গতবার আলোচনায় ছিলেন, এবার উধাও সাত্তার ভূঁইয়া ও আমিনীর ছেলে
Published: 11th, November 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের সাবেক দুই সংসদ সদস্যের দুই সন্তান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠে থেকে ব্যাপক আলোচিত হলেও এবার মাঠে নেই। এমনকি তাঁদের দেখাও মিলছে না।
এই দুজন হলেন ছয়বারের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির দলছুট নেতা প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে তৃণমূল বিএনপির মাইনুল হাসান ভূঁইয়া এবং বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের নেতা প্রয়াত মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা মো.
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে নৌকার কোনো প্রার্থী ছিলেন না। আওয়ামী লীগের ছাড়ের আশায় তাঁরা দুজনই নির্বাচনে অংশ নেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মঈন উদ্দিন জয় লাভ করেন। নির্বাচনে মাইনুল হাসান তৃণমূল বিএনপির সোনালি আঁশ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৪ হাজার ৩১৮ ভোট পান। আর আবুল হাসানাত আমিনী দলীয় প্রতীক মিনার নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৯৯৪ ভোট পান। দুজনই জামানত হারিয়ে নির্বাচনের পর এলাকা ছাড়েন।
আবুল হাসানাত আমিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের আমিনপুরের ভোটার ছিলেন। পরিবার নিয়ে থাকেন ঢাকায়। বাবার মৃত্যুর পর ২০১৫ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা পরিবর্তন করে সরাইল উপজেলা সদরের হালুয়াপাড়া গ্রামের ভোটার হন। তবে এখানে তাঁকে দেখা যায় না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
রাজনীতি–পরিবারের সন্তান হিসেবে রাজনীতি চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে দল (বিএনপি) যদি আমাকে ডাকে অবশ্যই সাড়া দেব। একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে উপনির্বাচনে এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে হয়েছে। ৫ আগস্টের আগে আমি সরকারবিরোধী আন্দোলনে মাঠে ছিলাম।মাইনুল হাসান ভূঁইয়া, উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে২০১৬ সালে আমরা বিএনপি জোট থেকে বের হয়ে এসেছি। এর পর থেকে আমরা স্বতন্ত্র হয়েই আছি। এখনো কোনো জোটে যাওয়ার চিন্তা করিনি। ২০২৪ সালে আমি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। তবে শুধু প্রতীকের প্রচারণার জন্য নেতা–কর্মীরা মাঠে ছিল।আবুল হাসানাত আমিনী, মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলেআর প্রয়াত আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া সরাইল উপজেলার প্রত্যন্ত হাওরবেষ্টিত পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি দল ত্যাগের আগপর্যন্ত বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন। ছয়বারের মধ্যে চারবার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আসনটি চারদলীয় জোটের নেতা মুফতি ফজলুল হক আমিনীকে ছেড়ে দেন। তখন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া টেকনোক্র্যাট প্রতিমন্ত্রী হন।
ওই নির্বাচনে মুফতি ফজলুল হক আমিনী ৪৩ হাজার ২৬১ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিমকে পরাজিত করে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে একাধিকার নির্বাচন করে তিনি পরাজিত হন। মুফতি আমিনী ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক জাতীয় পার্টির জিয়াউল হক মৃধার লাঙ্গল প্রতীকের কাছে ৪৯ হাজার ৩৯৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জয়ী হন। ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর আবদুস সাত্তার বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী (কলার ছড়ি) হয়ে বিজয়ী হন। ওই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বিএনপি সাত্তারকে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর দল থেকে বহিষ্কার করে। ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যুর পর ওই বছরের ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ফের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
ওই উপনির্বাচনের আগে সাত্তারপুত্র মাইনুল হাসান ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। কিন্তু তখন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয় দলের শাহজাহান আলমকে। ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ থাকা ওই নির্বাচনে শাহজাহান আলম বিজয়ী হলেও মেয়াদ–স্বল্পতার কারণে সংসদে একমুহূর্তের জন্যও বসতে পারেননি তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও মাইনুল হাসান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন। অতঃপর যোগ দেন তৃণমূল বিএনপিতে। আসনটি ছেড়ে দেওয়া হবে আওয়ামী লীগের নিকট থেকে এমন প্রতিশ্রুতি পেয়ে বাবার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে সংসদ সদস্য হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে সোনালি আঁশ প্রতীক নিয়ে মাঠে নামেন মাইনুল হাসান। ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েও ৪ হাজার ৩১৮ ভোট পেয়ে জামানত হারান তিনি। এরপর ৫ আগস্টের পর তিনি এলাকা ছাড়েন।
