আগামী ১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ফারুক হোসেন ওরফে বোমা ফারুককে (৬৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাসরিন আক্তারকেও (২৮) পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল জলিল দাবি করেন, গ্রেপ্তারকৃত ফারুক হোসেন ওরফে ‘বোমা ফারুক’ আসন্ন লকডাউন কর্মসূচির অন্যতম পরিকল্পনাকারী এবং অর্থ যোগানদাতা।

সংবাদ সম্মেলনে এসপি জলিল জানান, গত ৯ নভেম্বর ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ‘ঢাকা শহর লকডাউন’ এবং সারা দেশকে অচল করার লক্ষ্যে সরকার উৎখাত, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং জননিরাপত্তা বিপন্ন করার উদ্দেশ্যে উস্কানিমূলক স্লোগান দেওয়ার জন্য একত্রিত হয়। এই ষড়যন্ত্রের মূল হোতা হিসেবে ফারুক হোসেনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটক ফারুক হোসেন স্বীকার করেছেন যে, আগামী ১৩ নভেম্বরের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি সফল করার জন্য ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী তাকে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “ফারুক হোসেন স্বীকার করেছেন, তিনি এই অর্থের একাংশ একজনকে দিয়েছেন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিকাশের মাধ্যমেও অর্থ পাঠিয়েছেন। তার মোবাইল ফোন যাচাই করে লকডাউন কর্মসূচি সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদানের প্রমাণ পাওয়া গেছে।”

আটক মো.

ফারুক হোসেন বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। ৫ আগস্ট ২০২৪-এর পর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের অনুপস্থিতিতে তিনি নিজেকে ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি’ দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন।

পুলিশ জানায়, ফারুক হোসেন ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ১৯৮১ সালে সরকারি ইয়াছিন কলেজের ভিপি থাকাকালীন হরতালের সময় বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতে গিয়ে তার বাম হাতের মধ্যমা আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই থেকেই তিনি ‘বোমা ফারুক’ নামে পরিচিত।

ঢাকা/তামিম/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন পেছালে বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “সংস্কারের যেসব বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি, তার বাইরে কিছু জোর করে চাপিয়ে দিলে এর সমস্ত দায় নিতে হবে সরকারকেই। নির্বাচন যদি পিছিয়ে দেওয়া হয়, তবে বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।”

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের কিশমত কেশুর বাড়ি লক্ষীরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

আরো পড়ুন:

জামায়াত দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে: ফখরুল

বাবাকে নিয়ে ‘গুজবের’ প্রতিবাদ ফখরুলের, সতর্ক করলেন কোরআনের আয়াত দিয়ে

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, “একটি দল বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারীদের কাছে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে। যারা মুনাফেকি করে, তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।”

তিনি বলেন, “পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া সম্ভব নয়। এই পদ্ধতিতে দলের বাইরে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না।”

কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় এলে ১৫ মাসের মধ্যে এক কোটি বেকারের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি আমরা বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করতে চাই।” 

শিক্ষা খাতের সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক বাদ দেওয়া ঠিক হয়নি। এটি শিক্ষাব্যবস্থায় এক ধরনের অসম্পূর্ণতা তৈরি করছে।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির বড়গাঁও ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ডা. আহম্মদ আলী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সাল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মো. পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদসহ দলটির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা। 

ঢাকা/মঈনুদ্দীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