়াত ইসলামীকে উদ্দেশে করে কঠোর মন্তব্য করেন হারুনুর রশীদ। তিনি বলেন, ‘‘যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারা এখন ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে।’’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘জামায়াত এখন তাফসির মাহফিলকে রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করছে এবং তাদের ইমাম ও নেতারা জনসম্মুখে বেফাঁস কথাবার্তা বলছেন।’’ তিনি সমাজের মানুষকে এ সব থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক তসিকুল ইসলাম তসি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. আতাউল হক কমল, রানীহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রহমত আলী, বিএনপি নেতা আব্দুল বারেক, জাহাঙ্গীর কবির, সাইদুর রহমান, তাসেম আলী প্রমুখ।
ঢাকা/শিয়াম/বকুল