বর্তমানে সরাইল, আশুগঞ্জ এবং বিজয়নগর উপজেলার দুটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটিতে মোট ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৮৩৭টি। সম্প্রতি বিএনপি ২৩৭টি সংসদীয় আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২ আসনে প্রার্থী স্থগিত রাখা হয়েছে। আসনটিতে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী রুমিন ফারহানা। কিন্তু প্রাথমিক মনোনয়নে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়নি। এতে রুমিন ফারহানার অনুসারী নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। নানা সমীকরণে আসনটিতে শেষ পর্যন্ত কে সংসদ সদস্য হবেন, তা নিয়ে ভোটারদের মধ্যেও আছে নানা আলোচনা।
এবারের নির্বাচনে কোনো তৎপরতা না দেখা গেলেও রাজনীতি ছাড়েননি বলে জানান মাইনুল হাসান। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘রাজনীতি–পরিবারের সন্তান হিসেবে রাজনীতি চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে দল (বিএনপি) যদি আমাকে ডাকে অবশ্যই সাড়া দেব। একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে উপনির্বাচনে এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে হয়েছে। ৫ আগস্টের আগে আমি সরকারবিরোধী আন্দোলনে মাঠে ছিলাম।’
গত নির্বাচনে আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পর ঝিমিয়ে পড়া নিয়ে আবুল হাসানাত আমিনীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সবকিছু নির্ভর করছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর। প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভাই (তারেক রহমান) দেশে না আসা পর্যন্ত কোনোটাই বলা যায় না। বর্তমানে আমি মনে করি উনি বাংলাদেশের জন্য একটা স্তম্ভ। উনার দেশে না আসাটা অনেক কিছুই ইঙ্গিত করে। উনার আইসা পড়া উচিত। ঘোষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার আমি তো কোনো সিম্পটম দেখি না। এখনো কিছুই করা হয়নি। নির্বাচন হওয়ার মতো পরিবেশ হলে মাঠে নামব।’
জোট ছাড়া ও গত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রশ্নে আবুল হাসানাত বলেন, ‘২০১৬ সালে আমরা বিএনপি জোট থেকে বের হয়ে এসেছি। এর পর থেকে আমরা স্বতন্ত্র হয়েই আছি। এখনো কোনো জোটে যাওয়ার চিন্তা করিনি। ২০২৪ সালে আমি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। তবে শুধু প্রতীকের প্রচারণার জন্য নেতা–কর্মীরা মাঠে ছিল।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আবদ স স ত ত র ভ ব র হ মণব ড় য় ম ইন ল হ স ন ২০২৪ স ল ব এনপ র আসনট ত শ ষ পর র জন ত র জন য ২ আসন আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
জলবায়ু বিপর্যয়ে এক দশকে ২৫ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত
জলবায়ু সংকট নিরসনে ব্রাজিলের বেলেম শহরে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ৩০। সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। আজ সোমবার এ সম্মেলন শুরুর ঠিক আগে জলবায়ুর সংকটের ভয়াবহতা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। তাতে বলা হয়েছে, জলবায়ু সংকটের জেরে গত ১ দশকে ২৫ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ব্রাজিলে এবারের জলবায়ু সম্মেলন চলবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারের সম্মেলনের দায়িত্বে রয়েছেন ব্রাজিলের কূটনীতিক আন্দ্রে কোরেরা দো লাগো। সম্মেলন ঘিরে নানা আশাবাদ থাকলেও শুরুর দিনে শঙ্কার একটি কথা শুনিয়েছেন তিনি। কোরেরা বলেছেন, জলবায়ু সংকটের জন্য দায়ী ধনী দেশগুলোই এই সংকট নিরসনের লড়াইয়ে আগ্রহ হারিয়েছে।
জলবায়ু সংকটের কারণে মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়া নিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০ বছর ২৫ কোটি হিসাবে প্রতিদিন বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের ঘরবাড়ি ত্যাগের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিতে কপ৩০ প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।
‘নো স্কেপ-২: দ্য ওয়ে ফরওয়ার্ড’ বা ‘পালানোর পথ নেই-২: আগামীর দিশা’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যা, ঝড়, খরা ও তীব্র তাপমাত্রার মতো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনা ও সংঘাত বাড়ছে। পাশাপাশি ধীরে ধীরে আঘাত হানা বিভিন্ন দুর্যোগ, যেমন বন উজাড়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, বাস্তুসংস্থান ধ্বংস, খাবার ও পানির নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলছে।
