শহরের এক ব্যস্ত ফুটপাতে একদল তরুণ-তরুণী রক সংগীতের ছন্দে নাচছে। কেউ চুল ঝাঁকাচ্ছে, ছন্দের সঙ্গে সংগতি রেখে কারও আবার দুলছে পুরো দেহ। এমনটা বিশ্বের বেশির ভাগ শহরে একেবারেই স্বাভাবিক দৃশ্য। কিন্তু এই দৃশ্যের ভিডিওটিই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হয়েছে ভাইরাল। ভিডিওটি দেখেছে লাখ লাখ মানুষ। কারণ, এই দৃশ্য দেখা গেছে ইরানের রাজধানী তেহরানের রাস্তায়।

ইরানে পশ্চিমা রক সংগীত নিষিদ্ধ, নিষিদ্ধ নারীদের ধূমপান কিংবা প্রকাশ্যে নৃত্য। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, তেহরানে নিষিদ্ধ নারীদের চুল খোলা রাখা।

দেশটির বাধ্যতামূলক হিজাব আইন অনুযায়ী নারীদের পুরো মাথা ও শরীর ঢেকে রাখতে হয়। শুধু মুখ ও কবজির নিচের অংশ মুক্ত রাখা যায়। প্রকাশ্যে নারীর কান বা কনুই দেখা গেলেও সেটি অপরাধ বলে গণ্য হতে পারে।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তেহরানে মাসা আমিনি নামের এক তরুণীকে ‘অশোভনভাবে হিজাব’ পরার অভিযোগে আটক করে দেশটির নৈতিকতা পুলিশ। মাসার মৃত্যু হয় তাদের হেফাজতেই। যার প্রতিক্রিয়ায় ইরানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে কয়েক মাসব্যাপী আন্দোলন। সেই আন্দোলন অবশ্য কেবল বাধ্যতামূলক হিজাব আইনের অবসান চায়নি, বরং পুরো ইসলামি প্রজাতন্ত্রেরই অবসান চেয়েছিল। যদিও সেই বৃহত্তর লক্ষ্য অর্জিত হয়নি, তবে ওই আন্দোলন ইরানের জনজীবনকে বদলে দিয়েছে গভীরভাবে।

আরও পড়ুনফেমেনের নগ্ন প্রতিবাদ যে কারণে ইরানের নারী আন্দোলনের জন্য ক্ষতিকর০২ অক্টোবর ২০২২

আইন অনুযায়ী নারীদের হিজাব পরা এখনো বাধ্যতামূলক, তবে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথমবারের মতো সরকার সেই আইন কার্যকরভাবে প্রয়োগ করার ক্ষমতা হারিয়েছে।

ইরান সরকারের এই নাজুক অবস্থা এখন সবখানেই দেখা যাচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ আগে আমি তেহরানে থাকা এক বন্ধুর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছিলাম। দেখে অবাক হলাম, সে রাস্তায় ট্যাংক টপ (নারীদের হাতাহীন জামা) পরে হাঁটছিল। দেখলাম, আশপাশে আরও ডজনখানেক নারী খোলা চুলে ঘুরছে। কেউ কেউ এমনকি শর্টস পরেছে।

এই পরিবর্তন শুধু তেহরানের উত্তরাঞ্চলের ধনী এলাকায় সীমাবদ্ধ নয়, যেখানে আইন প্রয়োগ আগেও তুলনামূলকভাবে শিথিল ছিল। ভাইরাল হওয়া নাচের ভিডিওটি তেহরানের মধ্যাঞ্চলের ইরানশাহর এলাকায় ধারণ করা হয়েছিল। ইসফাহান, আরাক ও অন্য শহরগুলোর ভিডিওতেও দেখা যাচ্ছে, অসংখ্য নারী হিজাব ছাড়া বাইরে ঘুরছেন।

