টেলিভিশনের সামনে বসে কোনো অনুষ্ঠান দেখছেন, হঠাৎ উচ্চ শব্দে শুরু হয়ে যায় বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনের প্রচার। বিজ্ঞাপনের আওয়াজ এতটাই বেশি যে কান ঝালাপালা হওয়ার অবস্থা, দ্রুত রিমোট হাতে টেলিভিশনের শব্দ কমাতে হয়।

টেলিভিশন দেখতে গিয়ে এমন অবস্থায় প্রায় সবাইকেই পড়তে হয়েছে। এটা শুধু কানের ওপর চাপ নয় বরং একধরনের মানসিক চাপও, যা ভীষণ বিরক্তিকর। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দারা। তাঁদের টেলিভিশন দেখতে গিয়ে এখন এমন যন্ত্রণায় পড়তে হচ্ছে না।

যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন দর্শকেরা অনেক দিন ধরেই বিজ্ঞাপন প্রচারের সময় উচ্চ শব্দ নিয়ে অভিযোগ করে আসছেন। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা শব্দের যে মাত্রায় টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখেন, বিজ্ঞাপন প্রচারের সময় তা বেড়ে যায়।

নতুন এক আইন করে বাসিন্দাদের সে অত্যাচার থেকে মুক্তির ব্যবস্থা নিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া সরকার। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল অঙ্গরাজ্য।

নতুন আইনে স্বাক্ষর করার পর ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম বলেন, ‘আমরা ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দাদের দাবি খুবই স্পষ্টভাবে শুনতে পেয়েছি। আমরা স্পষ্টভাবে যা শুনতে পেয়েছি তা হলো, তাঁরা বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনগুলো বেশি শব্দে শুনতে চাইছেন না। তাঁরা যে অনুষ্ঠান উপভোগ করছিলেন, সেটির চেয়ে উচ্চ শব্দে তাঁরা বিজ্ঞাপন শুনতে চান না।’

নতুন আইনটি শুধু রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এবং কেব্‌ল টিভি সরবরাহকারীদের বেলায় প্রযোজ্য নয়, বরং বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা নেটফ্লিক্স, ইউটিউব, ডিজনি প্লাসের মতো স্ট্রিমিং সেবার জন্যও প্রযোজ্য।

ইন্টারনেট ব্যবহার করে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে স্ট্রিমিং সেবা উপভোগ করা যায়। ক্যালিফোর্নিয়ায় গত সোমবার থেকে নতুন আইনটি কার্যকর হয়েছে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে টেলিভিশন ও রেডিওতে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে শব্দের মাত্রা নিয়ে আইন কার্যকর আছে।

কমার্শিয়াল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট লাউডনেস মিটিগেশন (সিএএলএম) নামে ওই আইনটি ২০১০ সালে মার্কিন কংগ্রেসে পাস হয়। সোমবার থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় যে আইন কার্যকর হয়েছে তাতে অঙ্গরাজ্যটিতে স্ট্রিমিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও বারাক ওবামা আমলের আইনের অধীন বিজ্ঞাপন প্রচারের নিয়ম মেনে চলতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যালিফোর্নিয়ায় টেলিভিশনে উচ্চ শব্দে বিজ্ঞাপন আর নয়

টেলিভিশনের সামনে বসে কোনো অনুষ্ঠান দেখছেন, হঠাৎ উচ্চ শব্দে শুরু হয়ে যায় বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনের প্রচার। বিজ্ঞাপনের আওয়াজ এতটাই বেশি যে কান ঝালাপালা হওয়ার অবস্থা, দ্রুত রিমোট হাতে টেলিভিশনের শব্দ কমাতে হয়।

টেলিভিশন দেখতে গিয়ে এমন অবস্থায় প্রায় সবাইকেই পড়তে হয়েছে। এটা শুধু কানের ওপর চাপ নয় বরং একধরনের মানসিক চাপও, যা ভীষণ বিরক্তিকর। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দারা। তাঁদের টেলিভিশন দেখতে গিয়ে এখন এমন যন্ত্রণায় পড়তে হচ্ছে না।

যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন দর্শকেরা অনেক দিন ধরেই বিজ্ঞাপন প্রচারের সময় উচ্চ শব্দ নিয়ে অভিযোগ করে আসছেন। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা শব্দের যে মাত্রায় টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখেন, বিজ্ঞাপন প্রচারের সময় তা বেড়ে যায়।

নতুন এক আইন করে বাসিন্দাদের সে অত্যাচার থেকে মুক্তির ব্যবস্থা নিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া সরকার। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল অঙ্গরাজ্য।

নতুন আইনে স্বাক্ষর করার পর ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম বলেন, ‘আমরা ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দাদের দাবি খুবই স্পষ্টভাবে শুনতে পেয়েছি। আমরা স্পষ্টভাবে যা শুনতে পেয়েছি তা হলো, তাঁরা বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনগুলো বেশি শব্দে শুনতে চাইছেন না। তাঁরা যে অনুষ্ঠান উপভোগ করছিলেন, সেটির চেয়ে উচ্চ শব্দে তাঁরা বিজ্ঞাপন শুনতে চান না।’

নতুন আইনটি শুধু রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এবং কেব্‌ল টিভি সরবরাহকারীদের বেলায় প্রযোজ্য নয়, বরং বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা নেটফ্লিক্স, ইউটিউব, ডিজনি প্লাসের মতো স্ট্রিমিং সেবার জন্যও প্রযোজ্য।

ইন্টারনেট ব্যবহার করে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে স্ট্রিমিং সেবা উপভোগ করা যায়। ক্যালিফোর্নিয়ায় গত সোমবার থেকে নতুন আইনটি কার্যকর হয়েছে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে টেলিভিশন ও রেডিওতে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে শব্দের মাত্রা নিয়ে আইন কার্যকর আছে।

কমার্শিয়াল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট লাউডনেস মিটিগেশন (সিএএলএম) নামে ওই আইনটি ২০১০ সালে মার্কিন কংগ্রেসে পাস হয়। সোমবার থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় যে আইন কার্যকর হয়েছে তাতে অঙ্গরাজ্যটিতে স্ট্রিমিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও বারাক ওবামা আমলের আইনের অধীন বিজ্ঞাপন প্রচারের নিয়ম মেনে চলতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