সংঘাত ও জলবায়ুর কারণে মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে—এমন দেশের সংখ্যা ২০০৯ সাল থেকে তিন গুণ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর। এরপরও দুর্দশাগ্রস্ত ও সংঘাতে জর্জর যেসব দেশে শরণার্থীরা আশ্রয় নিয়েছে, ওই দেশগুলো প্রয়োজনের চার ভাগের এক ভাগ জলবায়ু সহায়তা পাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা না রেখেও বাস্তুচ্যুতদের অনেক সময় দুর্বিষহ জীবন কাটাতে হচ্ছে।
দেশে দেশে দুর্যোগ
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে শরণার্থী ও অন্যান্য বাস্তুচ্যুত মানুষের চার ভাগের তিন ভাগ এমন সব দেশে বাস করছে, যেগুলো উচ্চ বা চরম জলবায়ুজনিত বিপর্যয়ে আক্রান্ত। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ইউএনএইচসিআর যতবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল, তার তিন ভাগের এক ভাগের কারণ ছিল বন্যা, খরা, দাবানলসহ অন্যান্য চরম আবহাওয়া-সংক্রান্ত ঘটনা।
উদাহরণ হিসেবে প্রতিবেদনে ২০২৪ সালের মে মাসে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের রিও গ্রানদে দো সুল রাজ্যে ভয়াবহ বন্যার কথা বলা হয়েছে। ওই বন্যায় ১৮১ জনের মৃত্যু হয়। বাস্তুচ্যুত হয় ৫ লাখ ৮০ হাজার মানুষ। এর মধ্যে এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের ৪৩ হাজার শরণার্থী ছিল। এর আগের বছরে এশিয়ার দেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আঘাত হানে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় মোচা।
আফ্রিকার দেশ চাদে ১৪ লাখের বেশি শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থী বসবাস করে। শুধু ২০২৪ সালেই বন্যার কারণে দেশটিতে ১৩ লাখের বেশি মানুষ নিজেদের বাড়িঘর ও আশ্রয়শিবির ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। সুদানের শরণার্থীরা প্রতিদিনের ১০ লিটারের কম পানি পাচ্ছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। সব মিলিয়ে আফ্রিকার ৭৫ শতাংশ ভূখণ্ডের অবস্থা খারাপ হচ্ছে।
১. গত ১০ বছরে প্রতিদিন বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ।২. সংঘাত ও জলবায়ুর কারণে মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে—এমন দেশের সংখ্যা ২০০৯ সাল থেকে তিন গুণ হয়েছে।
৩. ২০৪০ সাল নাগাদ চরম জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখে পড়া দেশের সংখ্যা ৩ থেকে বেড়ে ৬৫ হতে পারে।
যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে আবহাওয়া পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। ২০৪০ সাল নাগাদ চরম জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখে পড়া দেশের সংখ্যা ৩ থেকে বেড়ে ৬৫–তে পৌঁছাতে পারে। আর ২০৫০ সাল নাগাদ গাম্বিয়া, ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া, সেনেগাল ও মালির ১৫টি শরণার্থীশিবির বছরে প্রায় ২০০ দিন বিপর্যয়কর তাপমাত্রার মুখে পড়তে পারে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, ‘চরম জলবায়ুর প্রভাব থেকে শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুত পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে তহবিলে কাটছাঁট। আমরা যদি স্থিতিশীলতা চাই, তাহলে মানুষ যেখানে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে, সেখানে বিনিয়োগ করতে হবে। বাস্তুচ্যুত হওয়া থামাতে জলবায়ু তহবিল সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে।’
পরিবেশবান্ধব জ্বালানিতে এগিয়ে চীন
আজ শুরু হওয়া কপ৩০ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন ১৯৪ দেশের প্রতিনিধিরা। প্যারিস চুক্তিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে যে ঐকমত্য হয়েছিল, সে বিষয়ে আলোচনা করবেন তাঁরা। একই সঙ্গে কীভাবে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করা যায় এবং দরিদ্র দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া যায়, সে বিষয়েও আলোচনা হবে।
তবে এসব লক্ষ্য পূরণের বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে ব্রাজিলের কূটনীতিক আন্দ্রে কোরেরা দো লাগো বলেন, জলবায়ু সংকটের জন্য দায়ী ধনী দেশগুলো এই সংকট নিরসনের লড়াইয়ে আগ্রহ হারিয়েছে। তবে ভালো করছে চীন। দেশটি সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন করলেও পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব জ্বালানির সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী। অন্য দেশগুলোকে এটি অনুসরণ করতে হবে।
ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বসতবাড়ি বিলীন হয়েছে কাসিম উদ্দিনের। সম্প্রতি নদের এই চরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। ২৯ অক্টোবর কুড়িগ্রামে