রাজধানীর পুরান পল্টনের সাব্বির টাওয়ারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৮ ইউনিট।

শনিবার (৪ মে) রাত ৮টা ২৫ মিনিটের দিকে পল্টনের সাব্বির টাওয়ারের একেবারে উপরের তলায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এছাড়া প্রাথমিকভাবে আগুনে কেউ হতাহতের তথ্যও পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে সুতার কারখানা ও ঝুট গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩

অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম 

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো থেকে বহু কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা 

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) ১ হাজার ২০০ কর্মী কমানোর পরিকল্পনা করেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এ ছাড়া অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা থেকেও বহু কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা হচ্ছে। সিআইএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গোয়েন্দা সংস্থা থেকে এই ছাঁটাই প্রক্রিয়ার বিষয়টি কংগ্রেস সদস্যদের জানানো হয়েছে। কয়েক বছর ধরে এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হবে। সরকার বলছে, মূলত নতুন নিয়োগ কমিয়ে পদ কমানো হবে, কর্মী ছাঁটায়ের মাধ্যমে নয়।

কর্মী কমানোর ব্যাপারে জানতে সিআইএর এক মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওয়াশিংটন পোস্ট। তবে তিনি নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেননি। তিনি বলেন, সিআইএর পরিচালক জন র‍্যাটক্লিফ এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে চলেছেন। প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা অগ্রাধিকারের প্রতি সিআইএ যাতে দ্রুত সাড়া দিতে পারে, তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন পরিচালক। ওই মুখপাত্র বলেন, এই পদক্ষেপগুলো সিআইএকে নতুন শক্তিতে উজ্জীবিত করবে। উদীয়মান নেতৃত্ব সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হবে। সিআইএর লক্ষ্য পূরণ ও সংস্থাটির কার্যক্রম শক্তিশালী করতে সামগ্রিক কৌশলের অংশ হিসেবে এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে কয়েকশ লোক অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন, যারা ইতোমধ্যেই অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। 

জানুয়ারিতে সিআইএর পরিচালক হিসেবে জন র‍্যাটক্লিফকে নিয়োগ দেন ট্রাম্প। ওই সময় তিনি গণমাধ্যমে বলেন, তাঁর নেতৃত্বে সংস্থাটি অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ ও বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ তৈরি করে তথ্য আদান-প্রদানে ভূমিকা রাখবে। তিনি এও বলেছিলেন, রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত কোনো পক্ষপাতমূলক আচরণ যাতে সিআইএর ওপর প্রভাব না ফেলতে পারে, সেদিকে তিনি দৃষ্টি দেবেন।   

জন র‍্যাটক্লিফের বক্তব্য ছিল, ‘পরিস্থিতি যতই কঠিন বা প্রতিকূল হোক না কেন, আমরা বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করব। প্রেসিডেন্টের নির্দেশনায় গোপন অভিযান পরিচালনা করব। অন্যরা যা করতে পারে না, আমরা তা করে দেখাব।’  

ট্রাম্পের সরকারি সংস্থাগুলোর আকার ছোট করার নীতির অংশ হিসেবে অনেক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হবে বলে গত মার্চ মাসে ইঙ্গিত দিয়েছিল সিআইএ। সংস্থাটির এক মুখপাত্র বলেছিলেন, আচরণগত সমস্যাযুক্ত বা গোয়েন্দা কাজের জন্য অনুপযুক্ত বলে বিবেচিত কর্মকর্তাদের ছাঁটাই করা হবে। তিনি উল্লেখ করেন, সবাই এই চাকরির চাপ সামলাতে পারে না। গত ফেব্রুয়ারিতে সিআইএর কিছু কর্মচারীকে স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। 

দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানায়, ট্রাম্প প্রশাসন এর আগে ১৯ গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আদালত সেই প্রচেষ্টা আটকে দেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গোয়েন্দা সংস্থায় পরিবর্তন বিশ্বব্যাপী মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তিতে জটিলতা আনবে। 

এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স সিকিউরিটি সেন্টার সতর্ক করেছিল, চীন-রাশিয়াসহ অন্যান্য বিদেশি গোয়েন্দারা যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থায় অস্থিরতার সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। গোয়েন্দা সার্ভিসে অসন্তুষ্ট সদস্য বা সাবেক সদস্যকে টার্গেট করে তারা কাজ করছে। প্রশাসনের সরকারি চাকরিতে কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রেক্ষিতে ট্রাম্প প্রশাসনে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তা কাজে লাগাতে পারে বিদেশি গোয়েন্দারা। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