ইরানে দীর্ঘদিন ধরে চলা সামাজিক দমন-পীড়নের শিথিলতার আরও ইঙ্গিত মিলছে। যেমন দেশটিতে হ্যালোইন উদ্‌যাপন নিষিদ্ধ। তবু গত সপ্তাহে হাজার হাজার তেহরানবাসী (তাঁদের ভেতর অনেক হিজাববিহীন নারীও আছেন) বিভিন্ন পোশাক পরে হ্যালোইন উৎসবে অংশ নিয়েছে। লন্ডনভিত্তিক গণমাধ্যমকে এক নারী জানিয়েছেন, সম্প্রতি তিনি হিজাব ছাড়া বিমানবন্দরের নিরাপত্তা চেক পার হতে পেরেছেন।

আরও পড়ুনইরানি মেয়েদের টুপিতে আরেকটি পালক০৬ ডিসেম্বর ২০২২

হিজাবের বিষয়টি তেহরানের শাসকদের কাছে কোনো অগুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নয়। ইরানি-আমেরিকান বিশ্লেষক করিম সাজ্জাদপুরের কাছে এটি ইরানের শাসনব্যবস্থার তিনটি অবশিষ্ট আদর্শিক স্তম্ভের একটি। বাকি দুটি হলো যুক্তরাষ্ট্রবিরোধিতা ও ইসরায়েলবিরোধিতা। তাই এই ইস্যুতে সরকারের পিছু হটা আন্দোলনকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। তবে একে এখনই নিশ্চিত বিজয় বলা যায় না। কারণ, হিজাব আইন এখনো ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীগুলোর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২০২২-২৩ সালের বিক্ষোভ শুরুতে হিজাব ইস্যুতে শাসনব্যবস্থার জন্য কোনো হুমকি ছিল না। ২০২৩ সালের এপ্রিলে দেওয়া এক চ্যালেঞ্জসূচক ভাষণে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ঘোষণা করেন যে হিজাব খুলে ফেলা ‘রাজনৈতিক ও ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ’। এরপর সংসদ আরও কঠোর হিজাব আইন পাস করে।

তবে নিজের সমর্থনভিত্তি কতটা সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে, তা হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন খামেনি। তাই গত বছর সংস্কারপন্থী নেতা মাসুদ পেজেশকিয়ানকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জয়লাভের অনুমতি দেন তিনি।

আরও পড়ুনইরানের জন্য আরও খারাপ দিন আসছে২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ইরানের অন্য অনেক কিছুর মতোই, বর্তমান পরিস্থিতিও টেকসই বলে মনে হচ্ছে না। ২০২২ সালের আগের কঠোর হিজাব প্রয়োগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার মানে হবে এক বিশাল দমন অভিযান, যা বর্তমান শাসনব্যবস্থার পক্ষে প্রায় অসম্ভব। কিন্তু একই সঙ্গে বিপ্লবের অন্যতম মতাদর্শিক নীতি ছিল বাধ্যতামূলক হিজাব, যা ত্যাগ করাও ইরান সরকারের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন।

একসময় হিজাব না পরা নারীদের ধরতে যে ভ্যানগুলো রাস্তায় টহল দিত, সেগুলো এখন প্রায় উধাও। তবে অন্য ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এখনো বহাল রয়েছে। ইসলামি দণ্ডবিধি এখনো হিজাব না পরাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে, অন্য আইনগুলোও তাই করে। গত কয়েক মাসে ক্যাফে, রেস্তোরাঁ, বিয়ের হল, পোশাকের দোকানসহ অন্তত ৫০টি জায়গা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হিজাববিহীন নারীদের সেবা দেওয়ার কারণে।

ইরানশাহরের মতো নাচের আসরগুলোতে এখনো মাঝেমধ্যে পুলিশ হানা দেয়। সেখানে অংশ নেওয়া এক সংগীতশিল্পীর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ (পুনরায় চালু হয়েছে)। ইসফাহানে হিজাব না পরার কারণে নারীরা হুমকিমূলক টেক্সট মেসেজ পেয়েছেন। যদিও প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এসব তাঁদের সরকারের কাজ নয়।

