রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কার্যালয়ের সামনে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ঘটনার পরপরই সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আগে থেকেই ওই কার্যালয় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছিলেন।

তাৎক্ষণিকভাবে কারা বা কোন উদ্দেশ্যে ককটেল নিক্ষেপ করেছে, তা জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে।

পুলিশের রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অরূপ প্রথম আলোকে বলেন, এনসিপি কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। এখনো এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

অবশ্য জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এক বার্তায় জানিয়েছে, রাত ১১টায় বাংলামোটরে এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। এ সময় পাঁচটি ককটেল মারা হয়, যার মধ্যে একটি বিস্ফোরিত হয়নি। ককটেল মেরে মোটরসাইকেলযোগে পালানোর সময় নিক্ষেপকারী দুজনকে ধাওয়া দিয়ে ধরেন এনসিপির নেতা–কর্মীরা। তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। পরে সন্দেহভাজন আরও তিনজনসহ মোট পাঁচজনকে আটক করেছেন এনসিপির নেতা–কর্মীরা। সবাইকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এনস প ককট ল

এছাড়াও পড়ুন:

বিবিসির বিরুদ্ধে ১০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের মামলার হুমকি ট্রাম্পের

বিবিসির বিরুদ্ধে ১০০ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলা করার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার সংবাদমাধ্যমটিকে এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিবিসির একটি তথ্যচিত্রে ট্রাম্পের বক্তব্য সম্পাদনা নিয়ে বিতর্কের মধ্যে এই হামলার হুমকি দেওয়া হলো।

ট্রাম্পের আইনজীবীদের দেওয়া ওই চিঠিতে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত বিবিসিকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সংবাদমাধ্যমটিকে ট্রাম্পের বক্তব্য থাকা তথ্যচিত্রটি প্রত্যাহার করতে, ক্ষমা চাইতে এবং ‘যথাযথভাবে ক্ষতিপূরণ’ দিতে বলা হয়েছে। এর ব্যত্যয় হলে কমপক্ষে ১০০ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্পকে নিয়ে বিবিসির ওই তথ্যচিত্রের নাম প্যানোরামা। এতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের দুটি অংশ এমনভাবে জোড়া লাগানো হয়েছিল যে মনে হয়, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে হামলায় সমর্থককে বেপরোয়াভাবে উৎসাহিত করেছিলেন তিনি। এই তথ্যচিত্র নিয়ে নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

তথ্যচিত্রের বিষয়টি সামনে আসে বিবিসির একটি অভ্যন্তরীণ নথি তাদেরই সাবেক পরামর্শক মাইকেল প্রেসকট সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ-এর কাছে ফাঁস করলে। ওই নথিতে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলা, ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু ও ট্রাম্পের একটি বক্তব্য নিয়ে বিবিসির পক্ষপাতের বিষয়গুলো উল্লেখ করা ছিল। এর বরাতে একটি সংবাদ প্রকাশ করে টেলিগ্রাফ।

এ নিয়ে সমালোচনার মধ্যে রোববার পদত্যাগ করেন সংবাদমাধ্যমটির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও বার্তাপ্রধান ডেবোরাহ টারনেস। টিম ডেভি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘কিছু ভুল হয়েছে। মহাপরিচালক হিসেবে শেষ পর্যন্ত আমাকে দায় নিতে হবে।’ আর ডেবোরাহ বলেন, ‘চূড়ান্তভাবে এই দায়ভার আমার।’

পরে সোমবার ট্রাম্পের ওই বক্তব্য সম্পাদনা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন বিবিসির চেয়ারম্যান সামির শাহ। তিনি বলেন, এই সম্পাদনা বিভ্রান্তিকর ধারণা সৃষ্টি করেছে। এটি ‘বিবেচনাগত ভুল’ ছিল। তিনি আরও বলেন, বিবিসির প্রতি মানুষের যে আস্থা রয়েছে, তা ফিরিয়ে আনতে এবং সাংবাদিকতার সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে সংবাদমাধ্যমটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আরও পড়ুনবিবিসির মহাপরিচালক ও বার্তাপ্রধান কেন পদত্যাগ করলেন, ট্রাম্পের তথ্যচিত্রে সমস্যাটা কোথায়৫ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনবিবিসি এখন বিশৃঙ্খল, দিশাহারা ও নেতৃত্বহীন অবস্থার মধ্যে আছে: সাবেক কর্মকর্তা অলিভার৯ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