2025-12-13@15:21:59 GMT
إجمالي نتائج البحث: 451
«পড়ত ন»:
১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ দুপুরবেলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে ডামি রাইফেল নিয়ে প্রশিক্ষণ শেষ করে আমি আর শিরীন আখতারবাড়ি ফেরার সময় জেনে এসেছিলাম— আজ কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। বিকালে খবর এলো ‘রাতে পাক আর্মি ঢাকা শহরে অভিযান চালাতে পারে’। আজিমপুর কলোনির ছেলেরা, আজিমপুর সংলগ্ন রাস্তায় ব্যারিকেড দিতে নেমে গেলো। তারা ব্যারিকেড দিয়ে ফিরে আসার কিছু সময় পরে ২৫ মার্চ, আনুমানিক রাত, ১২ টা নাগাদ পাক আর্মির বর্বরোচিত হামলা শুরু হলো। আমাদের বাসা ছিল আজিমপুর কলোনির ১৪ নম্বর বিল্ডিংয়ে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্কের গুলি আমাদের বাসার দেয়াল ছিদ্র করে দিয়েছিল। সেই রাতে আমরা সবাই প্রাণ বাঁচাতে খাটের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলাম। আরো পড়ুন: কক্সবাজার হানাদারমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর আদিল একাই পিলখানার বাঙ্কার উড়িয়ে দিয়েছিলেন ২৭ মার্চ পাক আর্মির দেওয়া...
আশির দশকের প্রথম দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হই। আমার সেশন ছিল ১৯৮৩-৮৪। প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে হলে সিট পাওয়ার কথা চিন্তাও করা যেত না। বাধ্য হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে কাজলায় মেসে উঠি। থাকা-খাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বরাদ্দ ছিল মাসে ৫০০ টাকা। মেসে সিটভাড়া ৫০ টাকা। তিন বেলা আহার বাবদ পড়ত প্রতিদিন ১০-১২ টাকা। খাবার বলতে সকালে আলুভর্তা-ভাত। দুপুরে ও রাতে থাকত মাছ বা ডিম, সঙ্গে পাতলা ডাল। মাসে দু-একবার জুটত গোশত, তা-ও খুব ছোট এক বা দুই টুকরা।যখন টাকায় টান পড়ত, কখনো কখনো ১০০ টাকা অতিরিক্ত পেতাম। টাকা আসত পোস্ট অফিসের মাধ্যমে মানি অর্ডারে। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার বলরামপুর গ্রামে আমাদের বাড়ি থেকে টাকা আসতে সময় লাগত প্রায় এক সপ্তাহ।ডাকপিয়ন মামা মেসে এসে সাইকেলে বেল বাজাতেন। আমরা বুঝে যেতাম, মামা...
ওরহান পামুক বলেছিলেন, পৃথিবীর সমস্ত ভালো উপন্যাসই কার্যক্ষেত্রে রাজনৈতিক উপন্যাস। কারণ, ভালো উপন্যাস মানেই দ্বিতীয় কোনো মানুষের মন বা বর্গকে পড়তে চাওয়া। অথচ গড়পড়তা পাঠক ‘রাজনৈতিক উপন্যাস’ বলতে বোঝে এমন কোনো রচনা, যার পটভূমিতে আছে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বা ঘটনা বা সময়কাল। রায়হান রাইনের ‘নিখোঁজ মানুষেরা’ সেই বিচারে নিশ্চিতভাবেই রাজনৈতিক উপন্যাস। পড়তে গিয়ে টের পাই, স্বল্পায়তনের এ উপন্যাসে গত দশকের বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নানা রাজনৈতিক ঘটনা ছুঁয়ে ছুঁয়ে গেলেন লেখক।উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র ইউসুফ, মতিঝিলের দিলকুশার কোনো গলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সে চেতনা হারায়। জীবনের ওপারে আরেকটা ছায়া জগতে পৌঁছে সে খুঁজে পায় ময়ূরজানকে, জীবনের একটা সময়ে যার প্রতি দুর্বলতা ছিল ইউসুফের, আর এখন জানা যায়, মেয়েটা মৃত। তারপর মৃত ওই ময়ূরজানের কাছ থেকেই ছায়াময় ওই জগতে চলাচলের কায়দা শেখে ইউসুফ। ক্রমে আরও...
গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে মানুষ কার্টুন আঁকতেও ভয় পেত বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘কর্তৃত্ববাদী শাসন সব দিক থেকে, সব সম্ভাব্য উপায়ে, এমনকি কার্টুন এঁকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপরও ভীতিকর প্রভাব ফেলেছিল। ফলে তরুণেরা কার্টুনের মাধ্যমে মতপ্রকাশের অধিকার ব্যবহার করা থেকে বিরত ছিল।’ আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় টিআইবি আয়োজিত ‘দুর্নীতিবিরোধী কার্টুন প্রতিযোগিতা–২০২৫’–এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ বছর চারটি ক্যাটাগরিতে মোট আটজন কার্টুনিস্টকে পুরস্কৃত করেছে টিআইবি।অনুষ্ঠানে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতি মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং বাক্স্বাধীনতার অধিকারকে প্রভাবিত করেছিল। যে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে জনগণ গিয়েছে, তা স্মৃতি থেকে মুছে ফেলা কঠিন হবে।এ সময় টিআইবি আয়োজিত কার্টুন প্রতিযোগিতার উদাহরণ দেন ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, টিআইবি প্রতিবছরই দুর্নীতিবিরোধী কার্টুন আঁকার...
খাগড়াছড়ির এক ছোট্ট গ্রামে আমার জন্ম। আমার বেড়ে ওঠার কথা ছিল সিলেটে, দাদাবাড়িতে। কিন্তু সেখানে বাড়তি থাকার জায়গা না হওয়ায় মা-বাবা আমাকে নিয়ে নানাবাড়ি চলে আসেন। বাবার দিনমজুরি আর মায়ের সেলাইয়ের সামান্য আয়ে চলে আমাদের সংসার।সাত বছর বয়সে গ্রামের একটা মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছিলাম। কুপিবাতির আলোয় পড়তাম। সব সময় ক্লাসে ফার্স্ট হতাম, কিন্তু অন্য অভিভাবকদের মতো মা-বাবা কোনো দিন আমার রেজাল্ট জানতে মাদ্রাসায় যাননি। আরও পড়ুন১৩০০ টাকা নিয়ে অচেনা চট্টগ্রাম শহরে পা রেখেছিলাম৫ ঘণ্টা আগেআত্মীয়-পড়শিরা বলত, ‘কয়েক ক্লাস পড়িয়ে বিয়ে দিয়ে দাও।’ কিন্তু আমার স্বপ্ন ছিল আরও বড়। জেদ করায় মা-বাবা স্কুলে ভর্তি করাতে রাজি হন। কিন্তু শর্ত ছিল—উপজেলার সেরা স্কুলের ভর্তি পরীক্ষায় টিকতে হবে। হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর মধ্যে আমি নবম হয়ে ভর্তি হই।প্রতিদিন ছয় কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে যেতাম। কোনো দিন...
নামাজ এমন একটি বিধান যা কোনো অবস্থাতেই বাতিল হয় না—দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে বা ইশারায়—জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এর পালন অপরিহার্য। একজন মুসলিমের কাছে নামাজ কেবল কিছু শারীরিক ক্রিয়া নয়, বরং এটি আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের মাধ্যম।ইবাদতের এই শ্রেষ্ঠ মাধ্যমটি অবশ্যই আল্লাহর রাসুল মুহাম্মাদ (সা.)-এর দেখানো পদ্ধতিতে আদায় করতে হবে। কারণ, তিনি উম্মতকে সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, “তোমরা সেভাবে নামাজ আদায় করো, যেভাবে আমাকে নামাজ আদায় করতে দেখেছ।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৩১)তোমরা সেভাবে নামাজ আদায় করো, যেভাবে আমাকে নামাজ আদায় করতে দেখেছ।সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৩১)এই নির্দেশনা মেনে চলার জন্য নামাজের প্রতিটি ধাপ, তাকবিরে তাহরিমা থেকে শুরু করে সালাম ফেরানো পর্যন্ত, রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ অনুযায়ী হওয়া আবশ্যক।নামাজের পূর্ব প্রস্তুতি নামাজ কবুল হওয়ার পূর্বশর্ত পবিত্রতা। এই পবিত্রতা অর্জনের জন্য প্রথমে উত্তমরূপে অজু বা...
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় যাত্রীবাহী বাসের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে উপজেলার কেওচিয়া ইউনিয়নের বায়তুল ইজ্জত বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এলাকার বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কে এ ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তিরা হলেন বান্দরবান পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আর্মিপাড়া এলাকার মো. মফিজের ছেলে নাজমুল ইসলাম (৩০) ও একই এলাকার মো. ইউনুসের ছেলে মো. তওহীদ(২৪)। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী আরও একজন আহত হয়েছেন। তবে তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি।পুলিশ জানায়, নিহত দুই ব্যক্তিসহ তিনজন একটি মোটরসাইকেলে বান্দরবান থেকে কেরানীহাটের দিকে যাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলটি উপজেলার বায়তুল ইজ্জত এলাকায় পৌঁছালে গ্রামীণ সড়ক থেকে আসা আরেকটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজনই সড়কে পড়ে যান। এ সময় বান্দরবানগামী পূবালী পরিবহনে নিচে দুজন চাপা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিলে...
দুই চোখ বন্ধ করে নিশ্বাস আটকে আধশোয়া হয়ে আছি বিছানায়। হাতে তাদামাসা হুকিউরার বই ‘রক্ত ও কাদা ১৯৭১’। রুশা ও ঋভূ বইটা উপহার দিয়েছে আমাকে। লিখেছে, ‘প্রিয় মেজ চাচাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।’তাদামাসা হুকিউরা আন্তর্জাতিক রেডক্রসের প্রতিনিধি হিসেবে আট মাস বাংলাদেশে অবস্থান শেষে ১৯৭২ সালের মে মাসের এক রাতে ফিরে যান নিজ দেশ জাপানে। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ‘রক্ত ও কাদা ১৯৭১’ নামে বই লিখতে শুরু করেন ১২ নভেম্বর ১৯৭০–এ। শেষ করেন ১০ জানুয়ারি ১৯৭২-এ। বইয়ের পাতায় পাতায় শিউরে ওঠার মতো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নিষ্ঠুরতা আর নির্মমতা। বিস্ময়ে হতবাক হওয়ার মতো সব ঘটনার বর্ণনা। একেবারেই চেনাজানা মানুষ সম্পর্কে অনেক না জানা কথা। যেমন হাতিয়ার রফিক ভাই। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন ২১ বছরের তুখোড় তরুণ। হাতিয়ার মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার ছিলেন তিনি। যুদ্ধের সেই সব ভয়াবহ...
লক্ষ্মীপুরের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ৪ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে পাকিস্তানি বাহিনী কৌশলে পালিয়ে যায়। লক্ষ্মীপুর সদরের অবরুদ্ধ মানুষ পায় মুক্তির স্বাদ, বিজয়ের আনন্দ।পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে এই জেলায় প্রথম প্রতিরোধ গড়ে ওঠে এপ্রিল মাসে। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি প্রকাশিত বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ (নবম খণ্ড) বইয়ে বলা হয়েছে, শত্রুবাহিনী যেন লক্ষ্মীপুর সদরে ঢুকতে না পারে, সে জন্য স্বাধীনতাকামী জনগণ ও মুক্তিযোদ্ধারা নোয়াখালীর চৌমুহনী থেকে লক্ষ্মীপুর সদর পর্যন্ত প্রধান সড়কের মাদাম ব্রিজ, মন্দারী বাজার ব্রিজ ও চন্দ্রগঞ্জের পশ্চিম বাজার ব্রিজ ভেঙে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সেই স্মৃতি হিসেবে মাদাম ব্রিজের পিলারগুলো এখনো দাঁড়িয়ে আছে।বইটিতে উল্লেখ আছে, পাকিস্তানি বাহিনী ২৫ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর সদরে ঢুকে বাজারডিতে সার্কেল অফিসারের কার্যালয় ও বাসভবনে প্রধান ক্যাম্প স্থাপন করে। ওই দিনই মজপুর গ্রামে হামলা...
অনেকেই এখন পারসোনাল লোন বা ব্যক্তিগত ঋণের দিকে ঝুঁকছেন। সাধারণত প্রয়োজনীয় খরচ চালাতে ব্যক্তিগত ঋণ নেন অনেকে। অনেকে বাড়ি-গাড়ি কেনার জন্যও এই ধরনের ঋণ নেন।দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ভিন্ন ভিন্ন শর্তে এসব ঋণ দেয়। সেগুলো ভালোভাবে বুঝে সিদ্ধান্ত নিলে পরে ঝামেলায় পড়তে হয় না। এসব ঋণের সুদ, মাশুল, যোগ্যতা, মেয়াদ—প্রতিটি দিকই আর্থিক সিদ্ধান্তে প্রভাব রাখে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যক্তিগত ঋণ ২৬ শতাংশ বেড়েছে। এর মানে, সাধারণ গ্রাহকেরা ব্যক্তিগত ঋণের দিকে ঝুঁকছেন। এবার ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় ভাবতে হবে। যেমন—১. সুদের হার ও মোট খরচপারসোনাল ঋণের বার্ষিক সুদহার ব্যাংকভেদে আলাদা হয়। এতে ভূমিকা রাখে ক্রেডিট স্কোর, পরিশোধ সক্ষমতা ও ঋণপূর্ব ইতিহাস ইত্যাদি বিবেচনায় রাখতে হবে। শুধু ঘোষিত সুদহার নয়; ঋণ প্রক্রিয়া মাশুল, আগাম পরিশোধ মাশুলসহ বিভিন্ন...
ঢাকার একটি আদালত আজ পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের একটি মামলার রায়ে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে দুই বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। এই রায়ের ফলে টিউলিপের এমপি পদ থাকবে কি না বা তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যতে এর প্রভাব পড়বে কি না, তা নিয়ে অনেকের মধ্যে কৌতূহল দেখা দিয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাজ্যের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জন ট্রাসলার প্রথম আলোকে বলেন, টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশের একটি আদালতের দেওয়া দুই বছরের কারাদণ্ড ভোগ করার প্রয়োজন নেই। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই বা এমন কোনো আইনি বন্দোবস্ত নেই, যেটা এই কারাদণ্ড কার্যকর করবে। তা ছাড়া যুক্তরাজ্যের আদালতগুলো সম্ভাব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, ন্যায়বিচারের মানদণ্ড এবং মানবাধিকার নিয়ে ঝুঁকির বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাজ্যের আদালতগুলো প্রত্যর্পণের যেকোনো অনুরোধ প্রায় নিশ্চিতভাবেই প্রত্যাখ্যান করবেন।ব্রিটিশ আইনজীবী জন...
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই একই দিনে সংবিধান সংস্কার বিষয়ে গণভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে জনগণকে মতপ্রকাশের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রশ্নটি যেহেতু সংবিধান সংস্কারবিষয়ক এবং প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের যেহেতু সংস্কারের সব বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি, সেহেতু এ গণভোটের গুরুত্ব বেড়ে গেছে। কিন্তু এ জন্য যে দীর্ঘ প্রশ্ন নির্ধারণ করা হয়েছে, তার ভাষা সব মানুষের কাছে যথেষ্ট বোধগম্য হচ্ছে কি না, সেটিও ভাবা দরকার।আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত শতকরা ২২ ভাগ মানুষ নিরক্ষর, অর্থাৎ তাঁরা পড়তেও পারেন না। সাক্ষরতার হার হিসাব করা হয় সাত বছরের বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর ওপর। তার মানে নিরক্ষর মানুষের বেশির ভাগই প্রাপ্তবয়স্ক ভোটার, যাঁরা গণভোটের প্রশ্নগুলো পড়তেই পারবেন না। আবার যাঁরা...