পেজেশকিয়ান সরকারের বিচার বিভাগ, নিরাপত্তা বাহিনী কিংবা সেন্টার ফর দ্য প্রমোশন অব ভারচু অ্যান্ড দ্য প্রিভেনশন অব ভাইসও (পূণ্য প্রচার ও পাপ প্রতিরোধ কেন্দ্র) এসবের ওপর আর কোনো নিয়ন্ত্রণ রাখে না। এই কেন্দ্রের কাজ হলো নারীদের হিজাব পরতে উৎসাহিত করা। এর নেতারা নিযুক্ত হন শুক্রবারে জুমার নামাজ পরিচালনাকারী পরিষদের মাধ্যমে, আর সেই পরিষদের সদস্যদের নিয়োগ দেন খামেনি নিজেই।

আরও পড়ুনইরানের ভুলে আজারবাইজান যেভাবে ইসরায়েলের দিকে ঝুঁকে পড়ল৩১ জুলাই ২০২৫

পেজেশকিয়ান নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি হিজাব আইনের কড়াকড়ি শিথিল করবেন। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি খামেনির কাছ থেকে নতুন হিজাব বিল কার্যকর না করার অনুমতিও পেয়েছেন।

সংসদের রক্ষণশীল স্পিকারের মতে, ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল) বিলটি বাস্তবায়ন না করার অনুরোধ জানিয়েছে। এই পরিষদের প্রধান হলেন প্রেসিডেন্ট নিজে। প্রেসিডেন্ট ছাড়াও এতে অন্তর্ভুক্ত আছেন এক ডজনের বেশি শীর্ষ সামরিক ও রাজনৈতিক নেতা। বর্তমানে এটি একধরনের ‘ইরানি পলিটব্যুরো’তে রূপ নিয়েছে। যারা দেশের শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে বিবদমান বিষয়গুলোতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। পরিষদের সিদ্ধান্তের সমর্থকেরা যুক্তি দিচ্ছেন, ইরানের এখন নারীদের পোশাকবিধি চাপিয়ে দেওয়ার চেয়ে অনেক জরুরি বিষয় সামলাতে হচ্ছে। গত বছর তাদের আঞ্চলিক মিত্ররা ইসরায়েলের হাতে বারবার আক্রান্ত হয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে ইরানকে ইসরায়েল ও আমেরিকার সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধের দখলও সইতে হয়।

আরও পড়ুনইরানের পর এবার টার্গেট পাকিস্তান, কেন?১৮ জুলাই ২০২৫

এই কেন্দ্র সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে তারা আশি হাজার ‘সৎকর্ম প্রচারক’ নিয়োগ দেবে। যারা সমাজে ঘুরে ঘুরে নারীদের হিজাব পরার আহ্বান জানাবে এবং ‘হিজাবহীনতার চিকিৎসাকেন্দ্র’ নামের একধরনের ভীতিকর প্রতিষ্ঠান তৈরি করবে।

যদিও এসব মূল নীতির দিক থেকে বড় কোনো পরিবর্তনকে উপস্থাপিত করছে বলে মনে হয় না। এগুলো স্রেফ পশ্চাৎপদ প্রতিক্রিয়া মাত্র। পেজেশকিয়ান সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় এনবিসি ও ফক্স নিউজকে বলেছেন, তিনি নারীদের হিজাব বাধ্যতামূলকভাবে পরানোর পক্ষপাতী নন। তাঁর কর্মীরাও ইতিমধ্যে ইরানি টিভিতে একই কথা বলেছিলেন।

এবার কেবল সংস্কারপন্থীরা নন, ১২ দিনের যুদ্ধ শেষে খামেনির এক শীর্ষ উপদেষ্টা আলী আকবর বেলায়াতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘শাসনব্যবস্থার কিছু সামাজিক দিক বদলাতে পারে।’ এর লক্ষ্য হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন ‘মানুষের সুখকে কেন্দ্রস্থলে রাখা।’

গত মাসে দেশটির এক্সপিডেন্সি কাউন্সিলের সদস্য ও রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ মোহাম্মেদ রেজা বাহোনার হঠাৎ করে হিজাব নিয়ে সরকারের অভ্যন্তরীণ সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। বাহোনার এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে তিনি হিজাব ম্যান্ডেটের পক্ষপাতী নন এবং আর সেটি প্রয়োগ করাও সম্ভব নয়। তিনি জানিয়েছেন, মাত্র ১০ শতাংশ ইরানি সমাজই কড়াকড়ি ইসলামে বিশ্বাসী; বেশির ভাগ মানুষ ‘শুধু যার যার জীবনটুকু যাপন করতে চায়’।

