পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স পিএলসি আবারো নতুন শেয়ার ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে সোমবার (১০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তথ্য মতে, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে ৩ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার সাধারণ শেয়ার ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের ইস্যু মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ টাকা। এই শেয়ার ইস্যু করে কোম্পানিটি ৪৯ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করতে চায়। ড্যাফোডিল ফ্যামিলি কনসার্নের নামে এ শেয়ার ইস্যু করা হবে। ড্যাফোডিল ফ্যামিলি কনসার্নের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের অর্থ শেয়ারে রূপান্তর করা হবে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে শেয়ার ইস্যুর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। তবে তার আগে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি নেওয়া প্রয়োজন হবে। এ লক্ষ্যে কোম্পানিটি আগামী ২৯ ডিসেম্বর বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করেছে। রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ ডিসেম্বর।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী মেজর ইকবাল গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন চৌধুরী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি মেজর ইকবাল নামে পরিচিত। গতকাল সোমবার রাতে চট্টগ্রামের রাউজানের সুলতানপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার ইকবাল ওই গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত অন্তত ৪০টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু মামলায় তিনি জেলও খেটেছেন। বর্তমানে মামলা বিচারাধীন রয়েছে ১১টি। যার মধ্যে ছয়টি হত্যা মামলা। সর্বশেষ ২০১০ সালে সাত বছর জেল খেটে তিনি জামিনে বের হন। এরপর মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ছিলেন। কয়েক বছর আগেই তিনি এলাকায় ফিরেছেন।

পুলিশ জানায়, আগে আওয়ামী লীগের রাউজান আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে কাজ করতেন ইকবাল। বর্তমানে রাউজানে বিএনপির এক নেতার হয়ে এলাকায় অবস্থান করছিলেন।

১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের তখনকার সাধারণ সম্পাদক ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ বাবর ও রাউজান কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) মজিবুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এসব খুনের ঘটনার মধ্য দিয়ে আলোচনায় আসে মেজর ইকবালের নাম। ১৯৯৩ সালে পূর্ব গুজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতার হোসেনকে ব্রাশফায়ারে হত্যার প্রধান আসামিও করা হয় মেজর ইকবালকে। রাউজানে দুই ভাই টিটু ও মিঠুকে একসঙ্গে হত্যা, মুক্তিযোদ্ধা নিহার কান্তি বিশ্বাসকে হত্যা, ছাত্রলীগের জেলা নেতা ইকবাল ও জামিল এবং ফটিকছড়ির শ্যামল ও আমান নামের দুই ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা মামলার আসামি ছিলেন ইকবাল।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, অস্ত্রসহ অবস্থান করছেন—এমন খবরে ইকবালকে ধরতে অভিযান চালানো হয়। তবে তাঁর কাছ থেকে কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি। অস্ত্র থাকার কথাও তিনি স্বীকার করেননি। তাঁকে রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, মেজর ইকবাল নামে পরিচিত এই সন্ত্রাসীকে পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