আন্তর্জাতিক শিক্ষার গন্তব্যে কি বড় পরিবর্তন আসতে চলছে? এটি বলার কারণ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া, প্রচলিত ‘বিগ ফোর’ দেশের বাইরে এখন আরও বেশি শিক্ষার্থী ইউরোপের দিকে ঝুঁকছেন। অ্যাপ্লাইবোর্ড–এর একটি প্রতিবেদনে এমনটাই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ‘অ্যাপ্লাইবোর্ড ২০২৬ ট্রেন্ডস রিপোর্ট: বিল্ডিং অ্যান্ড রিবিল্ডিং গ্লোবাল এডুকেশন’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ৬ দশমিক ৯ মিলিয়ন শিক্ষার্থী বিদেশে পড়তে গেছেন। এ সংখ্যা ২০৩০ সালে বেড়ে দাঁড়াবে এক কোটির বেশি।প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী পরামর্শদাতাদের প্রায় তিন–চতুর্থাংশ জানিয়েছে, শিক্ষার্থীরা বিকল্প গন্তব্য ভাবছেন। নতুন এই শীর্ষ ১০টি গন্তব্যের মধ্যে আটটিই ইউরোপে।জার্মানি: কর্মসংস্থানই বড় আকর্ষণ ইউরোপে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে জার্মানি এখন অন্যতম সবচেয়ে শক্তিশালী একটি গন্তব্য। ২০২৪–২৫ শীতকালীন সেমিস্টারে দেশটিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী চার লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।জার্মানি বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়তার...
হঠাৎ আসা বিপদ-আপদ বা জরুরি প্রয়োজনে টাকা দরকার হয়। এ জন্য আমরা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যক্তিগত ঋণ নিয়ে থাকি।ব্যক্তিগত ঋণ আপনাকে সহায়তা করে। তবে ব্যবহারেই নির্ভর করে আপনার আর্থিক ভবিষ্যৎ। ভুল ব্যবহারে দেনা বাড়ে। আর সঠিক ব্যবস্থাপনায় আপনি ব্যাংকের কাছে হয়ে ওঠেন ঋণের ভালো গ্রাহক।ব্যক্তিগত এই ঋণ জরুরি সময়ে ভরসা দেয়। কিন্তু কয়েকটি সাধারণ ভুল আপনাকে অপ্রয়োজনীয় দেনা ও সুদের বোঝা বাড়িয়ে দিতে পারে। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কৌশলী হয়ে ব্যবহারে স্বস্তি মেলে।ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু ভুল করা যাবে না। এবার এমন পাঁচটি ভুল নিয়ে আলোচনা করা হলো-১. প্রয়োজনের বেশি ঋণ নেবেন নাএখন ব্যক্তিগত ঋণ খুব সহজেই অনুমোদন হয়। খুব বেশি সময় লাগে না। আবেদনের এক সপ্তাহের মধ্যেই টাকা হাতে চলে আসে।তাই আগে ভাবুন—আপনার আসলে কত টাকা লাগবে? প্রয়োজন...
কারাবন্দী পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা এবং দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে তাঁর বোন ও দলীয় নেতাদের সাক্ষাতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিরোধীদলীয় জোট। অন্যথায় তারা দেশজুড়ে বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।পাকিস্তানের পার্লামেন্ট হাউসের বাইরে গত শুক্রবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দেশটির বিরোধীদলীয় জোট। এতে পাখতুনখাওয়া মিলি আওয়ামী পার্টির (পিকেএমএপি) সভাপতি মেহমুদ আছাকজাই বলেন, ‘আমরা সিন্ধি, বেলুচ, পশতু ও পাঞ্জাবিদের রাস্তায় নামা আটকেছি। না হলে তাঁরা সরকার ও তার নীতির বিরুদ্ধে (রাস্তায়) নেমে পড়তেন। এতে করে শাসকেরা বড় সমস্যায় পড়তেন।’সরকার পার্লামেন্টকে ‘রাবার স্ট্যাম্পে’ পরিণত করেছে এবং জাতীয় পরিষদের স্পিকার আয়াজ সাদিক ‘অন্য কোথাও থেকে আসা নির্দেশ’ অনুসরণ করছেন বলেও অভিযোগ করেন মেহমুদ। তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকায় মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। কিন্তু স্পিকার এ গুরুতর বিষয়ে কথা বলার সুযোগ দিচ্ছেন...
নামাজ একটি পরিপূর্ণ ইবাদত। এতে প্রতিটি অঙ্গভঙ্গি ও প্রতিটি বাক্যাবলি গভীর অর্থবহ। রুকু, সিজদা, কিয়াম—সবকিছুর মাঝে আল্লাহর প্রতি বিনয় ও আত্মসমর্পণের ভাষা রয়েছে। এর মধ্যে দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকে পড়া দোয়াটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাসুল (স.) তা নিয়মিত পড়তেন এবং সাহাবিদেরও শিক্ষা দিতেন।দোয়া (উচ্চারণ ও অর্থ)উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগ্ফিরলী, ওয়ারহামনী, ওয়াহদিনী, ওয়াজবুরনী, ওয়ারযুকনী, ওয়ারফা‘নীঅর্থ: হে আল্লাহ, আমাকে ক্ষমা করুন, আমাকে দয়া করুন, আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন, আমার দুর্বলতা পূরণ করুন, আমাকে রিজিক দিন এবং আমার মর্যাদা বৃদ্ধি করুন।আরও পড়ুনদোয়া কবুলের অলৌকিক রহস্য: নবী যাকারিয়া ও মারইয়ামের শিক্ষা২৩ নভেম্বর ২০২৫হাদিসের উৎস: সহিহ ইবন খুজাইমাহ, হাদিস: ৬৯৭; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৮৫০; সহিহ ইবনে হিব্বান। ইমাম নাসাঈ ও আলবানি (রহ.) হাদিসটি সহিহ বলেছেন।দোয়াটি কেন পড়তে হয়?১. ক্ষমা প্রার্থনা: দোয়ার প্রথম শব্দই “আল্লাহুম্মাগফিরলি”—অর্থাৎ, হে আল্লাহ,...
আত্তাহিয়াতু শেষ করে কেবল সালাম ফিরিয়েছেন, মোনাজাতের জন্য তখনো হাত তোলেননি। বাইরে রাত কেটে আলো ফুটেছে কিন্তু ফিনকি দিয়ে সে আলোর ফালি ছড়িয়ে পড়েনি তখনো। ফজরের নামাজের প্রান্তে মোনাজাতের আদ্যক্ষণে প্রকৃতির সমস্ত সাদা পবিত্রতাকে চিরে, ছিঁড়ে খানখান করে উত্তর বাড়ির প্রাঙ্গণ থেকে আকাশের দিকে উঠে গেল একটা বিকট অশ্রাব্য সম্ভাষণ। চৌধুরী বাড়ির মুন্সি আফজাল সাহেব জায়নামাজের ওপরই একবার মুখ বিকৃত করে ফেললেন সে শব্দে। চেষ্টা করলেন, দুকানকে কিছু না শুনিয়ে শূন্যে এমনি ঝুলিয়ে রাখতে। প্রাণপণ চেষ্টা করলেন জোড়া হাতের প্রশস্ত গহ্বরে মনকে নিমজ্জিত করে আল্লাহর কাছে পৌঁছুতে। পৃথিবী থেকে পালিয়ে সম্পূর্ণ মায়ামুক্ত দিল দিয়ে চাইলেন জলদি জলদি মোনাজাত খতম করতে।আফজাল সাহেব পরহেজগার মুসল্লি হলেও এমন কিছু সুফি আউলিয়া ছিলেন না, কাজেই মোনাজাত করবার সময়ও উত্তর বাড়ির প্রাঙ্গণ থেকে ছদু মিয়ার...
অনেক করদাতার আয়কর রিটার্ন নিরীক্ষায় পড়ে যায়। এতে করদাতারা বিপাকে পড়ে যান। নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাঁদের।অবশ্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়কর ফাইল আপাতত নিরীক্ষায় ফেলছে না। তবে করদাতার ফাইলের বিষয়ে জানতে চেয়ে নানা ধরনের নোটিশ দিচ্ছে।আয়কর রিটার্ন অডিটে বা নজরদারিতে পড়ার বেশ কিছু কারণ আছে। সেখান থেকে বাছাই করা ১৫টি কারণ নিয়ে আলোচনা করা হলো:১. রিটার্নের তথ্য ও উৎসে কর কাটার তথ্যের অসামঞ্জস্য থাকলে নিরীক্ষায় পড়তে পারে। বিশেষ করে করদাতাদের আয়-ব্যয়, উৎসে কর কর্তন, ব্যাংক লেনদেনের সঙ্গে রিটার্নের তথ্যের মিল না থাকলে এমন নজরদারিতে পড়তে পারেন।২. আগের বছরের তুলনায় হঠাৎ অস্বাভাবিক বেশি সম্পদ দেখালে কর কর্মকর্তাদের সন্দেহ হতে পারে। সম্পদ অর্জনের অর্থের উৎস ব্যাখ্যা না থাকলে সন্দেহ আরও গভীর হয়।৩. আয় কম দেখানো হলো। কিন্তু রিটার্নে বাড়ি-গাড়ি, সম্পদ বেশি...
বিশ্ববাজারে গত কয়েক মাসে সোনার যেখানে বেড়েছে, সেখানে বিটকয়েনসহ বিভিন্ন ক্রিপ্টো মুদ্রার দাম কমেছে। এ বাজার এমনিতেই টালমাটাল। কিন্তু গত ছয় মাসে এ বাজারে যা হয়েছে, তাতে অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরাও ভিরমি খেয়ে গেছেন।বাস্তবতা হলো গত ছয় মাসে ক্রিপ্টো মুদ্রার বাজার মূলধন এক ট্রিলিয়ন ডলার বা এক লাখ কোটি ডলার কমেছে। ফলে ক্রিপ্টো মুদ্রার যাঁরা সবচেয়ে অন্ধ ভক্ত, তাঁরাও হতচকিত হয়ে গেছেন। সেই সঙ্গে এই মুদ্রায় যাঁরা নতুন বিনিয়োগ করেছেন, তাঁরাও সামনে এগোনোর ভরসা পাচ্ছেন না। খবর সিএনএনক্রিপ্টো–জগতের সবচেয়ে পরিচিত নাম হলো বিটকয়েন। জনপ্রিয়তার দিক থেকেও এটি শীর্ষে। কিন্তু অক্টোবর মাসের শুরু থেকে সেই বিটকয়েনের দামও নাটকীয়ভাবে কমছে। অক্টোবর মাসের শুরুতে বিটকয়েনের দাম ছিল রেকর্ড ১ লাখ ২৬ হাজার ডলার। সেই বিটকয়েনের দাম গত শুক্রবার, অর্থাৎ পশ্চিমা পৃথিবীর শেষ কর্মদিবসে ৮১ হাজার...
ট্রেনের চাকার নিচে পা আটকে গেছে একটি ছেলেশিশুর। বয়স ১০–১২ বছর। বাঁচার জন্য আকুতি করছে সে। এমনই একটি ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনে। আহত ওই শিশুর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাকে প্রথমে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে পাঠানো হয় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল)।রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকা–নোয়াখালী রুটে চলাচলকারী উপকূল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। কীভাবে শিশুটি ট্রেনের নিচে গেল, এ বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি রেলের কর্মকর্তারা। প্রত্যক্ষদর্শীদের সহায়তায় ট্রেন থামিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়।শিশুটির সঙ্গে কোনো অভিভাবক ছিল না বলে জানিয়েছেন রেলের কর্মকর্তারা। তাঁদের ধারণা, সে আশপাশের এলাকার বাসিন্দা বা পথশিশু হতে পারে। শিশুটি যেভাবে ট্রেনের চাকার নিচে পড়েছে, তাতে...
সৃষ্টিশীল মানুষদের নির্মিত শক্ত ভিতের ওপরে বাংলা সাহিত্যের ছোটগল্পের প্রাসাদ দাঁড়িয়ে আছে। যুগে যুগে গল্পকারদের প্রজ্ঞা, পরিশ্রম, নিরীক্ষাপ্রবণতা বাংলা গল্পভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে। গল্পকারদের প্রচেষ্টায় চিরাচরিত ধারায় যেমন গল্প নির্মিত হয়েছে তেমনি নিরীক্ষাধর্মী গল্পের নির্মাণও পাঠককে তৃপ্ত করেছে। শব্দের গতিময় সৌন্দর্য, ভাষার কুশলী ব্যবহার, বিষয়ের বৈচিত্র্য, নির্মাণশৈলীর ভিন্নতা—সবকিছু মিলিয়ে বাংলা গল্পের পরিধি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিস্তৃত হয়েছে। এই পরিধির ভেতরে নিজের স্বকীয়তা ধরে রেখে যেসব গল্পকার বর্তমান সময়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন, ফয়জুল ইসলাম তাঁদের মধ্যে অন্যতম। যদিও লেখক ফয়জুল ইসলামের নামের পরে ব্রাকেটবন্দী করে ‘জন্ম ২৪ নভেম্বর ১৯৬৩, মৃত্যু ২১ জানুয়ারি ২০২৫’ লেখার সময় এখন। তিনি লেখালেখির খাতা বন্ধ করে এখন সময়ের ফ্রেমে আটকে গেছেন। ফয়জুল ইসলামের লেখা এই ফ্রেম অতিক্রম করে অনন্ত লক্ষ্যের দিকে যাত্রা করবে কি না, সেই বিষয়ে...
ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের তৈরি শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে নানা ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসব বক্তব্য থেকে একটি ইঙ্গিত ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে যুদ্ধ বন্ধের পরিকল্পনা যদি ইউক্রেন ও দেশটির ইউরোপীয় মিত্ররা মেনে না নেয়, তাহলে তাদের পরিত্যাগ করবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় চার বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে সম্প্রতি ২৮ দফা ওই পরিকল্পনার বিষয়টি সামনে আসে। দফাগুলোর মধ্যে রয়েছে সংঘাত থামাতে ইউক্রেনকে নিজেদের পূর্বাঞ্চলের কিছু অঞ্চল রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দিতে হবে। এ ছাড়া নিজেদের সামরিক বাহিনীর আকার কমাতে হবে কিয়েভকে। দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তাও কমবে।এই পরিকল্পনা নিয়ে গত শুক্রবার ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিকল্পনা ‘মেনে নিতে হবে’। কারণ, তিনি আলাপ-আলোচনার মানসিকতায় এখন নেই। এই পরিকল্পনাই চূড়ান্ত নয়—এমনটা উল্লেখ করার পাশাপাশি...
একটি বাড়ির উঠানে প্লাস্টিকের বস্তার ওপর বসে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করাচ্ছিলেন আশি ছুঁই ছুঁই বয়সের একজন শিক্ষক। শরীরের নানা অঙ্গ-ভঙ্গির মাধ্যমে তিনি পড়া বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন শিশু শিক্ষার্থীদের। তিনি তার কাছে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাচ্ছিলেন ‘মামার বাড়ি’ কবিতা কে লিখেছেন? শিক্ষার্থীরা সমস্বরে উত্তর দেয়, কবি জসীম উদদীন। উত্তরের জনপদ গাইবান্ধা সদর উপজেলার মদনেপাড়া গ্রামের মিনারা বেগমের বাড়ির উঠানের চিত্র এটি। শনিবার (২২ নভেম্বর) এই বাড়ির উঠানে কোমলমতি শিশুদের (নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি) গোল করে বসিয়ে পড়াতে দেখা যায় লুৎফর রহমানকে। পড়ানো বাবদ জনপ্রতি দৈনিক এক টাকা সম্মানী নেন। এ জন্য এলাকার মানুষের কাছে তার পরিচিতি ‘এক টাকার মাস্টার’ হিসেবে। আরো পড়ুন: ৭ ঘণ্টা পর রেল অবরোধ স্থগিত রাবি শিক্ষার্থীদের হল খালির বিষয়ে ঢাবি প্রক্টরের জরুরি বার্তা ১৯৪৮ সালের ২৩ নভেম্বর...