আরও পড়ুনআমেরিকার কাছে শেষ দুর্গও হারাচ্ছে ইরান? ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইরানের অন্য অনেক কিছুর মতোই, বর্তমান পরিস্থিতিও টেকসই বলে মনে হচ্ছে না। ২০২২ সালের আগের কঠোর হিজাব প্রয়োগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার মানে হবে এক বিশাল দমন অভিযান, যা বর্তমান শাসনব্যবস্থার পক্ষে প্রায় অসম্ভব। কিন্তু একই সঙ্গে বিপ্লবের অন্যতম মতাদর্শিক নীতি ছিল বাধ্যতামূলক হিজাব, যা ত্যাগ করাও ইরান সরকারের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন।

৮৬ বছর বয়সী খামেনি এখন জীবনের গোধূলিপ্রান্তে। তিনি আজীবন অটল ছিলেন ইসলামপন্থী দৃষ্টিভঙ্গিতেই। তাঁর প্রভাব ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। সবাই জানে, তাঁর সময় সীমিত। আর এ কারণেই, হিজাবের মতো বড় নীতিগত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে গোটা শাসনব্যবস্থা যেন স্থবির হয়ে পড়ছে।

এই পরিবর্তনের প্রকৃত কৃতিত্ব সাধারণ ইরানি নারীদের প্রাপ্য। ধীরে হলেও তাঁরা দৃঢ়ভাবে শাসনের প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। এভাবে তাঁরা নিজেদের সামাজিক স্বাধীনতা বাড়িয়েছে। কঠিন সংগ্রামের অর্জিত স্বাধীনতা তাঁরা সহজে ত্যাগ করবে না। এমনকি শাসনব্যবস্থার ভেতরের অনেকেও বুঝতে শুরু করেছেন যে দিনবদলের সময় এসেছে। ইসলামি প্রজাতন্ত্রটি তার তিনটি আদর্শিক স্তম্ভের একটি হারাতে যাচ্ছে।

•  আরাশ আজিজি লেখক ও গবেষক। বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ডি সেন্টারের ভিজিটিং ফেলো। ‘হোয়াট ইরানিয়ানস ওয়ান্ট: উইম্যান, লাইফ, ফ্রিডম’–বইয়ের লেখক।

দ্য আটলান্টিক থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে সংক্ষিপ্তাকারে অনূদিত

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ সনব যবস থ র হ জ ব আইন ন সরক র র ইসর য় ল র অন য র জন য ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড, পেলেন ৪৪ শিক্ষার্থী ও ৩০ শিক্ষক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (আইটি) অনুষদের শিক্ষার্থীদের তিন বছরের (২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সাল) এবং শিক্ষকদের পাঁচ বছরের (২০২১, ২০২২, ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫ সাল) ডিনস অ্যাওয়ার্ড ৬ নভেম্বর প্রদান করা হয়েছে। অনুষদের পাঁচটি বিভাগের মোট ৪৪ জন শিক্ষার্থী ডিনস অ্যাওয়ার্ড পান। এ ছাড়া দেশে বা বিদেশে প্রকাশিত গবেষণা গ্রন্থ এবং স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত মৌলিক প্রবন্ধের জন্য ৩০ জন শিক্ষককে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক উপমা কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সোনালি ব্যাগের উদ্ভাবক ও বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের সাবেক বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বিজ্ঞানী মোবারক আহমেদ খান ডিনস অ্যাওয়ার্ডে স্পিকার হিসেবে বক্তব্য দেন। বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নাম ঘোষণা করেন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক উপমা কবির।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে কোথায় পড়বেন: সিদ্ধান্ত নিতে মনে রাখুন ‘থ্রি–সি’৫ ঘণ্টা আগেডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত ৪৪ জন শিক্ষার্থী হলেন-

