রাজধানীর খিলগাঁওয়ের ভূঁইয়াপাড়ায় নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে রাজন ইসলাম (২৫) নামে এক নিরাপত্তাকর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে লাশটি পড়ে থাকার খবর পায় তারা। পুলিশ বলছে, রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর ওই ভবনে লিফট স্থাপনের ফাঁকা জায়গায় ফেলে রেখে যায়। লাশ উদ্ধারের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
খিলগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ হোসেন বলেন, রাজন নির্মাণাধীন ভবনটির নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন। তাঁকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
রাজনের ভাই কামরুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে তাঁর ভাই নিখোঁজ ছিলেন। পরে সন্ধান চেয়ে খিলগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। তাদের গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়।
কামরুল বলেন, মোল্লা আমিন নামে এক ব্যক্তি গত বুধবার সকালে ওই ভবনে গিয়েছিলেন। পরে আমিন এবং আরও একজনের মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে বলে তারা দাবি করেন। এ ঘটনায় রাজনকে সন্দেহ করেন আমিন। এ নিয়ে দু’জনের কথাকাটাকাটি হয়। এর পরদিন থেকে রাজন নিখোঁজ ছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী তিন তরুণ নিহত
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের আরোহী তিন তরুণ নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাছে বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার দক্ষিণ সাথালিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম (২১), বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল উত্তর পাড়া গ্রামের মুশফিকুর রহমান (২২) এবং আশরাফুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি। আশরাফুজ্জামানের বিস্তারিত ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে মোটরসাইকেলযোগে তিন তরুণ বগুড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা নওগাঁগামী একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন।
পুলিশ জানায়, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। তবে ট্রাকের চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।