চারপাশ অন্ধকার হয়ে আসছে। বিকেলের এই সময় সূর্য ঢলে পড়লেও ঘোমটার আড়াল থেকে চোখ মেলে থাকা লাজুক বউটির মতো আলোর আবরণে চারদিক জুড়ে থাকার কথা। কিন্তু আজ মহাশক্তিধর সুয্যিমামা নিজেকে লুকিয়ে ফেলেছেন। আকাশও যেন নেমে আসছে উপুড় হয়ে।একটা বিজ্ঞাপনী সংস্থার রিসিপশনিস্ট আমি। সারাদিন অফিস করে বাড়ি ফিরে এই সময়ে ক্লান্ত শরীরে আরাম করে বসি। আমার একলা একার সংসারে হালকা বিষণ্নতায় ভুগি। একাকিত্বের যাতনা কমাতে টিভিতে সিরিয়াল দেখি। নয়তো বান্ধবীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলি। ইদানীং আরেকটা কাজে খুব সময় ব্যয় করা হয় আমার—ফেসবুকিং।কয়েক মাস আগে আমার ছোটবোন স্পর্শিয়া আমাকে ফেসবুকে একটা অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছে। প্রথম প্রথম আগ্রহ না পেলেও এখন বেশ ভালো লাগছে। ফেসবুকে ঢুকে কিছুদিন স্কুলের পুরোনো বান্ধবীদের খুঁজেছি। কারও শুধু ডাক নাম জানি। কারও ভালো নামে খুঁজেছি। মজার ব্যাপার...
মুম্বাইয়ে এক ছাত্রাবাসে থাকতেন ক্ষীণকায়, লাজুক এক তরুণ। বাড়িতে জানানো ছিল, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য মুম্বাইয়ে এসেছেন। কিন্তু প্রতিদিন সকালে ব্যাগ কাঁধে বেরিয়ে যাওয়া তরুণের আসল গন্তব্য ছিল শহরের নানা প্রান্তের অডিশন ভেন্যু। সেই তরুণের হন্যে হয়ে দৌড়ানোই আজ বলিউডের অন্যতম পরিচিত সাফল্যের গল্প। সেই ছেলেই আজকের জনপ্রিয় নায়ক কার্তিক আরিয়ান। আজ ২২ নভেম্বর তাঁর জন্মদিন।ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে এসে কার্তিক আরিয়ানের আসল নাম কার্তিক তিওয়ারি। মুম্বাইয়ে এসে তিনি ভর্তি হন নাভি মুম্বাইয়ের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে; কিন্তু সেটি ছিল মূলত পরিবারের চোখে ধুলা দেওয়া। আসলে তিনি মন দিয়ে পড়তেন অভিনয়ের খাতা। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ঘুরতেন অডিশনের লাইনে। সম্পূর্ণ অচেনা পরিচালক–প্রযোজকদের কাছে বারবার কড়া নেড়েও সহজে দরজা খুলছিল না। ফিল্ম পরিবার থেকে না আসায় সুযোগ পাওয়া ছিল সবচেয়ে বড় বাধা।তবু হাল ছাড়েননি আরিয়ান। কখনো...
সিলেবাসের বাইরের পড়ালেখার জগৎ বেশি বিস্তৃত, স্কুলজীবনে এমন অনুধাবন হয়েছিল সোহরাব আলীর। তাই প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে বাইরের বই পড়া শুরু করেছিলেন। এখন তাঁর বয়স ৭২ বছর। তাঁর পড়াশোনার উপজীব্য হয়ে উঠেছে বিশ্বসাহিত্য, দর্শন ও ইতিহাস। কৃষক হয়েই সারা জীবন একটি শোষণহীন সমাজের চিন্তায় জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। আর কৃষক-শ্রমিকদের জন্য লিখে চলেছেন গণসংগীত।কৃষক সোহরাব আলীর বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার মাদারীপুর (জমসেরপুর) গ্রামে। ইতিহাস-দর্শনের মোটা মোটা সব বই কিনে শুধু তিনি নিজেই পড়েন না, অন্য কৃষকদেরও পড়তে দেন। এমনকি যে কৃষক কোনো দিন স্কুলে যাননি, তাঁকেও তিনি পাঠক বানিয়েছেন। তাঁর লক্ষ্য কৃষকদের সত্যিকারের শিক্ষিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা।এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক গণসংগীত লিখেছেন কৃষক সোহরাব আলী। ‘কাস্তে হাতুড়ি আর গাঁইতি হাতে, দল বেঁধে ছুটি একই সাথে/ সিফটিং ভেঙে মোরা গড়ি ইমারত, আমাদের...
প্রম্পট দিয়ে লেখা ১.টেবিলের ওপর রাখা কাঁচিহঠাৎ সিদ্ধান্ত নিলআজ থেকে সে শুধু কলা কাটবে,কাগজ না।ফ্যান ঘুরতে ঘুরতে ভাবেসে কি আসলেই উড়তে পারত,যদি ছাদটা না থাকত।লিফটের ভেতরে দাঁড়িয়েএকটা কমলালেবুচুপচাপ শুনছেওপরে ওঠা-নামার গল্প।আর আমি লিখে যাচ্ছি—কেবলইঅপ্রাসঙ্গিক কথার মিছিল।২.চায়ের কাপের ভেতরেএকটা ভাঙা চামচ সাঁতার কাটছে,পাশে বসে আছে ঘড়ি,কাজে যাচ্ছে না আর।জুতোর ফিতা খুলে গেছে,কেউ বাঁধছে না,রাস্তা চুপচাপ দাঁড়িয়েগাড়ি গুনছে নিজের মনে।তুমি যদি জিজ্ঞেস করো,এটা কেন লিখলাম—আমি বলব,কোনো কারণ নেই।৩.তুমি কি জানো, অক্টোপাসের তিনটা হৃদয় থাকে?আর মজার ব্যাপার হলো, যখন সে সাঁতার কাটে তখন একটা হৃদয় থেমে যায়!তুমি অবাক তাকিয়ে আছো,আমি লিখছি।এই লেখাটার নাম কবিতা নয়—তবু পড়তে পড়তেতুমি হয়তো কবিতা ভেবেই নেবে।গন্ডার আর বিউটি পারলারের বিয়েগন্ডার আর বিউটি পারলারের বিয়েতে ল্যাপটপ এসে তুমুল গন্ডগোল করতেছে, বারবার হ্যাং হয়ে যাচ্ছে আর রি-স্টার্ট নিচ্ছে। আর ওই...
স্মৃতির দুরবিনসব স্মৃতিকে ঘুম পাড়িয়ে আজ শিকারে যাবযাওয়ার কথা উঠলেই সিঁড়িতে পায়ের ছাপযেন সমুদ্র, যেন জলের পৃষ্ঠা এ শহর,যেন শরীরজুড়ে বিপন্ন বুদ্বুদ-পারফিউমমধ্যরাতে হাওয়া আত্মসাৎ করে দীর্ঘশ্বাসের গিলোটিন,জলপতনের শব্দ আসে শিশিরখোয়া রাতের কবজিতেউড়ে যাব হাওয়াই জলে, মাছের কানকোয়ঘামের অ্যাকুয়ারিয়ামে—যেতে যেতে আকাশ বদল করে এত দূরে চলে যাবআমাকে কোথাও পাবে না, হে স্মৃতির দুরবিন!দীর্ঘশ্বাসের মতো কবিতাতোমার থাকা এবং না থাকার মাঝখানেদাঁড়িয়ে আছে হাইওয়ে ট্রেন, স্মৃতিঘর—যাবে?বৃক্ষেরা তুলে রেখেছে জলের সিগন্যাল, রজঃস্বলা পাতা!আড়চোখে তাকিয়ে আছে রাত্রি, গন্তব্যের বীজপত্র—জুতোর ভ্রমণকাহিনি পড়তে পড়তে পায়ের সাথে ঘুমিয়ে পড়েছে নিদ্রাহীন আঙুল।এখানে রোদের ছায়া, আলো ও আঁধারের পর্যটন এখানে শ্বাসনালি বেয়ে উঠে আসে নৈঃশব্দ্যের ঢেকুর—দীর্ঘশ্বাসের মতো সুদীর্ঘ কবিতা।পুনর্জন্মপ্রার্থনায় নত হলে তোমাকে পাই, পাপে ও তাপে,আর্দ্রতার কিনারে পাই ঘামের পালঙ্ক-অনিদ্রাসূচকে।বাতাসে উড়ছে ভুল বারান্দার ঝুলগন্ধম সময়ধ্যান ভাঙলে একদিন ঈশ্বরের সাথে বদলে নেব...
ধোবাউড়ার মন্দিরগোনা গ্রামে জন্ম আমার। আমি গারো সম্প্রদায়ের মেয়ে। গারোরা এমনিতেই অনগ্রসর। তবে গারো হিসেবে আমার ফুটবল ক্যারিয়ারে বাধা আসেনি। কেউ বলেনি যে ফুটবল খেলো না। আমার সম্প্রদায় নিরুৎসাহিত করেনি কখনো। তবে মেয়ে হিসেবে আমরা যে গ্রামাঞ্চলে খেলাধুলা করেছি, তাতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে।বলা হতো, গ্রামের মেয়েরা কেন ফুটবল খেলবে! তা-ও আবার হাফপ্যান্ট পরে! এটাই ছিল সবচেয়ে বড় বাধা। রক্ষণশীল সমাজ থেকে নিষেধ করা হতো ফুটবল খেলতে। বাধাটা পেয়েছি আদতে এলাকার কিছু মানুষের কাছ থেকে।অনেকে আমার মাকে বলতেন, ‘মেয়েকে খেলতে দিয়েছেন, এটা ভালো না।’ অভিভাবকেরা মেয়েদের নিষেধ করতেন ফুটবল খেলতে। বলা হতো, মেয়েরা ফুটবল খেলতে পারবে না।বাধা পেরিয়েতারপরও কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কোচ মফিজ উদ্দিন স্যার থেমে থাকেননি। সঙ্গে ছিলেন মিনতি রানী শীল ম্যাডাম। সপ্তাহে এক দিন-দুই দিন অভিভাবকদের...
যুক্তরাজ্যে আশ্রয় (অ্যাসাইলাম) ও অভিবাসন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে, যা অনেকটা ইউরোপের আরেক দেশ ডেনমার্কের অভিবাসন নীতর মতো। যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ নিয়ে কাজ করছে। নতুন নীতির কারণে আশ্রয়প্রার্থীরা নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।নতুন নীতির প্রধান উদ্দেশ্য—ছোট ছোট নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অনুপ্রবেশ ঠেকানো, হোটেলে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য সরকারের যে ব্যয় হয়, তা কমানো এবং কমসংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীকে স্থায়ী বসতির অনুমতি দেওয়া। আগামীকাল সোমবার যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ নতুন অভিবাসন নীতি হাউস অব কমন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন।যুক্তরাজ্যে গত দুই বছরে আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদনের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত আগের এক বছরে দেশটিতে ১ লাখ ১১ হাজার ৮৪ জন আশ্রয়প্রার্থী আবেদন...
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বিবিসি দুঃখ প্রকাশ করায় তিনি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আর মামলার হুমকি দেবেন না—এমনটা যাঁরা ভেবেছিলেন, তাঁরা হয়তো ভুলের মধ্যে আছেন। বিবিসির সংস্কৃতি ও গণমাধ্যমবিষয়ক সম্পাদক কেটি রাজালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিবিসির চেয়ারম্যান সামির শাহ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে মামলাবাজ ব্যক্তি হিসেবে আখ্যা দেন। বিবিসির মহাপরিচালক ও বার্তা বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের পরদিন তিনি এ সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ট্রাম্প যত মামলা করেছেন, তা থেকে সহজেই সামির শাহর বলা ‘মামলাবাজ’ কথার প্রমাণ পাওয়া যায়।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জিবি নিউজকে ট্রাম্পের দেওয়া এক সাক্ষাৎকার থেকে বোঝা যায়, বিবিসি ‘বিভ্রান্তিকরভাবে’ তাঁর বক্তব্য সম্পাদনা করায় তিনি খুবই মর্মাহত হয়েছেন।বিবিসির বিরুদ্ধে ট্রাম্প যে পরিমাণ ক্ষতিপূরণের জন্য মামলা করবেন বলে জানিয়েছিলেন, সেটির পরিমাণও এখন বাড়িয়েছেন তিনি।এখন পরিস্থিতিটা এমন যে বিবিসি আদালতে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল...
গোলসংখ্যায়, পেনাল্টিতে, অ্যাসিস্টে, ট্রফি জয়ে—ফুটবলের ব্যক্তিগত ও দলগত সব অর্জনের ঘটনায় নিয়মিতই তুলনা হয় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। পছন্দের খেলোয়াড়কে এগিয়ে রাখতে সমর্থকেরা এসব পরিসংখ্যান নিয়ে তর্কবিতর্কেও জড়িয়ে পড়েন।তবে এসব আলোচনায় অনেক ক্ষেত্রেই আড়ালে পড়ে যায় দুজনের ডিসিপ্লিনারি রেকর্ড। একটি কারণ হতে পারে মেসি ও রোনালদোর পজিশন। রক্ষণের খেলোয়াড়দের যে পরিমাণে প্রতিপক্ষকে আটকানোর কাজ করতে হয়, আর সেটা করতে গিয়ে শৃঙ্খলাবিধির জালে আটকা পড়তে হয়, ফরোয়ার্ড হওয়ার কারণে মেসি-রোনালদোর তেমন কিছুর দরকার খুব একটা পড়ে না।আবার উল্টো দিক হচ্ছে, প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের বিরক্তিকর আচরণে তাঁদের মেজাজ হারানোর পরিস্থিতিতেও পড়তে হয় প্রায়ই। এখন দেখার বিষয়, দুই দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে দুজনের কে কত বেশি মেজাজ হারিয়েছেন, যা কার্ড পর্যন্ত গড়িয়েছে।কার্ডের প্রসঙ্গটা সামনে আসার কারণ বৃহস্পতিবারের পর্তুগাল-আয়ারল্যান্ড ম্যাচ। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটিতে লাল...
বাংলায় ব্যাপকার্থে ব্যবহৃত একটি শব্দ ‘সফর’। দেশ-বিদেশ, জীবনের লম্বা পথ, ইতিহাসের পাতা, এমনকি কল্পনার রাজ্যে ঘুরে বেড়ানো ইত্যাদি নানা অর্থে সফর শব্দটির ব্যবহার দেখা যায়। মানুষ প্রকৃতিগতভাবেই ভ্রমণপিয়াসু। তাই নিজের মুখে ঝাল খাওয়া সব সময় সম্ভবপর না হলেও দুঁদে ও পোড়খাওয়া লেখকের কলমের শক্তিতে আবিষ্কার করতে চান নতুন নতুন দুনিয়া। আবার অর্থের ব্যাপকতায় আর কলমের জোরে সোজাসাপটা ভ্রমণকাহিনির বাইরে গিয়ে কল্পনাশক্তির আশ্রয়ে লেখকেরা অনেক সময় ঘরে বসেই সপ্ত আসমান, দেবলোক থেকে শুরু করে অধুনা নানা কাল্পনিক রাজ্য থেকে মহাবিশ্বের নানা কোনা পর্যন্ত ঘুরিয়ে নিয়ে আসতে পারেন পাঠককে।অন্যদিকে সাহিত্যের ব্যঙ্গাত্মক ধারাটিকে অবলম্বন করে সমাজসচেতন লেখক নানা অসংগতির কথা তুলে আনেন মজার ছলে। সমাজের নানা আইনকানুন বা ক্ষমতাসীনদের চোখরাঙানির ভয়ে অনেক সময় তাঁদের রূপকের আশ্রয় নিতে হয়। কখনো কখনো এ কাজ তাঁরা...
একটা সময় অফিসে ফাইল ঘেঁটে আর হিসাব–নিকাশ করেই কেটে যেত সারা দিন। কিন্তু আজকের দুনিয়ায় অনেক কাজেই ব্যবহৃত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং ও অটোমেশন। এখন ক্যালেন্ডার ম্যানেজ করা, প্রজেক্টের অগ্রগতি দেখা, এমনকি মিটিং মিনিটস লিখতেও নেওয়া হচ্ছে প্রযুক্তিগত সাহায্য।তাই অনেকে ভাবতে পারেন, প্রযুক্তিগত দক্ষতাই আপনার ক্যারিয়ারে সাফল্য অর্জনের জন্য যথেষ্ট, কিন্তু মোটেও তা নয়। প্রযুক্তির ব্যাপারে আপনি অভিজ্ঞ হয়েও যদি মানবিক না হোন, প্রযুক্তি ও মানুষের সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে না পারেন, তবে তা শিখে নেওয়ার এখনই সময়। ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’য় এ ব্যাপারে সম্প্রতি কথা বলেছেন শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা। চলুন, দেখা যাক কী বলছেন তাঁরা।যেসব স্কিল আপনাকে এগিয়ে রাখবেপ্রযুক্তি যত বেশি আমাদের দৈনন্দিন কাজ সহজ করছে, ততই জরুরি হয়ে উঠছে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক তৈরি ও টিকিয়ে রাখার...