জগন্নাথ বিশ্বাস, মো. নিজাম উদ্দিন তানিম, শ্রাবণী সরকার, নাজমুল হাসান নাঈম, আফসানা আনজুম আঁখি, নুসাইবা এহসান, আসমা ইয়াসমিন খান রিমু, মেহরিন ফাত্তাহা, কায়সারী ফেরদৌস, মোহাম্মদ আজমাঈন ফাতিন (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং), নিশাত তামান্না আদিবা, এহসানুল হক, মো. শাহিদুল ইসলাম, মো. আহসানুল হক মামুন, মো. আবদুল হাসনাত, সাহাল জুবায়ের, তাইমিমা মাহবুব, ফাইরুজ তাহিয়া, ফাতেমা-তুজ-জহুরা (ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল), মো. আমিনুল কাদের বুলবুল, শাবাব মুর্শেদ, রাহিব হাসান, জহির সাদিক মনন, তাহমিদ মোসাদ্দেক, মহিদুল হক মৃদুল, আবদুল্লাহ ইবনে হানিফ আরিয়ান, মাবসুর ফাতিন বিন হোসাইন, ইত্তেহাদ সালেহ চৌধুরী, সৌমিক শাফকাত অভ্র (কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল), এইচ রাইনাদ খান রোহান, কে এম সৌরভ, মো. নবীর হোসেন, মো. ফাহিম ফরায়েজি, তাসফিয়া রহমান রিভা, মাহমুদুল হাসান তামিম, জেরিন তাহসিন আনজুম, তাসনুভা তামিসা অর্পি, ফারহান লাবিব অর্ণব (নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং), মিকদাম-আল-মাদ রৌন, আবদুল মোনাফ চৌধুরী, হুমায়রা রশিদ, সানিয়া কায়েনাত চৌধুরী, মো. এহতেশামুল হক, আতিক তাজওয়ার (রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং)।

আরও পড়ুনপ্রাথমিক শিক্ষকদের তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু৩ ঘণ্টা আগেডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত ৩০ জন শিক্ষক হলেন

অধ্যাপক মো. আবদুর রাজ্জাক (২০২১, ২০২৩, ২০২৫), মো. তানভীর আলম (২০২৪) (কম্পিউটার বিজ্ঞান অ্যান্ড প্রকৌশল), আবুল খায়ের মল্লিক (২০২১, ২০২৩), অধ্যাপক মো. নুরনবী (২০২৪), তাসলিম উর রশিদ (২০২২, ২০২৩), অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম মোল্লা (২০২৪), সাদিত বিহঙ্গ মালিথা (২০২১) (ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল), সেঁজুতি রহমান (২০২১, ২০২৩, ২০২৪) (রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং), মো. আরিফুল ইসলাম (২০২৩), মো. সিফাত-ই- আরমান ভূঁইয়া (২০২৩, ২০২৫), মো. মেহেদী হাসান (২০২৪), মো. হোসাইন শাহাদাত (২০২১), অনিমেষ পাল (২০২১, ২০২৫), অধ্যাপক আফরোজা শেলি (২০২২, ২০২৫) (নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং), মাইনুল হোসেন (২০২২, ২০২৪, ২০২৫), শেখ মো. মাহমুদুল ইসলাম (২০২২, ২০২৩), মো. আহসান হাবীব (২০২৫), ইমতিয়াজ আহমেদ (২০২৪) (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং)।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘মেধাকে মূল্যায়ন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। মেধার অন্যতম ভিত্তি হলো পরিশ্রম। মনে রাখতে হবে, সাফল্যের পেছনে অনেকের অবদান থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের যে পরম্পরা, তা তোমরা ধরে রেখেছো। এটাই আমাদের গর্ব।’

আরও পড়ুনপ্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা-গণিত: প্রশ্ন নম্বর-৩০৮ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড, পেলেন ৪৪ শিক্ষার্থী ও ৩০ শিক্ষক
  • বৈষম্যের পিঁপড়া খেয়ে নিচ্ছে সাফল্যের গুড়
  • বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের মাস্ক কি সত্যিই দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন