অবৈধভাবে বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না: ফয়জুল করীম
Published: 13th, July 2025 GMT
হত্যা, চাঁদাবাজি, লুটতরাজ করে অবৈধভাবে বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। শনিবার বিকেলে বরিশাল নগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। ইসলামী যুব আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নগরের অশ্বিনী কুমার টাউন হলে এ সমাবেশ হয়। সমাবেশ শুরুর আগে ঢাকার সোহাগ হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল নগরী প্রদক্ষিণ করে।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম এ সময় বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের চরিত্র একই। দল দুটির নেতাকর্মীরা খুনি, ধর্ষক। হাতে তাদের রক্তমাখা থাকে। লোক দেখানো বহিষ্কার নয়, রাজধানীতে পাথর ছুড়ে প্রকাশ্যে যুবক হত্যার দায় দায়িত্ব বিএনপিকে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা রাজনীতিকে অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার বানাচ্ছে তারাই অতীতে দেশকে দুর্নীতিতে ৫ বার চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছে। ঢাকায় সোহাগ হত্যার ঘটনাটি পুলিশ ভিন্নখাতে নিতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন- ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের মুহতারাম কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী।
মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ আলামিন, মাওলানা মুহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের বরিশাল মহানগরের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মাদ লোকমান হাকিম, সহ-সভাপতি শেখ শামসুল আলম মিলন, সেক্রেটারি মাওলানা আবুল খায়ের আশ্রাফী, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মাদ কাওছারুল ইসলাম প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বর শ ল ল কর ম ব এনপ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
বর্ষায় তিন মাস যান চলাচল বন্ধ থাকে সড়কটিতে
বর্ষা মৌসুম এলে প্রতিবছর আলোকদিয়ার বাসিন্দারা একই দুর্ভোগে পড়েন। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি কাদায় ডুবে যায়। এতে তিন মাসের বেশি সময় যান চলাচল একদম বন্ধ থাকে। বহু আবেদন নিবেদন করেও সড়কটি পাকা করাতে পারেননি গ্রামবাসী।
ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে উল্লাপাড়ার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের নলকায় করতোয়া সেতুর পাশ থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা আলোকদিয়ার গ্রাম পর্যন্ত চলে গেছে। এই রাস্তা দিয়ে গ্রামবাসী পাঁচিলা বাজার, হাটিকুমরুল গোলচত্বর, উল্লাপাড়া উপজেলা সদরে যাতায়াত করে থাকেন। গ্রীষ্ম মৌসুমে রাস্তাটি ধুলায় আচ্ছন্ন থাকে। বর্ষা মৌসুমের পুরোটা সময় থাকে কাদা। এ সময় যানবাহন চলাচল দূরের কথা হেঁটে চলাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। দুর্ভোগ সয়ে কাদার মধ্যেই চলতে হয় কয়েক হাজার মানুষকে। রাস্তাটি পাকা করার জন্য স্থানীয়রা বহুবার জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে আবেদন করেছেন। কিন্তু আমলে নেয়নি কেউই।
এ ব্যাপারে হাটিকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান প্রশাসক উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. মারুফ হোসেন জানান, তিনি কিছু দিন হলো এই ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়েছেন। রাস্তাটির দুরবস্থার কথা তিনি শুনেছেন। শিগগিরই রাস্তাটি পরিদর্শন করে পাকা করার জন্য তিনি প্রকল্প প্রণয়ন করবেন।
গ্রামবাসী জানান, নলকা-আলোকদিয়ার সড়কটি বর্ষা মৌসুমে ডুবে থাকে আধ হাঁটু কাদায়। একবার বৃষ্টি হলে অন্তত সাতদিন চলে এর রেশ। বিশেষ করে, জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই রাস্তায় যানবাহন চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। আলোকদিয়ার গ্রামের বাসিন্দা প্রায় সাত হাজার। গ্রামের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী পাঁচিলা বদরুল আলম উচ্চ বিদ্যালয়, নলকা ফুলজোর ডিগ্রি কলেজ, আলোকদিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একাধিক মাদ্রাসায় যাতায়াত করে। উপজেলা সদরেও যেতে হয় এ সড়ক দিয়ে। জুতা হাতে নিয়ে কাদা মাড়িয়ে পথচারীরা চলাচল করেন।
আলোকদিয়ার গ্রামের শাহাজাদা হোসাইন, শাহজাহান শাহীন, নাসির উদ্দিন ও আব্দুল মোমিন জানান, গ্রামবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে অনেকবার রাস্তাটি পাকা করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তাতে সাড়া না পেয়ে পাঁচ বছর আগে গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যেমে রাস্তায় মাটি ভরাট করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বন্যা ও বৃষ্টিতে সেসব মাটি ধুয়েমুছে গেছে। এখন আবার আগের মতো বেহাল হয়ে গেছে রাস্তাটি। আলোকদিয়ার গ্রামের বাসিন্দাদের প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে এই রাস্তা পেরিয়ে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে উঠতে হয়। বিশেষ করে, বৃষ্টির দিনে তাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
হাটিকুমরুল ইউনিয়নের ইউপি সদস্য চাঁন মিয়া রাস্তাটির দুরবস্থার কথা স্বীকার করে জানান, নলকা-আলোকদিয়ার রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের। তিনি আলোকদিয়ার গ্রামবাসীর সঙ্গে নিজে উদ্যোগী হয়ে বহুবার এই রাস্তাটি পাকা করার জন্য উপজেলা পরিষদ ও তাঁর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গণআবেদন দিয়েছেন। বছরছয়েক আগে তদানীন্তন উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মারুফ বিন হাবিব রাস্তাটি পরিদর্শন করে পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এর কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি মারা যান। পরে আর কেউ এই রাস্তা সংস্কার বা পাকা করার উদ্যোগ নেননি।