ঘড়ির কাঁটা তখন দুপুর সাড়ে ১২টা ছুঁই ছুঁই। ইসলামাবাদের তরুণ আইনজীবী খালিদ খান বন্ধু ফাওয়াদ খানকে নিয়ে খাবার টেবিলে অপেক্ষা করছিলেন। বসেছিলেন ইসলামাবাদের জেলা আদালত প্রাঙ্গণের ক্যাফেটেরিয়ায়।হঠাৎ বিকট শব্দ। বিস্ফোরণের ধাক্কায় ক্যাফেটেরিয়াসহ পুরো আদালত প্রাঙ্গণ কেঁপে ওঠে। এর দুই ঘণ্টা পর আদালত প্রাঙ্গণের বাইরে খালিদের সঙ্গে কথা হয় আল-জাজিরার। তিনি বলেন, ‘শুরুতে আমার মনে হয়েছিল, মাথার ওপর ছাদ ভেঙে পড়বে।’গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই আদালতের বাইরে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এখন পর্যন্ত পাওয়া সরকারি তথ্য অনুযায়ী, হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত ও ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের অনেকের অবস্থা গুরুতর। একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী আদালত প্রাঙ্গণে ঢোকার প্রবেশমুখে সড়কে নিজেকে উড়িয়ে দেন।হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত এবং ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের অনেকের অবস্থাই গুরুতর। একজন...
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম যেসব সংবাদ প্রকাশ করছে, তা ভিত্তিহীন বলে নাকচ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যা–ই কিছু ঘটুক না কেন, ভারতের গণমাধ্যমে দোষ চাপানোর চেষ্টা করে থাকে। এমন কথা বিশ্বাসের কোনো কারণ নাই। কোনো বিবেকবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এগুলো বিশ্বাস করবে না।’গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৩ জন নিহত হন। ভারতীয় সরকার একে নাশকতা বললেও কে বা কারা এর জন্য দায়ী, তা নিশ্চিত করেনি। এখন পর্যন্ত হামলার দায়ও কেউ স্বীকার করেনি।তবে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই তৈয়বাকে দায়ী করা হচ্ছে এই হামলার জন্য। সেই সঙ্গে দাবি করা হচ্ছে যে এই গোষ্ঠী বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতে হামলা চালাচ্ছে।জুলাই অভ্যুত্থানে...
ফেসবুক থেকে
২০০০ সাল থেকে বাড়িতে প্রথম আলো আসতে শুরু করে। আমি তখন স্কুলে পড়ি। কিছুদিন পর অবাক বিস্ময়ে লক্ষ করলাম, এই পত্রিকা পড়তে পড়তে আমার ‘জীবনের লক্ষ্য’ বদলে গেছে! ছোটবেলা থেকেই দেশ-বিদেশ ঘোরার সুপ্ত ইচ্ছা ছিল। প্রথম আলোর ক্রীড়া সাংবাদিক উৎপল শুভ্রের লেখা সেটাকে যেন আরও উসকে দিল। খেলা নিয়ে প্রতিবেদন এমন স্বাদু গদ্যের হতে পারে, জানা ছিল না। খেলা বাদে বাকি সময়টুকু নানা জায়গা ঘুরে, ইতিহাস খুঁড়ে উনি পাঠকের জন্য বের করে আনছিলেন নানা মণিমাণিক্য। ক্রীড়া সাংবাদিকের ভেতরে থাকা ভ্রমণপিপাসু মনটা পাঠকদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এল। মনে মনে ঠিক করে রেখেছিলাম ক্রীড়া সাংবাদিক হতে হবে। জীবনের পাকেচক্রে সেটা না হলেও বিভিন্ন অফ-ট্র্যাক ক্রীড়ার সঙ্গে পরবর্তী জীবনে যুক্ত হলাম।এভারেস্টজয়ী পর্বতারোহী বাবর আলী
পুরান ঢাকার মানুষ, সমাজ ও সংস্কৃতির পটভূমিতে নির্মিত হচ্ছে ‘ঢাকাইয়া দেবদাস’। ছবিটি পরিচালনা করছেন জাহিদ হোসেন। প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করবেন আদর আজাদ ও শবনম বুবলী। শুক্রবার রাজধানীর একটি ক্লাবে অনুষ্ঠিত মহরত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হলো এই সিনেমার আনুষ্ঠানিক যাত্রা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছবির কলাকুশলী, প্রযোজক, পরিবেশক ও শিল্পীরা।মহরত অনুষ্ঠানের প্রশ্নোত্তর পর্বে উঠে আসে শাকিব খানের প্রসঙ্গও। সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, শাকিব-বুবলী জুটির জনপ্রিয় সময়ে অন্য নায়কদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে কি কখনো শাকিবের বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল বুবলীকে? বুবলী প্রশ্নটির সরাসরি উত্তর না দিয়ে বেশ কৌশলীভাবে বিষয়টি সামলান। বলেন, ‘আসলে শাকিব-বুবলী জুটি বরাবরই দর্শকদের পছন্দের। সেখান থেকে দর্শকদের ভালোবাসা সব সময় ছিল, আছে এবং থাকবে। আমরা শিল্পী হিসেবে কাজ করি সবাই নিজের জায়গা থেকে, নিজস্ব সত্তা নিয়ে। আমার মনে...
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, গণভোটের দাবি কোনো রাজনৈতিক দলের চাপের মুখে উপেক্ষা করলে জাতীয় নির্বাচন সংকটের মুখে পড়তে পারে। অবিলম্বে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে এবং গণভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হবে।আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনা-৫ আসনের ফুলতলা উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের যুগ্নীপাশা এলাকায় আয়োজিত ভোটার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মিয়া গোলাম পরওয়ার।মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংকট নিরসনে পারস্পরিক আলোচনার প্রস্তাবকে জামায়াতে ইসলামী স্বাগত জানিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সরকারকেই মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত আছে।জামায়াতের এই নেতা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই গণভোটের তফসিল ঘোষণা হওয়া জরুরি, এটিই হচ্ছে গণদাবি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সব রাজনৈতিক দলের...
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব বলেছেন, বাংলাদেশের আজকে যে প্রেক্ষাপট সেই প্রেক্ষাপটা অনেকটা এই ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের মতোই এই ফ্যাসিবাদকে হটানোর জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীরা এবং বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ ও সেনাবাহিনীসহ সবাই সম্মিলিতভাবে এই ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করেছে। এই বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা ও উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চায় জাতীয়তাবাদী দল। ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালি পূর্বে বক্তব্যেকালে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেল চারটায় সাইনবোর্ড পাসপোর্ট অফিসের সামনে থেকে এই বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ঢাকা - নারায়ণগঞ্জ লিংক প্রদক্ষিণ করেন। তিনি আরও বলেন, আর সেই লক্ষ্যে আগামীতে যে নির্বাচন আছে সেই নির্বাচনে আমাদের অহংকার বিএনপির...
রাজধানীর নিউমার্কেটের জিনাত বুক স্টোর। একসময় বইপ্রেমীদের পছন্দের এ জায়গা এখন আর নেই। সেখানে ঝাঁ–চকচকে মনোহারি দোকান। বইপ্রেমীদের আরেকটি তীর্থস্থান বেইলি রোডে নাটক সরণির সাগর পাবলিশার্স। সেটাও বন্ধ হয়েছে বছর দুই হলো। অমর একুশে বইমেলায়ও বেচাকেনা কমতির দিকে। এমন অনিশ্চয়তায় বই প্রকাশের সংখ্যাও কমিয়ে এনেছে সৃজনশীল বইয়ের প্রকাশনীগুলো। পাঠকখরার চিত্র পাওয়া যায় বিভিন্ন পাঠাগারেও।বই পড়া ও প্রকাশের হালহকিকত নিয়ে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে সৃজনশীল ১০টি প্রকাশনীর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং বিভিন্ন বয়সের ৩৫ জন পাঠকের সঙ্গে কথা বলা হয়। পর্যালোচনা করা হয় বইমেলায় গত পাঁচ বছরে বিক্রির হিসাব। তা থেকেই পাঠকের বইবিমুখ হওয়ার চিত্র পাওয়া গেছে।প্রযুক্তির কল্যাণে পাঠের বিষয় ও ধরনে পরিবর্তন আসার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টদের অনেকে। আবার অনেকে বলছেন, এখনকার পাঠকেরা ফিকশনের বদলে নন ফিকশনের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়েছেন। সাহিত্যানুরাগীরা...
সপ্তাহের রোববার ও বুধবার আমাদের স্কুলের মাঠে হাট বসে। দুপুর গড়িয়ে গেলেই শুরু হতো কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীদের হাঁকডাক। সময়ের সঙ্গে স্কুল মাঠে ব্যস্ততা বাড়ত। দুই হাটের দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পাঠদান চলত। জানুয়ারি মাসের এমন এক রোববারের হাটের দিন আমার জীবনের নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হলো। মাত্র কদিন হলো উচ্চমাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পা রেখেছি। পাঠ্যবই, শিক্ষকদের নিয়ে নতুন কৌতূহল। নতুন বইয়ের গন্ধ তখনো মনোমুগ্ধকর। এমন এক সকালে আমাদের গণিত শিক্ষক ইয়াকুব আলী স্যার হঠাৎ এলেন ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের ক্লাস নিতে। উত্তম কুমার স্যার সেদিন আসেননি। যে কারণে ইয়াকুব স্যারের আগমন। এখন মনে পড়লে বুঝি, ভাগ্যিস সেদিন উত্তম স্যার আসেননি। কেন সেই ঘটনা বলছি।ইয়াকুব স্যার এসেই জানতে চাইলেন, ‘আজকে রুটিনে কী পড়ানো হবে?’ আমরা সবাই একসঙ্গে বলে উঠলাম,...
প্রথম আলো ১৯৯৮ সালের ৪ নভেম্বর প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল, সেদিন যে শিশু জন্মগ্রহণ করেছিল, এখন তার বয়স ২৭ বছর। ভাবা যায়! আর ধরা যাক, প্রথম আলো প্রকাশের প্রথম সপ্তাহে ৭ বছরের যে শিশু গোল্লাছুটের ছবির ধাঁধা মিলিয়েছিল, এখন তার ৭ বছরের একটা সন্তান আছে। মজার কথা হলো, এমন পাঠক আমরা পাই, যিনি বলেন, ‘আমি প্রথম আলো পড়ে আসছি সেই প্রথম দিন থেকে, আমার মা–ও পড়তেন। তিনি আজ আর বেঁচে নেই। এখন আমার সন্তানেরা বড় হয়েছে, তারাও এই প্রথম আলো পড়ে। প্রথম আলো তো আমাদের পরিবারেরই একজন। এমনকি আমার নাতিও অনলাইনে প্রথম আলো পড়ছে।’দেশে কিংবা বিদেশে, ঢাকায় কিংবা চট্টগ্রামে, রাজশাহী কিংবা যশোরে, যেখানেই যাই, কেউ না কেউ এগিয়ে আসেন, হয়তো কেউ ম্যাজিস্ট্রেট, কেউ করপোরেট অফিসার, কেউ এনজিও নেতা, কেউ অধ্যাপনা করছেন;...
প্রতি কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণে বাংলাদেশের ব্যয় প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি, বিশ্বেও অন্যতম শীর্ষে। এরপরও মেট্রোরেলের পথে ৪৫টি ত্রুটি ও ঘাটতি থাকাটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এসব ত্রুটি ও ঘাটতির কারণে চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৩০-৪০ বার মেট্রোরেল বন্ধ রাখতে হয়েছে।গত ২৬ অক্টোবর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড নিচে পড়ে পথচারীর মৃত্যুর পর আধুনিক এই জনপরিবহনব্যবস্থার নিরাপত্তাঝুঁকি নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে (ডিএমটিসিএল) অবশ্যই জননিরাপত্তাকে কেন্দ্রে রেখে মেট্রোরেলের ত্রুটি ও ঘাটতিগুলোকে জরুরি উদ্যোগ নিয়ে কাটিয়ে উঠতে হবে। না হলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নাগরিক আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠা মেট্রোরেল নিয়েও জনমনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতে পারে।প্রথম আলোর খবর জানাচ্ছে, ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ নিজেরাই মতিঝিল-উত্তরা পর্যন্ত পথে যে ৪৫টি...
শিক্ষা কেবল বিদ্যায়তনের মধ্যে পাওয়া যায় না, জীবনের সব ক্ষেত্রেও পাওয়া যায়। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন শান্তিনিকেতনের প্রাচীরবিহীন পরিসরের মধ্যে শিক্ষা লাভ করেছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর মাতামহ ক্ষিতিমোহন সেনের বিশেষ ভূমিকা ছিল।এভাবে মুক্ত পরিসরের মধ্যে শিক্ষা লাভ করার মধ্য দিয়ে মানুষ যে সক্ষমতা অর্জন করে, সেটা তাকে স্বাধীনতা দেয়। এর মধ্য দিয়ে অমর্ত্য সেনের ক্যাপাবিলিটি অ্যাপ্রোচ শীর্ষক তত্ত্ব গড়ে ওঠে। যে শিক্ষা মানুষকে মুক্ত হওয়ার স্বাধীনতা দেয়, সেটাই প্রকৃত শিক্ষা।বিশিষ্ট দার্শনিক অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের ৯২ তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত বাংলার পাঠশালার অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অর্থনীতিবিদ ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন দপ্তর এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ বিভাগের ভূতপূর্ব পরিচালক সেলিম জাহান। ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নাট্যদল প্রাচ্যনাট স্কুলের একাডেমিক পরিচালক শহিদুল মামুন।সেলিম জাহান বলেন,...
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ নাদিম মিজানের স্ত্রী তাবাসুম আক্তার জবানবন্দিতে বলেছেন, গত বছরের ১৯ জুলাই তাঁর স্বামী জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে গিয়েছিলেন। বেলা আড়াইটার দিকে স্থানীয় লোকজন তাঁর স্বামীকে গুলিবিদ্ধ-রক্তাক্ত অবস্থায় বাসায় নিয়ে আসেন। তিনি দেখতে পান, তাঁর স্বামীর পেট থেকে রক্ত ঝরছে। স্বামীর এই অবস্থা দেখে তিনি জ্ঞান হারান।জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা একটি মামলায় আজ সোমবার তৃতীয় সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দিতে তাবাসুম এ কথাগুলো বলেন।ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পাঁচজন এই মামলার আসামি। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই মামলার বিচার চলছে। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।জবানবন্দিতে তাবাসুম বলেন, গত বছরের ১৯...
‘ক্যাঙারুর দেশ’ অস্ট্রেলিয়া যেন এক স্বপ্নের ভূখণ্ড। দিগন্তজোড়া আকাশ, সোনালি রোদে ঝলমলে সমুদ্রতট আর প্রাণবন্ত বহুসংস্কৃতির দেশ। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের মতো এখানকার শিক্ষাব্যবস্থাও সমৃদ্ধ ও বিশ্বমানের। শিক্ষার্থীদের জন্য এটি কেবল উচ্চশিক্ষার গন্তব্য নয়, বরং আত্মনির্ভরতা, গবেষণা ও আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার এক বিস্তৃত ক্ষেত্র। দেশটির ক্যানবেরা, মেলবোর্ন, সিডনি, ব্রিসবেন, অ্যাডিলেড, পার্থ শহরে রয়েছে বিশ্বের প্রথম সারির অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পড়াশোনার মধ্য কাজের সুযোগসহ নানা সুবিধার কারণে দেশটিতে বৃত্তি নিয়ে অনেকেই পড়তে যেতে চান। দিন দিন এ সংখ্যা বাড়ছে।বিশ্বমানের শিক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয়অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা, মেলবোর্ন, সিডনি, ব্রিসবেন, অ্যাডিলেড ও পার্থ শহরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বের প্রথম সারির। বিজ্ঞান, প্রকৌশল, ব্যবসা, চিকিৎসা, কৃষিবিজ্ঞান, মানবিক শাস্ত্রসহ প্রায় সব বিষয়েই এখানে আধুনিক শিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান গবেষণানির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা, ব্যবহারিক জ্ঞান ও নতুন দক্ষতা অর্জনের ওপর জোর দেয়।আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি...
অর্থনীতির স্বাস্থ্য যে মোটেই সুবিধাজনক নয়, দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলো সেই বার্তাই দিয়ে আসছিল। দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধি, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে ভাটা, মূল্যস্ফীতির চাপ—সব মিলিয়ে নাগরিকদের বিশাল একটি অংশকে কায়দা করেই জীবন যাপন করতে হচ্ছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের তিন সংস্থা যৌথ প্রতিবেদনে খাদ্যনিরাপত্তা ও অপুষ্টি নিয়ে যে তথ্য দিয়েছে, তাতে উদ্বিগ্ন না হওয়ার কোনো কারণ নেই।প্রথম আলোর খবর জানাচ্ছে, বুধবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিট এবং জাতিসংঘের এফএও, ডব্লিউএফপি ও ইউনিসেফের আইপিসি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের দুর্যাগপ্রবণ জেলাগুলোর ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় পড়তে যাচ্ছে। চরম অপুষ্টির শিকার হতে পারে ১৬ লাখ শিশু। দেশের ৩৬টি জেলায় বসবাসকারী ৯ কোটি ৬৬ লাখ মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।খাদ্যঘাটতি, অপুষ্টি ও ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে মূল্যায়নের...
বাংলাদেশের অনেক তরুণ-তরুণী উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও ক্যারিয়ার গঠনের জন্য বেছে নিচ্ছেন ‘সূর্যোদয়ের দেশ’ খ্যাত জাপানকে। উন্নত প্রযুক্তি, গবেষণাবান্ধব পরিবেশ এবং আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাব্যবস্থার কারণে জাপান এখন বিদেশে পড়াশোনার অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য।উচ্চশিক্ষা-পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মেইসেসের ম্যানেজিং পার্টনার ও চিফ কাউন্সেলর রুহাম মনজুর বলেন, জাপানের শিক্ষা-সংস্কৃতি শিক্ষার্থীদের শুধু একাডেমিক নয়, পেশাগতভাবে প্রস্তুত হতে সাহায্য করে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ফলে তাঁরা গবেষণা, ইন্টার্নশিপ ও ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার পরিকল্পনায় শক্ত ভিত গড়ে তুলতে পারেন।জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিশ্রম ও অধ্যবসায়কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন গবেষণায় ব্যস্ত থাকেন আর শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল ও সহযোগিতা পরায়ণ।আরও পড়ুনবিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে২৬ অক্টোবর ২০২৫স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে পড়াশোনার সুযোগদক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী জাপানে স্নাতক পর্যায়ে পড়তে আসেন। উচ্চমাধ্যমিকের পর সরাসরি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে...
খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের সুন্দরবনঘেঁষা কয়রা নদীর তীরে তখন সুন্দর সকাল। নদীর ওপারে ঘন সবুজে মোড়া বন, এই পারে শান্ত এক গ্রাম। নরম রোদে নদীর কলকল স্রোত যেন মিলেমিশে গেছে পাখির কূজন আর বাতাসের মৃদু ছোঁয়ায়। তীরের ধারে গামছা পেতে বসে আছেন কয়রার বগা গ্রামের মনজিত মণ্ডল। হাতে ছিপ, তাতে চিংড়ি গেঁথে নদীর বুকে ছুড়ে দিলেন বড়শি। গত মঙ্গলবার সকালে মনজিত হেসে বললেন, ‘এই তো একটু আগে এলাম, এখনো কিছু পাইনি।’ জানালেন, আগের দিন বেশ ভালোই পেয়েছিলেন—কইফুল, কাইন, দাতিনা ও গাগড়া ট্যাংরা। সেই আনন্দে আবার চার কিলোমিটার দূর থেকে চলে এসেছেন।৬২ বছরের মনজিত মণ্ডল হাতে থাকা বড়শির সুতো দেখিয়ে বললেন, এটাকে বলে প্যারাসুট সুতো। এত মজবুত যে চাইলে একটা মহিষও বাঁধা যাবে। এক কয়েল সুতোর দাম ৪০০ টাকা। ছিপের...
ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের দুর্যোগপ্রবণ জেলাগুলোর ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ বড় ধরনের খাদ্যসংকটে পড়তে যাচ্ছে। আর চরম অপুষ্টির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে ১৬ লাখ শিশু। রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ দেশের ৩৬ জেলার ৯ কোটি ৬৬ লাখের বেশি মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা ও পুষ্টি অবস্থা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য প্রকাশ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিট (এফপিএমইউ) ও জাতিসংঘের তিন সংস্থা।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় বছরের শেষ আট মাসে খাদ্যসংকটে থাকা মানুষের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে সার্বিকভাবে গত বছরের তুলনায় এ বছর খাদ্যসংকটে থাকা মানুষের সংখ্যা কমেছে।গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চীন–মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) যৌথভাবে ‘ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন’ (আইপিসি) (সমন্বিত...
নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই চাঁদপুরের মেঘনা ও পদ্মায় মাছ ধরতে শুরু করেছেন জেলেরা। তাঁদের জালে ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ, বাজারেও বেড়েছে সরবরাহ। কিন্তু এসব ইলিশের অধিকাংশই ডিমওয়ালা। স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, এতসংখ্যক ডিমওয়ালা ইলিশ ধরা পড়ায় মাছের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।মেঘনা ও পদ্মায় মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গত শনিবার রাত ১২টায়। এ সময় থেকে নদীগুলোতে ইলিশ ধরা শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল থেকে বাজারেও আসছে প্রচুর ইলিশ।আরও পড়ুনঅনলাইনে ইলিশ বিক্রির নিবন্ধন পেলেন চাঁদপুরের ৭ ব্যবসায়ী১০ অক্টোবর ২০২৫গতকাল রোববার ও আজ সোমবার মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদর, নারায়ণপুর, মুন্সীর হাট এবং মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর, সুজাতপুর ও আমিরাবাদ মাছ বাজারে ইলিশের প্রাচুর্য দেখা যায়। এগুলোর অধিকাংশই ডিমওয়ালা। তাই দামও কিছুটা কমেছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত ক্রেতাদের কাছে ছোট আকারের ইলিশ বা...
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তির আবেদনের জন্য ‘স্টেটমেন্ট অব পারপাস’ (এসওপি), অর্থাৎ অভীষ্ট লক্ষ্যের বিবৃতি লিখতে হয়। স্টেটমেন্ট অব পারপাসকে আগ্রহপত্র বা উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যের পরিকল্পনা ও ভাবনা বর্ণনাপত্রও বলা যায়। কেন পড়ব, কী পড়ব, কোন কারণে পড়তে চাই, কী গবেষণা করব, গবেষণার সঙ্গে নিজেকে কীভাবে সম্পৃক্ত করব—এসব বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর গুছিয়ে লিখতে হয় এসওপিতে। স্টেটমেন্ট অব পারপাসকে লেটার অব ইনটেন্ট বা রিসার্চ স্টেটমেন্টও বলা হয়।এসওপির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর আগ্রহ ও অভিজ্ঞতার কথা জানতে পারেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকেরা। গবেষণাধর্মী প্রোগ্রাম যেমন পিএইচডি ও বিভিন্ন মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের জন্য এসওপিতে অতীতের গবেষণা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা লিখতে হয়। পেশা-সংশ্লিষ্ট স্নাতক কোর্সের জন্য এসওপিতে অতীতের কাজের সঙ্গে পড়াশোনার সম্পর্ক ও ভবিষ্যতে কীভাবে পড়াশোনার মাধ্যমে অর্জিত দক্ষতা পেশা খাতে যুক্ত করা যাবে, সেটি...
ডিএমটিসিএলের কোনো কোনো কর্মকর্তা মনে করেন, ফার্মগেটে মেট্রোরেলের যে স্থানটিতে দুবার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছে, সেই জায়গাটিতে বড় বাঁক রয়েছে। এ ছাড়া বিজয় সরণি থেকে আস্তে আস্তে রেলপথটি ফার্মগেটে আসতে আসতে উঁচুতে উঠে গেছে।এটাকে অবশ্য দুর্ঘটনার কারণ বলতে নারাজ অধ্যাপক সামছুল হক। তিনি বলেন, বাঁক ও উঁচু হওয়া প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জের বিষয়। মেট্রোরেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নকশা এবং বাড়তি খরচ করা হয়েছে। এরপরও কেন নিরাপত্তাঝুঁকি থাকবে? এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিভিন্ন দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা, পর্যাপ্ত গবেষণার সুযোগ ও উন্নত ক্যারিয়ার গঠনের সম্ভাবনার কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশের অসংখ্য শিক্ষার্থী পাড়ি জমান বিশ্বের নানা প্রান্তে। তবে এই স্বপ্ন সফল করতে হলে প্রয়োজন আগে থেকে যথাযথ প্রস্তুতি, সঠিক পরিকল্পনা ও তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত।স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্বের নামকরা প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ই স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। এ ছাড়া পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগও আছে। জানা যাক, বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতির প্রক্রিয়া ও ধাপ সম্পর্কে।পছন্দের দেশ নির্বাচনবিদেশে পড়াশোনার পরিকল্পনার শুরুতেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে—কোন দেশে যাবেন। অর্থাৎ কোন দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, জীবনযাত্রা ও পরিবেশ আপনার লক্ষ্য ও সামর্থ্যের সঙ্গে মানানসই। শুধু ‘বিদেশ’ হলেই হবে না। কারণ, প্রতিটি দেশের শিক্ষার মান, কোর্সের কাঠামো ও শিক্ষণপদ্ধতি ভিন্ন। যেমন গবেষণাভিত্তিক শিক্ষার জন্য জার্মানি, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের...
বাবা হাসপাতালে ছিলেন দুই মাসের বেশি। ইফতেখার আহমেদ তখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। হাসপাতালেই কাটত দিন। ইফতেখার তাই বাবার বেডের নিচে বসে পড়তেন। ৫ মাস ৬ দিন চেতনাহীন থেকে বাবা যখন মারা যান, তাঁর চিকিৎসা করাতে গিয়ে পরিবারটি তত দিনে প্রায় নিঃস্ব। তবু পড়ালেখা ছাড়েননি ইফতেখার। শিক্ষক, শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতায় এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পেয়েছেন জিপিএ-৫। মোট নম্বর ১ হাজার ২৫৮। রাজশাহী কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায়ও সব বিষয়ে জিপিএ–৫ পেয়েছেন এই তরুণ। মোট নম্বর ১ হাজার ২১১।কলেজে সব বই মা কিনে দিতে পারেননি। বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে পড়তে হয়েছে। ছিল আরও নানা প্রতিবন্ধকতা। তবু কেমন করে লড়াই চালিয়ে গেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের এই তরুণ?আরও পড়ুন৪০০ প্রজাতির পাখির ছবি তুলেছেন রাজশাহীর এই দম্পতি২৫ অক্টোবর ২০২৫মেধার পরিচয় ইফতেখার যে একটু অন্য রকম, ছোটবেলাতেই সেটি টের...
শিল্পনগরী নারায়ণগঞ্জ শহরের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মুসুল্লিদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটাতে আধুনিক ওয়াশ ব্লক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া। প্রায় ছয় দশক আগে, ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত শহরের প্রাণকেন্দ্রের এই মসজিদটিতে এতদিন পর্যন্ত মুসুল্লিদের জন্য ছিল না স্বাস্থ্যসম্মত কোনো অজুখানা, প্রস্রাবখানা, এমনকি ভালো একটি পায়খানাও। জরুরি প্রয়োজনে নামাজে আগতরা জেলা আইনজীবী সমিতির পায়খানা ব্যবহার করতেন। পাশেই আদালত চত্বর ও একাধিক বিপণিবিতান থাকায় যোহরের নামাজের সময় ওজু বা বাথরুম ব্যবহারের জন্য মুসুল্লিদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। স্থানীয়রা জানান, পুরাতন কোর্ট এলাকা হওয়ায় এখানে বিচারক, আইনজীবী, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষও দূর-দূরান্ত থেকে নামাজ পড়তে আসেন। দীর্ঘদিন ধরে মসজিদ কমিটি নিয়ে রাজনৈতিক বিরোধ থাকায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন থমকে ছিল। তবে এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম...
বৈশ্বিক পোলিও নির্মূল উদ্যোগ বড় ধরনের তহবিলসংকটে পড়তে চলেছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। দ্য গ্লোবাল পোলিও ইরাডিকেশন ইনিশিয়েটিভ (জিপিইআই) নামে একটি যৌথ উদ্যোগে বিশ্বজুড়ে শিশুদের বিনা মূল্যে পোলিও টিকা খাওয়ানো হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ২০২৬ সাল নাগাদ জিপিইআইকে ৩০ শতাংশ বাজেট কমাতে হবে। আর ২০২৯ সাল নাগাদ এ উদ্যোগ ১৭০ কোটি মার্কিন ডলার তহবিলসংকটে পড়বে। এই তহবিলসংকট বিশ্বজুড়ে চলা পোলিও নির্মূল কার্যক্রমের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, দ্য গেটস ফাউন্ডেশনসহ আরও কয়েকজন অংশীদারের উদ্যোগে পোলিও নির্মূল কার্যক্রম পরিচালিত হয়।ডব্লিউএইচওর পোলিও নির্মূল কার্যক্রমের পরিচালক জামাল আহমেদ গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তহবিল উল্লেখযোগ্য হারে কমার অর্থ...নির্দিষ্ট কিছু কার্যক্রম আর চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না।সংকট মোকাবিলায় বৈশ্বিক পোলিও নির্মূলকরণ উদ্যোগ (জিপিইআই) নিজেদের সামর্থ্যকে উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায়...
ঢাকার কুড়িল থেকে সদরঘাটের দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার; এক বিকালে গুগল ম্যাপে দেখাচ্ছিল যানজট ধরে গাড়িতে এই পথ পাড়ি দিতে ১ ঘণ্টা ২৪ মিনিট লাগবে, আর যানজট না থাকলে পৌঁছনো সম্ভব ৩১ মিনিটেই। এই পথ বাসে যেতে কত সময় লাগে, বুঝতে চাইলাম এক কর্মদিবসে।৯ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার; সকাল ৮টায় কুড়িল থেকে চাপলাম বাসে। ভিক্টর ক্ল্যাসিক নামে বাসটিতে ওঠার পর মনে হলো, প্রাচীনকালের এক যানবাহনে উঠেছি; যাত্রীসেবা দিতে দিতে গাড়িটি তার নিজের অবস্থার কোনো উন্নতি করতে পারেনি। বাসের ভেতরে পেছনের দিকে জানালার পাশে একটি ফাঁকা আসন পেলাম, বসতে যেতেই হাঁটু ঠেকে গেল সামনের আসনের সঙ্গে। কোনোমতে জড়োসড়ো হয়েই বসতে হলো।সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে, রাজধানীতে চলাচল করা মিনিবাসের আসনসংখ্যা হবে চালকেরটিসহ ৩১টি। কিন্তু এই বাসে মোট ৩৯টি আসন। ফলে জড়োসড়ো হয়েই বসতে হচ্ছে যাত্রীদের।...
অফিস ২০১৬ ও অফিস ২০১৯ সংস্করণের জন্য আর কোনো প্রযুক্তি সহায়তা দেবে না মাইক্রোসফট। ১৪ অক্টোবর থেকে এই দুটি সংস্করণের জন্য আর কোনো নিরাপত্তা হালনাগাদ, ত্রুটি সংশোধন বা প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে না প্রতিষ্ঠানটি। প্রযুক্তি সহায়তা না পেলেও সফটওয়্যার দুটি ব্যবহার করা যাবে। তবে ব্যবহারকারীরা সাইবার হামলা ও নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির মুখে থাকবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।মাইক্রোসফটের তথ্যমতে, অফিস ২০১৬ সংস্করণের প্রধান সহায়তা কার্যক্রম শেষ হয় ২০২০ সালের অক্টোবরে। এর তিন বছর পর অফিস ২০১৯ সংস্করণেরও সহায়তা কার্যক্রম শেষ হয়। এবার পুরোপুরি মাইক্রোসফটের সমর্থন প্রত্যাহার হওয়ায় পুরোনো সংস্করণগুলো ব্যবহার করলে প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা এবং উৎপাদনশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আর তাই যত দ্রুত সম্ভব নতুন সংস্করণে স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিতে হবে ব্যবহারকারীদের।মাইক্রোসফট জানিয়েছে, স্কাইপ ফর বিজনেস ২০১৬ ও ২০১৯ সংস্করণের সহায়তাও এই সপ্তাহে শেষ...
শায়েস্তাগঞ্জ জংশন। এটি হবিগঞ্জ জেলার একমাত্র রেলওয়ে জংশন হিসেবে গুরুত্ব বহন করছে। ব্রিটিশ আমলে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে সেকশনের সিলেট বিভাগে পাঁচটি জংশন ছিল। এরমধ্যে অন্যতম ছিল এই জংশন। বর্তমানে প্রতিদিন এখান থেকে বিভিন্ন ট্রেনযোগে আড়াই থেকে তিন হাজার যাত্রী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করেন। ট্রেন ভ্রমণের আগে টিকিট কিনতে গেলেই বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাদের। এখানে টিকিট যেন সোনার হরিণ। মাধবপুর ও শায়েস্তাগঞ্জে শিল্পাঞ্চলে কাজ করেন দেশের বিভিন্ন জেলার কয়েক লাখ শ্রমিক। তাদের যাতায়াতের অন্যতম ভরসা এই জংশন। অথচ, টিকিটের সংখ্যা এক দশকেও বাড়েনি একটিও। অনেকেই টিকিট না পেয়ে বাধ্য হয়ে স্ট্যান্ডিং টিকিট (দাঁড়ানো টিকিট) নিয়ে প্রচণ্ড ভিড়ে ট্রেন ভ্রমণে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকে আবার ভেতরে জায়গা না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠে গন্তব্যে যাচ্ছেন। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। আরো পড়ুন:...
১০-১২ দিন আগে ফেসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছিল স্কুলের পোশাক পরা দুটি শিশুর ছবি। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছিল স্কুলের পোশাক পরা দুটো মেয়েশিশু। একটি শিশু মুখে কিছু মাখছে। আরেকটি শিশুর চুল আঁচড়ে বেঁধে দিচ্ছেন একজন নারী। পাশে ছড়ানো পলিথিনের ওপর বিছানা পাতা। মাদুর-কাঁথা-বালিশ। তার পাশে প্লাস্টিকের পানির বোতল, স্যান্ডেল ইত্যাদি। ছবি দেখলেই বোঝা যায়, ছবির তিনজনের বসবাস এই ফুটপাতেই। এ শহরে ফুটপাতে সংসার পাতার দৃশ্যে চোখ অভ্যস্ত। তবে সেই সংসারে মলিন, জীর্ণ মানুষই বেশি চোখে পড়ে। স্কুলে যাওয়ার জন্য শিশুর প্রস্ততি চোখে পড়ে না। নাগরিক জীবনের সব সুবিধাবঞ্চিত ও নিরাপত্তাঝুঁকির মধ্যে থাকা শিশু দুটোকে দেখে যেমন খারাপ লাগছিল, তেমনি ইচ্ছা করছিল এই অদম্য ইচ্ছাশক্তির শিশুদের একবার দেখে আসতে!ভাইরাল সেই পোস্টের কমেন্ট দেখে জানলাম, রাজধানীর পলাশীর মোড়ের পাশের কোনো ফুটপাতে থাকে এই শিশুরা। ১০...
আমরা যখন স্কুলে পড়েছি, তখনো ইন্টারনেট আজকের মতো এতটা বিস্তৃত পরিসরে পৌঁছায়নি। অন্তত মফস্সল শহরে বড় হওয়ায় আমার অভিজ্ঞতায় স্কুলজীবনে মুঠোফোন বলতে দেখেছি কেবল ‘বাটন ফোন’। বোধ করি, এ কারণেই বিভিন্ন খেলাধুলার পাশাপাশি অবসরের সময়টা দখল করেছিল গল্প, উপন্যাস। ইন্টারনেট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই সহজলভ্যতায় বড় হলে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠত কি না, কে জানে।‘তিন গোয়েন্দা’র স্রষ্টা রকিব হাসান প্রয়াত হয়েছেন ১৫ অক্টোবর। কখনো তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি, কথা হয়নি। তারপরও তাঁর মৃত্যুর খবরটা শুনতেই বেদনায় মনটা ছেয়ে গিয়েছিল। চোখে ভাসছিল কিশোর পাশার সঙ্গে কাটানো দিনগুলোর স্মৃতি। কবি, লেখক, সৃষ্টিশীল মানুষের প্রাপ্তি বোধ হয় এখানেই। শব্দে, অক্ষরে, চিত্রকল্পে চরিত্রের মধ্য দিয়েই তাঁরা স্থান করে নেন পাঠকের হৃদয়ে।কিশোর পাশাকে প্রথম পেয়েছিলাম পুরোনো মালামাল দিয়ে নতুন মালামাল নেওয়ার ভ্রাম্যমাণ দোকানে। তখন গ্রামে...
ছবি: ফেসবুক থেকে
বড় কিংবা ছোট—কোনো মানুষেরই এক কাঁধে ব্যাকপ্যাক বহন করা উচিত নয়। এক কাঁধে ব্যাগপ্যাক বহন করলে মেরুদণ্ডের সমস্যাসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। শিক্ষার্থীরা বইভর্তি ব্যাগপ্যাক এক কাঁধে বহন করলে মেরুদণ্ডের গ্রোথ প্লেট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কারণ শিশুদের হাড় নরম, তাদের পেশি ও লিগামেন্ট দুর্বল এবং খুবই সংবেদনশীল। প্রতিদিন এক কাঁধে ব্যাগপ্যাক বহন দীর্ঘ মেয়াদে তাদের মেরুদণ্ড ও ভঙ্গির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আরো পড়ুন: হাঁটার সময় না পেলে যে ব্যায়াম করতে পারেন ভাইকিং গোষ্ঠীপতির মৃতদেহ সৎকারের নৃশংস প্রথা এক কাঁধে ব্যাগপ্যাক বহন করার জন্য শিশুর হাঁটার ভঙ্গিতে পরিবর্তন হতে পারে বা অস্বাভাবিক ভঙ্গিতে শিশু হাঁটতে পারে। বড়দের ক্ষেত্রে এক কাঁধে ব্যাগ প্যাক বহন করার ফলে আর্থ্রাইটিস দেখা দিতে পারে। মেরুদণ্ডে ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে...
গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশ মিশন ও কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) ৫৫০ কর্মী ছাঁটাই করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এই সিদ্ধান্তের ফলে সংস্থাটির বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশ মিশন ও কর্মসূচি হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির পরিচালক ডেভ গ্যালাঘার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, জেপিএলকে ভবিষ্যতের জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুত করতে আমরা পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সংস্থার কর্মিসংখ্যা পুনর্নির্ধারণ ও কিছু পদে ছাঁটাই করা হচ্ছে।জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি থেকে পারসিভিয়ারেন্স রোভার, মার্স স্যাম্পল রিটার্ন প্রোগ্রাম এবং মার্স রিকনাইসান্স অরবিটার মহাকাশ মিশন পরিচালনা করে থাকে নাসা। শুধু তা–ই নয়, ইউরোপা ক্লিপার মিশন, গ্রহাণু অনুসন্ধানকারী ‘সাইক’ প্রোব এবং মহাকাশযানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী ‘ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক’ কর্মসূচির কার্যক্রমও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আর তাই একসঙ্গে এত বেশি...
ছবি: সুরাইয়া সরওয়ার
এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে আজ। এ ফলাফল ঘিরেই একসময় উত্তেজনা, প্রত্যাশা আর একটু ভয় মেশানো আনন্দ ছিল তারকাদের মনে। হাজারো শিক্ষার্থীর মতো দেশের এই অভিনয়শিল্পীরাও একসময় অপেক্ষা করেছিলেন এমন দিনের জন্য। কেউ পেয়েছিলেন দারুণ ফল, কেউ হয়তো ততটা নয়। কিন্তু পরের গল্পটা সবারই অনুপ্রেরণার।বেশির ভাগ তারকাই জানান, এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের দিনটি ছিল তাঁদের জন্য উৎকণ্ঠার। পরীক্ষায় কত পাবেন, আর কে কী বলবে—এগুলো নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন এই তারকারা। একসময় উৎকণ্ঠা কাটিয়ে সফলতার সঙ্গে কৃতকার্য হন সাফা কবির কবির, পূজা চেরী, তাসনিয়া ফারিণ, দীঘি, জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি, সাদিয়া আয়মান ও তটিনীরা। কে কত পেয়েছিলেন?সাফা পেয়েছিলেন ৪.৫০এক যুগের বেশি সময়ের আগের কথা। ২০১২ সালে তিনি এইচএসসি পাস করেন। ফলাফল প্রকাশের আগের রাতে চিন্তায় ঘুমাতে পারেননি সাফা। ফলাফল কী হবে—এ চিন্তাই তাঁকে সবচেয়ে...
কবিতা ও সাক্ষাৎকার শিল্পবিচারে আপাতদৃষ্টিতে পুরোপুরি বিপরীতে অবস্থিত দুই ধারা মনে হলেও, এই দুইয়ের মেলবন্ধন জন্ম দিতে পারে অভূতপূর্ব কিছু অভিজ্ঞতার। আর উভয় প্রান্তেই দুজন কবির উপস্থিতি এর মধ্যে দিতে পারে আলাদা ব্যঞ্জনা। তেমনই এক প্রকল্প শিমুল সালাহ্উদ্দিনের সাক্ষাৎকারমালা সিরিজের প্রথম বই ‘কবির মুখোমুখি কবি’। সাক্ষাৎকারগুলোতে ঢুকে পড়ার পর একেকজনের গোটা একটা দুনিয়া যেন এসে ধরা দেয় পাঠকের হাতে। আবার এত সব চোখধাঁধানো উপাদানের মধ্যে কবিতার প্রতিই কবিদের পক্ষপাতও ধরা পড়ে ক্ষণে ক্ষণে।‘শিল্পের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম কবিতা’, এমন ঘোষণা পাওয়া যায় বইয়ের শুরুতেই। মনে হতে পারে, সাক্ষাৎকারগুলো শুধু কবিতাপ্রেমী পাঠকের উদ্দেশ্যেই গ্রন্থিত। তবে শিমুল সালাহ্উদ্দিন কবিতার জগৎ বা কাব্যিকতার কোনো জ্ঞানতাত্ত্বিক বিবরণ নিয়ে হাজির না হয়ে বরং তুলে ধরেন নিজেরই বিবর্তনের ইতিহাস। কবিতাযাত্রার পাশাপাশি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে শিমুলের...
বরখাস্ত হওয়া যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন (পিটিআর) বিভাগের শিক্ষক ড. ফিরোজ কবিরকে ফেরাতে অবস্থান কর্মসূচি করেছেন একই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের সদস্য সচিব। তিনি জুলাই আন্দোলনে জুমার নামাজ পড়তে বাধা প্রদান, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারে নেতৃত্বদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হন। আরো পড়ুন: ধর্ম অবমাননার অভিযোগে খুবিতে ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার চাকসু: শিক্ষার্থীদের মতামতকে মেনে নেবে ছাত্রদল বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের নিচে পিটিআর বিভাগের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। পিটিআর বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, ড. ফিরোজ কবির স্যার পিটিআর বিভাগের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া একজন শিক্ষক। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করায় আমাদের একাডেমিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। তাকে মব তৈরির মাধ্যমে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমরা ফিরোজ...
সোনারগাঁ উপজেলার অলিপুরা থেকে কেওডালা সড়কে কাজহরদী মাদ্রাসা থেকে বিষ্ণুপুরা ব্রিজ পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার দীর্ঘদিন ধরে ভাঙাচোরা অবস্থায় থাকা সড়কটি অবশেষে সংস্কার করেছেন সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী মোহাম্মদ শাহ জালাল। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) নিজ উদ্যোগে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় এই সড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সড়কটি দিয়ে চলাচল ছিল অত্যন্ত দুরূহ। বিশেষ করে বর্ষাকালে এই সড়কে পানি জমে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তেন যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এ অবস্থায় স্থানীয় জনদুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেন শাহ জালাল। মোহাম্মদ শাহ জালাল বলেন,“এই সড়কটি সোনারগাঁওয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ পথ। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই পথ ব্যবহার করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছিল। তাই আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ হাতে নেই।...
টেলিভিশনের সামনে বসে কোনো অনুষ্ঠান দেখছেন, হঠাৎ উচ্চ শব্দে শুরু হয়ে যায় বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনের প্রচার। বিজ্ঞাপনের আওয়াজ এতটাই বেশি যে কান ঝালাপালা হওয়ার অবস্থা, দ্রুত রিমোট হাতে টেলিভিশনের শব্দ কমাতে হয়।টেলিভিশন দেখতে গিয়ে এমন অবস্থায় প্রায় সবাইকেই পড়তে হয়েছে। এটা শুধু কানের ওপর চাপ নয় বরং একধরনের মানসিক চাপও, যা ভীষণ বিরক্তিকর। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দারা। তাঁদের টেলিভিশন দেখতে গিয়ে এখন এমন যন্ত্রণায় পড়তে হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন দর্শকেরা অনেক দিন ধরেই বিজ্ঞাপন প্রচারের সময় উচ্চ শব্দ নিয়ে অভিযোগ করে আসছেন। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা শব্দের যে মাত্রায় টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখেন, বিজ্ঞাপন প্রচারের সময় তা বেড়ে যায়।নতুন এক আইন করে বাসিন্দাদের সে অত্যাচার থেকে মুক্তির ব্যবস্থা নিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া সরকার। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল অঙ্গরাজ্য।নতুন আইনে স্বাক্ষর করার পর...
ইতিহাসের প্রতি আমার টান ছোটবেলা থেকেই। যদিও পড়াশোনা ছিল বিজ্ঞান বিষয়ে, তবু মানুষের জীবন, শ্রম আর স্মৃতির বৃত্তে বাঁধা ইতিহাসই সব সময় আমাকে বেশি টেনেছে। বিশেষ করে চা-বাগান, তার প্রকৃতির সুষমা, পরিশ্রমী মানুষ আর নীরবে গড়ে ওঠা ঐতিহ্য আমার চিন্তায় আজও গেঁথে আছে।ডিনস্টন সিমেট্রির স্মৃতি১৯৭৫ সাল। আমি তখন ডিনস্টন চা-বাগানের খেজুরিছড়ায় ‘ছোট সাহেব’ হিসেবে কর্মরত। এটি ছিল একটি সেন্টার গার্ডেন যেখানে অবস্থিত ব্রিটিশ প্ল্যান্টারদের এক বড় কবরস্থান, ‘ডিনস্টন সিমেট্রি’ নামে পরিচিত। আমার নিয়মিত কাজের পাশাপাশি এই কবরস্থানের রক্ষণাবেক্ষণ করাও ছিল আমার দায়িত্বের অংশ।অবসর সময়ে প্রায়ই চলে যেতাম সেখানে। একা দাঁড়িয়ে পড়তাম টম্বস্টোনের ইংরেজিতে লেখা এপিটাফগুলো। ধীরে ধীরে অনেকগুলো মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। ভাবতাম, এই বিলাতি সাহেবরা কত দূরদেশ থেকে, স্কটল্যান্ড থেকে এসেছিলেন জীবিকার সন্ধানে। যেমন আজ আমরা বিদেশে যাই ভাগ্য অন্বেষণে,...
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় বৃদ্ধা মমতাজ বেগম (৬৯) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তাঁর নাতনি ফাউজিয়া খাতুন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে ফাউজিয়া উল্লেখ করেন, দাদির শরীরে থাকা স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাঁকে হত্যা করেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের (সুমন) কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ফাউজিয়া। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।গত রোববার রাতে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌর এলাকার সর্দারপাড়ায় নিজ বাড়িতে প্রয়াত প্রকৌশলী এস এম শফিউল্লাহর স্ত্রী মমতাজ বেগমের মরদেহ পাওয়া যায়। তাঁর মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরদিন তাঁর একমাত্র ছেলে জাকির হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার দিন রাতেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বৃদ্ধার...
কক্সবাজারের চরকিয়ার পৌরসভার একটি বাসা থেকে অপহরণের শিকার তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি ওই ছাত্রী। ছাত্রীকে উদ্ধার করা হলেও তার অপহরণকারীকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।গতকাল রাত ১১টার দিকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধারের পর চকরিয়া থানায় আনা হয় বলে জানান অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ওই ছাত্রীর অপহরণকারী একজন রোহিঙ্গা যুবক। অন্য এক রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করে চকরিয়া পৌরশহরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। সেই বাসায় অপহৃত ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতেন তিনি। ওই রোহিঙ্গা যুবক বাংলাদেশের ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করতেন বলে জানা গেছে।গতকাল রাতে চকরিয়া থানা চত্বরে...
প্রযুক্তিগত উন্নতির প্রভাবে দ্রুত বদলে যাচ্ছে আমাদের পাঠের অভ্যাস। রিলস ও শর্ট ভিডিওর যুগে মানুষের মনোযোগের সময়সীমা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। সম্প্রতি এর প্রভাব দৃশ্যমান হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সাহিত্যপাঠে। বড় উপন্যাস, মহাকাব্য ও ক্ল্যাসিক সাহিত্যের প্রতি ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ ক্রমেই কমছে।যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন সাহিত্য বিভাগগুলোতে নতুন করে ‘লং রিডিং স্কিলস’ বা ‘দীর্ঘ পাঠের দক্ষতা’ নামে আলাদা কর্মশালা চালু হয়েছে। এসব কর্মশালায় শিক্ষার্থীদের শেখানো হচ্ছে কীভাবে বড় উপন্যাস বা ক্ল্যাসিক সাহিত্যপাঠে ধৈর্য ধরে থাকা যায়, কীভাবে চরিত্র, সময় ও ভাষার স্তরগুলো বোঝা যায়। অক্সফোর্ড, সাসেক্স ও ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকেরা বলছেন, অনলাইন যুগে তরুণদের পড়ার ধরন বদলে গেছে। শিক্ষার্থীরা তাঁদের জানিয়েছেন, তাঁরা প্রতিদিন অসংখ্য ছোট লেখা, টুইট, মিম বা পোস্ট পড়েন। কিন্তু দীর্ঘ কোনো লেখা পড়তে গিয়ে...
আমি এখন যে গ্রামে এসেছি, সেই গ্রামে ১৮২৮ সালে লেখক লিও তলস্তয় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রাশিয়ার ইয়াস্নায়া পলিয়ানা নাম গ্রামটির। এটি আসলে তাঁদের পারিবারিক জমিদারির একটি অংশ। এখানে তিনি জীবনের অনেকখানি সময় কাটিয়েছেন। এখানেই লিখেছেন অমর উপন্যাস ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’, ‘আনা কারেনিনা’ এবং অসংখ্য গল্প।তলস্তয়কে আইন পড়তে কাজান শহরে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু পড়তে তাঁর ভালো লাগেনি। জমিদারি ছিল, তাই রোজগারের চিন্তাও করতে হয়নি। মাঝখানে সন্তানদের পড়ালেখার জন্য আট বছর মস্কোতে একটি বাড়ি কিনে বসবাস করেছিলেন।লিও তলস্তয় শেষ জীবনে আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকেছিলেন এবং খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন। একসময় গৃহত্যাগ করেছিলেন। ১৯১০ সালে ৮২ বছর বয়সে আস্তাপোভো রেলস্টেশনে প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে একাকী, আত্মীয়, বন্ধু থেকে দূরে, নীরবে তিনি দেহত্যাগ করেন। এরপর তাঁকে ইয়াস্নায়া পলিয়ানায় এনে সমাহিত করা হয়।ইয়াস্নায়া পলিয়ানা গ্রামে আমি যখন পৌঁছালাম,...
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু বলা, লেখা বা সেসব বিশ্বাস করার ক্ষেত্রে সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, কোনো মন্তব্য করার আগে এতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না, তা ভাবতে হবে। পাশাপাশি কোনো কিছু দেখলেই বা শুনলেই তা বিশ্বাস না করে যাচাই–বাছাই করে দেখার কথা বলেন তিনি।বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের উত্তরে তারেক রহমান এ কথা বলেন। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব আজ মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়। এই পর্বে তারেক রহমান সংস্কার, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, ওয়ান–ইলেভেন এবং রাজনীতির বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে আমি বলতে চাই যে অবশ্যই প্রত্যেক মানুষের অধিকার আছে। যেহেতু আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। মানুষের বাক্ ও ব্যক্তিস্বাধীনতায় আমরা বিশ্বাস করি। প্রত্যেক...
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহারকে মূল চ্যালেঞ্জ মনে করছে নির্বাচন কমিশন। সাংবিধানিক এই সংস্থা মনে করে, ইন্টারনেট বন্ধ করে কিংবা গতি কমিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে না। অন্যদিকে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা মনে করেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো না গেলে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা ঝুঁকিপূর্ণ হবে।আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে পৃথক সংলাপ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দুই ধাপে এই সংলাপ হয়। সকালে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার এবং বিকেলে প্রিন্ট মিডিয়ার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা সংলাপে অংশ নেন। নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকেরা তাঁদের বিভিন্ন পরামর্শ ও প্রস্তাব তুলে ধরেন। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নির্বাচনী হলফনামা, পর্যবেক্ষক সংস্থাসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।দুই ধাপের সংলাপের (সকালে ও বিকেলে)...
একটু স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য এ দেশের মানুষ জমানো টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন। কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারেন না কোথায় বিনিয়োগ করবেন। এ জন্য লোকসানেও পড়তে হয়।এ দেশে বিনিয়োগের সুযোগ বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে দ্বিধাও। যেমন শেয়ারবাজারে যাবেন নাকি নিরাপদ পথ হিসেবে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করবেন? দুই ক্ষেত্রের ঝুঁকি ও মুনাফা আলাদা রকম। আপনি কোনটা বেছে নেবেন, তা নির্ভর করে আপনার লক্ষ্য, ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা এবং বিনিয়োগের সময়সীমার ওপর।নিচে সঞ্চয়পত্র নাকি শেয়ার কিনবেন—এই দুই ধরনের বিনিয়োগের মধ্যে পার্থক্য বোঝাতে প্রধান পাঁচটি কারণ তুলে ধরা হলো।১. নিরাপত্তা বনাম ঝুঁকিসঞ্চয়পত্র সরকারনির্ভর বিনিয়োগ, তাই ঝুঁকি খুব কম। সরকার নিজেই গ্যারান্টি দেয়। তাই মূল টাকা হারানোর আশঙ্কা নেই।অন্যদিকে শেয়ারবাজারে লাভের সুযোগ বেশি। বিনিয়োগে ঝুঁকিও বেশি। বাজারের ওঠানামায় মূলধন কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এতে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন বিনিয়োগকারী।২. মুনাফার...
ছেলেবেলায় গাইবিষয়ক একটা গল্প শুনতাম। গল্পটা সোনার মোহর দেওয়া ‘কবলেষী গাই’য়ের। এই গাই অর্থাৎ গাভির নামের অর্থ তখন জানতাম না, আজও জানি না। তবে এর কাজকর্ম সম্পর্কে জানতাম। তা হলো, এই গাই ছিল উড়ুক্কু। সারা দিনমান মাঠে চরে বেড়াত। কিন্তু কিছু খেত না। রাত হলেই উড়ে আসমানে চলে যেত। সেখানে থেকে হাওয়া খেয়ে সুবহে সাদিকের আগে ফিরে আসত। এসে ভোরবেলা যে গোবর দিত, তার মাঝে সোনার মোহর পাওয়া যেত।আমাদের দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্ভবত সেই কবলেষী গাইয়ের ভূমিকায় অভিনয় করতে হচ্ছে। তাঁরা মাসে যে সম্মানী পান, তা রীতিমতো তাঁদের সম্মানহানির সমান। আর বিশেষ করে ‘টিফিন ভাতা’ নামে যে অস্বাভাবিক ভাতা পান, তা শুনে যে কেউ তাঁদের কবলেষী গাই ভেবে বসতে পারেন।আরও পড়ুনবাংলাদেশে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা, শিক্ষক ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ১৬...
আমাদের অনেক ছোটবেলায় বাসায় একটা পত্রিকা বড় ভাই কিনে আনত। সেটার নাম ছিল শুকতারা। সম্ভবত কলকাতা থেকে প্রকাশিত বাচ্চাদের পত্রিকা। ছবি আর গল্পে ভরা বাচ্চাদের মজার একটা পত্রিকা। আমি তখন একবারেই ছোট। পড়তেও পারতাম না। তবে বড় ভাইবোনদের ওই পত্রিকা নিয়ে কাড়াকাড়ি দেখে বুঝতাম মজার কিছু আছে নিশ্চয়ই তাতে।তারপর আরেকটু বড় হয়ে পেলাম কচি-কাঁচা, আরও পরে এল, মানে আমরা হাতে পেলাম টাপুর টুপুর। এগুলো আমাদের দেশের পত্রিকা। কী সুন্দর ছবি থাকত আর থাকত গল্প, ছড়া, মাঝেমধ্যে কমিকসও থাকত। ছবি আঁকতেন বিখ্যাত আর্টিস্টরা (তখন বুঝতাম না)—প্রাণেশ দাস, হাশেম খান, রফিকুন নবী। তখন আমি স্কুলে ভর্তি হয়ে পড়তে শিখে গেছি। অর্থাৎ আমার শৈশব কেটেছে এসব মজার পত্রিকা পড়ে পড়ে।এখনকার বাচ্চারা ভাগ্যবানই বলব। তারা দিব্যি এক যুগ ধরে কিশোর আলো পাচ্ছে। এ রকম...
মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে সামিয়া ইসলাম। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি ঝোঁক ছিল, তবে কখনো কোচিং বা প্রাইভেটের ওপর নির্ভর করেননি। বাবার হাত ধরেই তৈরি হয়েছে তাঁর শিক্ষাভিত্তি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে এবার তিনি যাচ্ছেন পৃথিবীর অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় অক্সফোর্ডে। পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে পাঁচ বছরের পিএইচডি প্রোগ্রামে পড়বেন সেখানে।ঢাবি থেকে জাবি, সেখান থেকে অক্সফোর্ডঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন সামিয়া ইসলাম। কিন্তু তাঁর মনে ছিল অর্থনীতি নিয়ে পড়ার স্বপ্ন। তাই এক বছর পর ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে। শুরু থেকেই ইচ্ছা ছিল বিশ্বের প্রথম সারির কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার। স্নাতকোত্তরের ফলাফল হাতে পাওয়ার আগেই তৈরি করতে শুরু করেছিলেন নিজের প্রোফাইল। অক্সফোর্ড ছাড়াও ইয়েল, ওয়ারউইক ও ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডাক দিয়েছিল। তবে তত্ত্বীয় অর্থনীতিতে বিশেষ আগ্রহ...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেওয়া নতুন সিদ্ধান্তে এইচ–১বি ভিসা (যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ কাজের ভিসা, যা বিদেশি দক্ষ পেশাজীবীদের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কাজের অনুমতি দেয়) ব্যবস্থা বড় ধরনের পরিবর্তনের মুখে পড়তে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের পড়তে যাওয়া নিরুৎসাহিত করবে, যা দীর্ঘ মেয়াদে দেশটির প্রযুক্তি খাতের কর্মী সরবরাহের ধারা ভেঙে দিতে পারে।গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস হঠাৎ ঘোষণা দেয়, বিদেশি কর্মী নিয়োগে কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে এক লাখ ডলার অতিরিক্ত ফি নেওয়া হবে। এ ঘোষণা বিশেষ করে ভারতের আইটি পেশাজীবী ও চিকিৎসকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কারণ, বর্তমানে এইচ–১বি ভিসাধারীদের মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি ভারতীয় নাগরিক। পরবর্তী সময় হোয়াইট হাউস স্পষ্ট করে জানায়, এই ফি কেবল নতুন আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এবং চিকিৎসকেরা এর আওতার বাইরে থাকতে পারেন।তবে আসল...
গতকাল হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের চলে যাওয়ার দিন। ১৯৮৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ৬৯ বছর বয়সে কলকাতায় মৃত্যু হয় তাঁর। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের স্মরণে জাহীদ রেজা নূরের ‘হেমন্ত হয়ে ওঠার গল্প’ শীর্ষক লেখাটি আবার প্রকাশ করা হলো।হেমন্ত মুখোপাধ্যায় বাংলা সংগীতজগৎকে বিশাল উচ্চতায় তুলে ধরেছেন। গান গেয়েছেন, সুর করেছেন, অনন্য সৌন্দর্যে ভরিয়ে দিয়েছেন সংগীতবলয়কে। ‘কথা কয়ো নাকো, শুধু শোনো’; ‘শুধু শোনো’ উচ্চারণের ঢঙেই আধুনিক গান প্রবেশ করেছে নতুন এক বাস্তবতায়, যা প্রচলিত উচ্চারণের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে এক নতুন সম্ভাবনাকে। নিচের এই লেখায় থাকল সংগীতজীবনের শুরুর কথা, যার মধ্যে আমরা দেখতে পাব হেমন্তের খুব কাছের বন্ধু সুভাষ মুখোপাধ্যায়কেও। গত শতাব্দীর আশির দশকের কথা। বঙ্গসংস্কৃতি সম্মেলন হচ্ছে কলকাতার ময়দানে। সম্মেলনের এক সন্ধ্যায় ছিল দুই বন্ধুর আড্ডা। গল্প, গান আর কবিতা দিয়ে পূর্ণ ছিল সে আয়োজন। বন্ধু...
শারদীয় দুর্গাপূজা একেবারে দোরগোড়ায়। আগামী রোববার মহাষষ্ঠী থেকে শুরু আর ২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এই উৎসব। এরই মধ্যে সাগরে একটি লঘুচাপ এখন নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পথে। লঘুচাপ হওয়ার পর এর প্রভাবে সাধারণত বৃষ্টি হয়। পূজার মধ্যে আবহাওয়া কেমন থাকবে, সে সম্পর্কে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা। ইতিমধ্যে মহালয়ার মাধ্যমে দেবীপক্ষের শুরু হয়ে যায়। পূজার একধরনের আনুষ্ঠানিকতা তখনই শুরু হয়েছে। আগামী রোববার মহাষষ্ঠী। পরদিন সোমবার মহাসপ্তমীতে মূল উৎসব শুরু।আজ শুক্রবার আবহাওয়া অফিস লঘুচাপের কারণে দেশের চার বন্দরে সতর্কসংকেত জারি করেছে। এ লঘুচাপ নিম্নচাপ হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা। তিনি আজ প্রথম আলোকে বলেন, লঘুচাপটি মূলত অবস্থান নিয়েছে ভারতের ওডিশা উপকূলে। এটি নিম্নচাপে পরিণত হলে এর প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলে কিছুটা...
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি এখন আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে। এর প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের উপকূলে। আর এ জন্য দেশের চার বন্দরকে সতর্কসংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া আজ শুক্রবারের সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ভারতের ওডিশা-অন্ধ্র উপকূলের কাছে উত্তর–পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় থাকা লঘুচাপটি আজ সকাল ৬টায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি উত্তর–পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছের মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা আজ প্রথম আলোকে বলেন, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলে কিছুটা পড়তে পারে। তবে দেশের অন্যত্র তেমন প্রভাব পড়ার আশঙ্কা কম।আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ু চাপের...
চোখ বন্ধ করে আজ থেকে কয়েক শ বছর পরের পৃথিবীর কথা ভাবুন। মানুষ হয়তো তখন নভোযানে চড়ে এক গ্যালাক্সি থেকে আরেক গ্যালাক্সিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হয়তো বাস করছে নভোযানে কিংবা সমুদ্রের তলদেশে। আবার বেগুনি আকাশ আছে, এমন কোনো গ্রহেও পাড়ি জমাতে পারে। এবার কল্পনা করুন, শত শত বছর পরের একটি বেডরুম। আপনি সেখানে বসে আছেন। ঘরের জানালা দিয়ে হয়তো দেখছেন শনির বলয় বা সমুদ্রের তলদেশের রহস্য। এবার নিজেকে একটা প্রশ্ন করুন। আপনার সেই কল্পিত ঘরে কি কোনো বই থাকবে?এবার চোখ খুলুন। সম্ভবত আপনার হাতের নাগালেই কোনো না কোনো বই আছে। বিছানার আশপাশে কিংবা খাটের নিচেও থাকতে পারে। কিন্তু কেন? পডকাস্ট আর অডিওবুকের এই যুগেও কেন বই টিকে আছে? আমরা তো এখন চাইলে প্রায় সবই শুনে নিতে পারি। তাহলে বই পড়ার গুরুত্বটা...
বাসমতী ছাড়া অন্য চাল রপ্তানিতে নতুন শর্ত আরোপ করেছে ভারত। শর্ত হলো-এখন থেকে বাসমতী ছাড়া অন্যান্য চাল রপ্তানি করতে হলে অবশ্যই কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এপিইডিএ) নিবন্ধন নিতে হবে।গতকাল ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য দপ্তর (ডিজিএফটি) এই সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। নতুন শর্ত অনুযায়ী, এ ধরনের চাল (নন বাসমতী) কেবল এপিডিএর সঙ্গে চুক্তি নিবন্ধনের পরই রপ্তানি করা যাবে।বাংলাদেশ হলো ভারত থেকে নন বাসমতী বা সাধারণ চালের অন্যতম বড় আমদানিকারক দেশ। গত অর্থবছরে ৬ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন বাংলাদেশ সরকার। আমদানি করা চালের সিংহভাগই এসেছে ভারত থেকে।ভারতের নতুন শর্তের কারণে চাল আমদানিতে নতুন করে অশুল্ক বাধা সৃষ্টি হতে পারে। যা চাল আমদানিতে প্রভাব পড়তে পারে। ভারত ছাড়াও পাকিস্তান, ভিয়েতনামসহ কয়েকটি দেশ থেকেও চাল আমদানি করে থাকে বাংলাদেশ।এমন একসময় ভারত...
যখন আমি শিশু ছিলাম, তখন আফগানরা বিদেশে তাঁদের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলার জন্য পাকিস্তান যেতে বাধ্য হতেন। আজ আমরা আবার এক ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছি। আমাদের হয়তো কেবল ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য প্রতিবেশী কোনো দেশে যেতে হবে।গত সপ্তাহে কাবুল, কান্দাহার, হেলমান্দ, বলখসহ কয়েকটি প্রদেশে ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। এ পদক্ষেপ সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদি তালেবান নেতৃত্ব তাঁদের নীতি পুনর্বিবেচনা না করেন, আফগানিস্তান বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।শিগগিরই আপনি হয়তো আমার লেখা এবং লাখ লাখ আফগান নাগরিকের গল্প পড়তেও পারবেন না। কারণ, আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারব না। পুরো দেশে একটি নিঃশব্দ পরিবেশ বিরাজ করবে।আরও পড়ুনতালেবানের ভেতরে বিদ্রোহের শঙ্কা, সংকটে আফগানিস্তান?২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫বলখ প্রদেশে ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার পর বলখের প্রাদেশিক সরকারের...
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় স্কুলছাত্রী তাসনিয়া খাতুনের হত্যার প্রতিবাদ ও জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বটতলী বাজারে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে তার সহপাঠী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা অংশ নেন।তাসনিয়া বড়তাড়া ইউনিয়নের শালবন গ্রামের বাসিন্দা ও বটতলী সানরাইজ মডেল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সে। দুই দিন পর শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী একরামুল হোসেনের গোয়ালঘর থেকে শিশুটির বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।আরও পড়ুনজয়পুরহাটে নিখোঁজের দুই দিন পর শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার, দুই নারী আটক২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বটতলী সানরাইজ মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহবুবর রহমান, শালবন মাদ্রাসার মহতামিম মাওলানা উসমানী, ক্ষেতলাল পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল আলিম, বড়তাড়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নরুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর ক্ষেতলাল পৌর শাখার সেক্রেটারি...
প্রাণীদের মতো না হোক, জড় পদার্থও কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলে। যেমন পানি কেন ১০০ ডিগ্রিতে ফোটে? লোহার টুকরা কীভাবে বোঝে চুম্বকের আকর্ষণে ছুটে যেতে হবে? জড় পদার্থগুলো এসব নিয়মের বেড়াজালে কেন বাঁধা পড়ল?আসলে প্রকৃতির এই নীতিগুলোই পদার্থবিদ্যার সূত্র ‘ফিজিক্যাল ল’। এগুলোরও সুনির্দিষ্ট চরিত্র বা ধর্ম আছে। সেই ধর্মই ঠিক করে দেয় প্রাকৃতিক বস্তুগুলো কেমন আচরণ করবে।পদার্থবিজ্ঞান অত্যন্ত জটিল, কিন্তু এর মূল কাজ সরলীকরণ করা। অর্থাৎ প্রকৃতির জটিল সূত্রগুলোর মধ্যে যোগসাজশ খুঁজে একটা সরল উপসংহারে পৌঁছানো। প্রকৃতি আসলে সরলীকরণ ভালোবাসে। পদার্থবিজ্ঞানের মাধ্যমেই সরলীকরণের সেই পথ খুঁজে পাওয়া সম্ভব।শিক্ষার্থীদের কাছে পদার্থবিজ্ঞানের জগৎটা অনুভব করা অতটা সহজ নয়। কিন্তু শিক্ষক যদি নিজেই বিজ্ঞানী হন, তাঁর জন্য পদার্থবিজ্ঞানের সেই জটিল জগতের ছবি শিক্ষার্থীদের এঁকে দেখানো সহজ হয়ে ওঠে অনেকটাই। আর এ কাজে সবচেয়ে...
রাজধানী ঢাকায় সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে শুরু হওয়া অবিরাম বর্ষণে জনজীবন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বিশেষ করে হাজারীবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, মিরপুর, ধানমন্ডি, আজিমপুর ও মোহাম্মদপুরে সড়কজুড়ে হাঁটুপানি জমে আছে। যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষকে পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে। সকালবেলা অফিস ও স্কুলগামীদের দুর্ভোগ ছিল সবচেয়ে বেশি। অনেক জায়গায় সিএনজি, বাস এমনকি রিকশাও চলেনি। বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটেই রওনা হয়েছেন অনেকে। পুরান ঢাকার সুরিটোলা থেকে গুলিস্তান অভিমুখে হাঁটতে থাকা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সুমন হোসেন বলেন, সকাল ৮টায় বের হয়েছিলাম। ৯টা বাজলেও রাস্তায় কোনো গাড়ি পাচ্ছিলাম না। সুরিটোলা গলিতে হাঁটুপানি, আশপাশে থেমে থাকা গাড়ির লাইন। শেষমেশ জুতা হাতে নিয়ে পানি মাড়িয়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করি। ভিজেই অফিসে পৌঁছাতে...
প্রতিবেশী এক বন্ধুর আত্মীয়ের জানাজায় যাচ্ছিলেন ইশতিয়াক আহমেদ। পথে দ্রুতগামী একটি বাস তাঁকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ফেনী কলেজ থেকে সদ্য স্নাতকোত্তর পাস করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। জানাজার নামাজ পড়তে গিয়ে লাশ হয়ে গেলেন ২৭ বছর বয়সী তরতাজা এই যুবক। কে জানত, অল্প সময়ের ব্যবধানে তাঁর জানাজাও পড়তে হবে স্বজনদের।আজ রোববার বিকেলে ফেনী-সোনাগাজী আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার গোবিন্দপুর বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইশতিয়াক ফেনী সদর উপজেলার কালীদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবীর আহমদের ছেলে।নিহত ব্যক্তির বন্ধু ও স্বজনেরা জানান, আজ বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রতিবেশী এক বন্ধুর নানির জানাজায় যাচ্ছিলেন ইশতিয়াক আহমেদ। ফেনী-সোনাগাজী আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার গোবিন্দপুর বটতলা এলাকায় এলে দ্রুতগতির একটি বাস তাঁকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এ সময়...
শিশুদের হাড় নরম, পেশি ও লিগামেন্ট দুর্বল এবং মেরুদণ্ডের গ্রোথ প্লেট খুবই সংবেদনশীল। প্রতিদিন ভারী ব্যাগ বহন করলে শুধু সাময়িক অস্বস্তি নয়, বরং দীর্ঘ মেয়াদে তাদের মেরুদণ্ড ও ভঙ্গির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।ভারী ব্যাগ বহনের কারণে যেসব সমস্যা হতে পারে:পেশি ও হাড়সংক্রান্ত সমস্যাপেশি ও লিগামেন্টে টান পড়তে পারে। লাম্বার স্ট্রেইন ও মেরুদণ্ডের আশপাশের মাংসপেশিতে সমস্যা হতে পারে। কুঁজো হয়ে যাওয়া, কাঁধ সামনের দিকে চলে আসা, ফরওয়ার্ড হেড পোশ্চার বা মাথা ঝুঁকে চলার ভঙ্গি, স্কোলিওসিস এবং কাইফোসিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে। বিশেষ করে যদি এক কাঁধে ঝোলানো হয়, ভার বহনের কারণে মেরুদণ্ডের হাড়ের সঠিক বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে।নিউরোলজিক্যাল বা স্নায়ুজনিত সমস্যা ব্যাগের স্ট্র্যাপে চাপ পড়ায় ব্রাকিয়াল প্লেক্সাসে চাপ পড়তে পারে এবং নার্ভে সমস্যা হতে পারে। অন্যান্য সমস্যা শিশুর হাঁটার ভঙ্গিতে পরিবর্তন হয় বা অস্বাভাবিক হয়ে...
সাজ্জাদ হায়দার কথাসাহিত্যিক হিসেবে সুপরিচিত নন। তাঁর লেখা অলৌকিকপুরের দুই রূপসী একটি সাহিত্য পত্রিকায় ছাপা হলেও আলোচনার অভাবে বহুল পঠিত হয়নি। বই আকারে বের হওয়ার পরও এটি নানা কারণে অনাদৃত ছিল। এখনো মনে হয় তেমনই আছে। অভিনব উপন্যাস লিখেছেন সাজ্জাদ। অ্যালিগরিক্যাল, রূপকধর্মী কাহিনিতে মিশেছে পরাবাস্তববাদ আর ম্যাজিক রিয়েলিজম।সাজ্জাদ হায়দারের এই বই পড়তে গিয়ে রোমকূপ দাঁড়িয়ে যায়। কয়েকটি প্রধান চরিত্র, কিন্তু বিষয়ে রয়েছে মিথের গাম্ভীর্য আর ভয়ানকের পদধ্বনি। ক্রমে শুকিয়ে যাওয়া নদী আর স্থির অনড় বটগাছ, দুই বৃদ্ধা ভিক্ষুক এবং নদীর তীরবর্তী গ্রাম—এসব নিয়েই কাহিনির শুরু। নদীতীরে দাঁড়িয়ে থাকা বটগাছে থাকে এক অদৃশ্য সিদ্ধপুরুষ। একদিন সেই পুরুষ স্বরূপে দেখা দেবে, গ্রামবাসীকে বর দেবে আর সেই বরে গ্রামের তিন শ পরিবারের ভাগ্য ফিরবে। এই বিশ্বাসে শত অভাবেও গ্রামবাসী গ্রাম ছেড়ে যায় না।...
তিন দিন ধরে নোয়াখালী পৌরসভার সরবরাহ করা সুপেয় পানি পাচ্ছেন না শহরের সার্কিট হাউস এলাকার বাসিন্দা ফরহাদ কিসলু। পানি না পেয়ে রান্নাসহ গৃহস্থালির নানা কাজ করতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাঁর পরিবারের সদস্যদের। বোতলজাত পানি কিনে পান করতে হচ্ছে তাঁদের।শুধু ফরহাদ কিসলুই নন, তাঁর মতো একই ভোগান্তিতে রয়েছেন নোয়াখালী পৌরসভার অনেক বাসিন্দা। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পানির সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় তাঁদের এই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।নোয়াখালী পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সরবরাহ করা পানির গ্রাহকসংখ্যা প্রায় সাত হাজার। বিভিন্ন স্থানে বসানো ১২টি বৈদ্যুতিক পাম্পের সাহায্যে ভূগর্ভ থেকে পানি তোলার পর তা পরিশোধন করে গ্রাহকদের সরবরাহ করা হয়। প্রতিদিন এক কোটি লিটার পানি সরবরাহ করতে পারে পৌর কর্তৃপক্ষ। তবে গত কয়েক দিনে ১২টি পাম্পের ৬টি বিকল হয়ে পড়ায় পানি সরবরাহও অর্ধেকে নেমে এসেছে। প্রতিদিন ৫০ লাখ লিটারের মতো...
কমরেড বদরুদ্দীন উমর জীবনে কখনো কম্প্রোমাইজ করেননি, তার কাছ থেকে অনেক কিছুই শেখার আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে বদরুদ্দীন উমরের স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি। আরো পড়ুন: বিপ্লব সফল করতে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে: ফখরুল ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে: ফখরুল মির্জা ফখরুল বলেন, “আজ আমরা যারা রাজনীতি করছি তারা কমরেড বদরুদ্দীন উমর সাহেবের কাছে খুবই ছোট, কারণ তিনি কখনো কম্প্রোমাইজ করেননি। আজকে যারা নতুন প্রজন্মের তারা বদরুদ্দীন উমরের কাছ থেকে কতটুকু নিতে পেরেছেন তা আমার জানা নেই।” “বদরুদ্দীন উমর একটা কথা বলতেন–সংগঠন, সংগঠন, সংগঠন। বিপ্লব তখনই সফল হয় যখন সংগঠন থাকে। আজ যে হতাশা এসেছে তার মূল...
কোরআনে সুরা ফিল-এ আল্লাহ তাআলা বাদশাহ আবরাহা এবং সেনাবাহিনী ধ্বংসকারী হিসেবে একটি পাখির উল্লেখ করেছেন। অনেকেই পাখিটিকে ‘আবাবিল’ পাখি হিসেবে চিনে থাকে। বস্তুত কোরআনে বর্ণিত এই পাখির নাম আবাবিল নয়। আবাবিল শব্দের অর্থ পাখির ঝাঁক। যেহেতু আল্লাহ তাআলা ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি প্রেরণ করেছিলেন এবং আল-কোরআনেও ‘ত্বইরান আবাবিল’ বলা হয়েছে, সেহেতু অনেকে এই পাখিকে আবাবিল পাখি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।সুরা ফিল-এর অনুবাদ‘(হে নবী) আপনি কি দেখেননি আপনার প্রভু হস্তী বাহিনীর সঙ্গে কী আচরণ করেছিলেন? তিনি কি তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেননি? তিনি তাদের বিরুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি, যারা তাদের ওপর পাথরের কাঁকর নিক্ষেপ করেছিল, আর তিনি তাদের করলেন ভক্ষিত তৃণ-ঘাসের মতো।’আরও পড়ুনসুরা ফিলের সারসংক্ষেপ১৯ জানুয়ারি ২০২৫আবাবিল পাখির আকৃতি নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে। কেউ বলেছেন, এরা ছিল চড়ুই-জাতীয় ক্ষুদ্র পাখি, আবার কেউ বলেছেন...
